সানজিদা হোসেনের বাড়ি রংপুর। ৪৫০ টাকা বাসভাড়া দিয়ে আজ সকালে এসে পৌছেছেন রাজধানী ঢাকায়। জীবনে প্রথমবারের মত। বুকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে। আজকের বাজারের সোনার হরিণ। একটা চাকরি। মুন্সীগঞ্জ থেকে এসেছেন সুমন কুমার। পাবনা থেকে সীমা আক্তার। তাদের মত কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী এখন অপেক্ষা করছে শ্যামলীর খিলজী রোডে আশা টাউয়ার এর সামনে। যারা এসেছে দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। কিন্তু তারা নিশ্চিত নয় পরীক্ষাটা আদৌ হবে কিনা।
লোন অফিসার এবং এসিস্ট্যান্ট লোন অফিসার পদে ৩০০ জন লোক নিয়োগের সরাসরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল পত্রিকায়। লোন অফিসারের জন্য যোগ্যতা স্নাতক এবং এসিস্ট্যান্ট লোন অফিসার পদের জন্য এইচ.এস.সি। সকাল থেকেই ভিড় বাড়ছিল। প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী এখন অপেক্ষা করছে।
বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর জায়গা দিতে হিমসিম খাচ্ছে কতৃপক্ষ। অপেক্ষমান পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে প্রথম দফায় হাজার খানেক প্রবেশ পত্র সরবরাহ করা হয়। এর পর হঠাৎ করেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অপেক্ষমান অন্যেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তাদের পরীক্ষা নিয়ে। আশা কতৃপক্ষও কোন সদুত্তর দিচ্ছে না। কিচুক্ষণের মধ্যেই গন্ডগোল শুরু হয়। কেউ কেউ ইট ছুড়তে থাকে আশা টাউয়ার এ। পরিস্থিতি নিয়ণ্ত্রণে আনতে পুলিশ ডাকা হয়। কিন্তু তারপরও বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা মিছিল করে এবং আশা টাউয়ার এর লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। সর্বশেষ সংবাদ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে র্যারব ডাকা হয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



