somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিচমন্ড , ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ চতুর্থ পর্ব (ইফতার)

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রিচমন্ড বা যে কোন জায়গাতে প্রবাসে গেলে রোযা রমযানে একটু সমস্যায় পড়তে হয়, যেহেতু এখানে আগেভাগে ছুটি দেয় না। অবশ্য ৫ টায় অফিস ছুটি হলেও ইফতার তিরির জন্য বিশাল সময় থাকে। কিন্তু সমস্যা টা হল ঘড়ির কাটা... দেশে মনে হয় না আমাদের কে ৭ টার বেশি খুব একটা অপেক্ষা করতে হইসে, কিন্টু এখানে এখন ইফতার করতে করতে প্রায় ৯ টা বাজে। রোযা প্রায় ১৬ ঘন্টা, যেসব জায়গায় এর থেকে বেশি সময় ধরে রোযা রাখা লাগতেসে তাদের কিনা কস্ট করা লাগতেসে। যেটা বলতেসিলাম, ৭ টা পর থেকেই কেমন যেন একটা মানসিক অস্থিরতা শুরু হয়। এমন না যে এখানে রোযা রাখা কষ্ট, অন্তত খাওয়ার কারণে। তার থেকে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসলে নজর সংযত রাখাই। মনে হয়, প্রায় সব রোযাই কম বেশি এই কারণে মাখ্রুহ হয়ে গেসে। তাও ভাল যে, সামার এ ক্লাস বন্ধ থাকে, নইলে রোযা হাল্কা হইতে হইতে বাতাসে মিলাই যাওয়ার একটা সুযোগ ছিলই।

বিদেশে সবচেয়ে বড় সুবিধা যেটা হল, প্রায় সব মসজিদেই ইফতারের ব্যাবস্থা থাকে। এবং ভালই ব্যাবস্থা থাকে। প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন রেস্টুর‍্যান্ট স্পন্সর করে থাকে। লোকাল মুস্লিমারাও চাঁদা দিয়ে থাকে। তবে এটা নিয়েও মনে হয় দেশ, জাতি, এলাকা ভেদে কিঞ্চিৎ রেষারেষি থাকে। এখানে যেমন দেখলাম, বাংলাদেশী আর ভারতীয়দের মাঝে ঝামেলা হয়ে যাওয়ায় ২ পক্ষ ২ জায়গাতে ইফতারের ব্যাবস্থা করতেসে।

ছাত্র হওয়ার কারণে এখানে ব্যাপক খাতির পাওয়া যায়। সবার ধারণা আমরা বুঝি খানা দানা নিয়ে খুবি কষ্টে আছি। কষ্টে যে থাকি না তা না, কিন্তু উনারা যতটা ভাবেন ততটাও না। তবে, টাকা পয়সা কেউ আমাদের থেকে আশা না করলেও ইফতার বণ্টনের ক্ষেত্রে কিছুটা ভলান্টারি করতে হয়। এসব জায়গায় খতমে তারাবী পড়ার ও ব্যবস্থা থাকে।

ইউনিভার্সিটি এলাকায় লোকাল মুসলিম স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন ও সাধ্যমত ইফতারের ব্যাবস্থা করার চেস্টা করে থাকে। আমাদের এখানে যেমন সপ্তাহে ২ দিন আয়োজন করত। যদিও ইফতার, কিন্তু খোলা ছিল সবার জন্য। আর এই সুযোগে কিছু ভিন জাতি ফ্রি তে ওই কয়দিন ডিনার টা করে ফেলত। (ফ্রী পাইলে বাঙ্গালী সব খায়, কথটা ঠিক না, এই জিনিষ সবার জন্যই খাটে)খাবার প্রচুর থাকলে হয়ত জিনিষটা অত গায়ে লাগত না, কিন্তু খাবারের টানাটানি, তাই বিরক্তি চেপে রাখাটা কষ্টকরই ছিল। আর ক্ষেত্র বিশেষে কারো কারো পোশাকিয় উপস্থাপনা খুব বেশি দৃষ্টি কটু থাকত।
তৃতীয় পর্ব
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×