বাংলাদেশে থাকতে প্রায়ই শোনা যায় যে, পশ্চিমারা ভিক্ষাবৃত্তি ঘৃণা করে। ভিক্ষা করার চেয়ে ওরা না খেয়ে মরে যাওয়াকে ভাল মনে করে ইত্যাদি। কথায় কতটুকু সত্য আছে কে জানে, তবে আমি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে না হয় কিছু শেয়ার করি।
রিচমন্ডে এখনো পর্যন্ত ২ ধরণের ভিক্ষুক দেখেছি। এক ধরণের ভিক্ষুক সম্পর্কে কম বেশি আমরা সবাই জানি। এরা গান গেয়ে অথবা অন্য কোনভাবে পথচারীদের বিনোদন দেয়ার বিনিময়ে কিছু কামিয়ে নেয়। হলিউডি ফিল্মে এদের প্রায়ই দেখা যায়।
২য় যে কিছিমের ভিখারী আমি দেখেছি, সেটা আমার আসাতে ছিল না। সুস্থ সবল মানুষ কাগজ একটায় “আমি অসহায়, আমাকে সাহায্য করলে ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করবে” এই টাইপ কথা লিখে দাঁড়িয়ে থাকে। ওই লেখাটাই যা, ওদের হাবেভাবে কিন্তু করুণা আমদানি করটা কঠিন ই বটে। আয়েশ করে এক হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে, আরেক হাতে বিড়ি ফুঁকতে থাকে। পাশে ব্যাগ এ থাকে এই বড় কোকের বোতল। অনেকের হাতে থাকে বিশাল লাঞ্চ এর প্যাকেট। কারো কারো গায়ে থাকে পাঙ্ক টাইপ ট্যাটু। সচরাচর এরা মুখে কখনো ভিক্ষা চাবে না, তবে আপনি কিছু দিলে আপনাকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিবে। পোশাক আশাকেও এরা বেশ কেতাদুরস্ত। অন্তত আমাদের মত ভেতো বাংগালীদের থেকে অন্তত ফিটফাট। ণিজেদের দেশের ভিখারিদের সাথে তুলনা করে একটু থমকে যেতে হয়। দেশে মনে হয় আমরা করুন কথা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেসি, তাই হাত/পা বিহীন কোন মানুষ ভিক্ষা খুঁজলেও কোন বিকার হতো না। শুরুতে বরং এসব কেতা দুরস্ত মানুষদের ভিক্ষা করতে দেখেই যেন কেমন যেন খারাপ লাগত। ভাবতাম, কি না বিপদে পরে এই ভাল মানুষগুলা হাত পাতসে। পরে যখন আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম, তখন বুঝলাম যে, সারাদিনের ভিক্ষার টাকা এরা রাতে মদ গাঁজার পিছেই ব্যয় করে। এদিক থেকে বাংলাদেশের ভিখারীদের সাথে এদের তেমন কোন তফাত নাই।
দ্বিতীয় পর্ব

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



