পহেলা জুন থেকে এই বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ দেশেই লকডাউন উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ দেশেই লকডাউন এর মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি কন্ট্রোলে আনা হয়েছে। বাংলাদেশে কার্যকরী লকডাউন না দেয়ায় করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়নি। যে সব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেসব হাসপাতালের অবস্থা শোচনীয়। কার্যকরী পিপিই না থাকায় সব হাসপাতালেই ডাক্তার ও স্বাস্থকর্মীরা ব্যপক হারে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে । হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা একরকম নেই বললেই চলে। করোনায় মৃতূবরন করা বেশীরভাগ রোগীরই মৃত্যূ হচ্ছে হাসপাতালে।
বাংলাদেশে ডাক্তাররা এখন বাসায় বসে করোনা রোগের চিকিৎসা নেয়ার ওপড় জোড় দিচ্ছেন। দেখা গেছে বাসায় চিকিৎসা নেয়া রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে। করোনা জয়ী প্রচুর মানুষের ভাষ্য থেকে জানা গেছে যে তারা সবাই বাসায় ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন মাফিক ঔষধের পাশাপাশি ঘরোয়া চিকিৎসা নেয়ার মাধ্যমে সুস্থ হয়েছেন। ঘন্টায় ঘন্টায় মধু, আদা লেবু মেশানো গরম পানি পান, গরম পানির ভাপ, ঘাম হলেই সঙ্গে সঙ্গে গরম পানি দিয়ে শরীর স্পঞ্জ , এসি ব্যবহার না করা , পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরিধান ইত্যাদি ঘরোয়া চিকিৎসায় কাশি মারাত্মক আকার ধারন রোধ করা সম্ভব। কাশি মারাত্মক আকার ধারন না করলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হবার আশংকাও কমে যায় যার ফলে শ্বাষকষ্টও তৈরী হয় না। এই ঘরোয়া চিকিৎসা সেবা হাপাতালে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই ইমার্জেন্সী না হলে ডাক্তাররা সবাইকে ঘরেই চিকিৎসা নিতে উৎসাহিত করছেন। এমনকি শ্বাষকষ্ট হলেও ডাক্তাররা বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।অক্সিজেন স্যচুরেশন মাপার যন্ত্রও সিলিন্ডার এর সাথে দিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ কারনে ঘরেই বসেই এখন জানা সম্ভব রোগীর অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে। করোনার সাথে লড়াই এ আরেকটা ঔষধ হচ্ছে মনোবল। যে কোন পরিস্থিতিতেই মনোবল শক্ত রেখে লড়াই করতে হবে এই ভাইরাসের সাথে।
এক ডাক্তার আত্মীয় বলেছেন যে জ্বর কাশি হলেই এখন করোনা টেস্টের জন্য দৌড়ানোরও দরকার নাই। জ্বড় , কাশি হলে দরকার চিকিৎসা। সেটা টেস্ট এর রেজাল্ট পজিটিভই হোক বা নেগেটিভ হোক। আর চিকিৎসাও একই। গবেষনায় জানা গেছে যে করোনায় আক্রান্ত রোগী ১১ দিন পার হয়ে গেলে আর করোনা ছড়াতে পারে না। তাই প্রাথমিকভাবে করোনার উপরর্গ দেখা দিতেই যারা দৌড়ে টেস্ট এর জন্য যাচ্ছেন, তারাই করোনা চারপাশে ব্যপকহারে ছড়াচ্ছে।
লকডাউন উঠিয়ে দিয়ে সব খুলে দেয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় সচেতনতা এখন সবচেয়ে বেশি জরুরী।জ্বর হলে কোন অবস্থাতেই বাসার বাইরে না গিয়ে , ঘরে বসেই চিকিৎসা নিন এবং নিজেকে একটি ঘরে আইসোলেট করে রাখুন। ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক ঔষধ খান, ঘরোয়া চিকিৎসা নিন। সুস্থ হবার গ্যরা্নটি এতেই বেশি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:১৯