somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উদাসীর কিছু উত্তর আর কিছু সাইকিক প্রমান-১: আমি পাগলের ডাক্তার না!

২৪ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একবার এক বদ ব্লগার আমার পিছনে লেগেছিলো, তার যুক্তি ছিলো আমার ইউজার নেম ফেডেড ড্রীমস হলে তা উদাসী স্বপ্ন কিভাবে হয়। আমি তাতে মহা বিরক্ত, আমি যা ইচ্ছা তাই লিখি তাতে তুমার কি?
আসলে আমি তখন একটা ফেনোমেনা নিয়ে চিন্তা করছিলাম ডেজা ভ্যু নিয়ে। আসলেই কি এটা হয়?

খুব ছোট কালে আমার একটা সমস্যা হয়েছিলো। তখন ক্লাশ ৭ এ পড়ি। তখকন আমি খুব বর একটা ধাক্কা খাই। তখন পদার্থবিজ্ঞান পড়ানোর সময় আলো পড়াতে গিয়ে স্কুলের স্যার আমাদের বলে আমরা আলো দেখতে পারি না, যা দেখতে পারি সেটা হলো তার প্রতিফলন।
তার কথায় আমি মূলত আকাশ থেকে পড়লাম। কেনো যেনো মনে হলো এই পৃথিবীতা কঠিন এক মায়া। তার কিছুদিন আগে কোরান শরীফ প্রথম খতম দিয়েছিলাম। ওখানে একটা জায়গায় লেখা ছিলো এই পৃথিবী নাকি মুমিনদের জন্য জাহান্নাম। যারা এর মায়ায় পড়বে তাদের কাছে এই পৃথিবীটা অসম্ভব সুন্দর মনে হবে কিন্তু যারা প্রকৃত মুমিন তাদের কাছে পৃথিবীটা একটা কর্সিত ক্ষেত্র। আমি তেমন কেউ না তবে আমার জন্য এত দ্রূত স্বপ্ন আসলেই খুব খাপ লেগেছিলাম। তখন আমি ঝুকতে থাকলাম আসলেই এই পৃতজিবীটা মিথ্যা কিনা।
জানতে পারলাম আসলেই আমরা যা দেখি তাও সত্যি না।
প্রমান দেখতে চান?

আসেন দেখি।বাম পাশের চোখটা বন্ধ করুন আর নীচের লাল রখটার দূরত্ব অনুযায়ী ডান চোখটা মনিটর থেকে ৩-৪ গুণ দূরত্বে রাখুন।মাথাটা নাড়াবেন না একটুও। এবার বা পাশের লেটার গুলো বা পাশ থেকে ডানে পড়তে থাকুন। খেয়াল করুন তো ডান পাশের কালো বল টা গেলো কৈ? ওটা নেই।

এবার ডান চোখটা বন্ধ রাখুন। একই পদ্ধতিতে মাথা নাড়াচাড়া না করে এ্যালফাবেটগুলো ডান থেকে বাম দিকে পড়তে থাকুন। এবার দেখুন তো কালো বলটা কোথায়?
আপনি মাঝে মাঝেই দেখছেন ঐ বলটা ওখানে নেই!

আসেন আরেকটু ঘুরিয়ে পেচিয়ে পরীক্ষা করি। এবার ব্যাকগ্রাউন্ড চ্যান্জ করে দেই। দু চোখের জন্য পরীক্ষা করি। দেখুন তো কি দেখেন? আসলে আপনি দেখছেন ওখানে কালো বলটি নেই। শুধু ঐ ব্যাকগ্রাউন্ড কালারটা দেখছেন, তাই না?

(যদি দেখতে না পারেন তাহলে আপনার পদ্ধতিতে ভুল হচ্ছে)
অন্য চোখের বেলায়ও টেস্ট করা যাক, তবে এবার একটু অন্যভাবে যেখানে কালো বলটার ভিতর দিয়ে একটা কালো রড ঢুকিয়ে দেয়া রাখা হলো। তাহলে দেখুন তো কি হলো?দেখবেন কালো রেখাটা যে ব্যাকগ্রাউন্ড বা যার ভিতর দিয়ে যাক না কেনো এখন আর বলটাকে দেখা যাচ্ছে না। বলটা সরল ভাবেই চলছে!

এবার আরেকটু ঘুরিয়ে পরীক্ষা করা যাক, ব্যাকগ্রাউন্ড চেন্জ্ঞ এবং এক্ষেত্রে একটা পেন্সিল কল্পনা করি যেটা ঐ কালো বলটার ভিতর দিয়ে চলে যাচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর।
দেখুনতো কি দেখেন?

আপনি এবারও দেখছেন ঐ কালো বলটা নেই এবং সেক্ষেত্রে পেন্সিলটি ঐ অংশটায় একটা পেন্সিল আকারেই ধরা পড়ছে।

তার মানে কি হচ্ছে, আসলে আমাদের চোখটা হচ্ছে একটা ক্যামেরার লেন্স আর ব্রেনটা হচ্ছে পুরো মাইক্রোপ্রসেসর। লেন্স পারিপার্শ্বিক জগৎ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ব্রেনকে দিচ্ছে এবং আমাদের ব্রেন বা মস্তিস্ক সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো আমাদের মনোজগৎ একটা দৃশ্যের অবতাড়না করছে। তার মানে আমরা পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে সবকিছু প্রতিনিয়ত আবিস্কার করি অর্থাৎ একটা ধারনা পাই!
অল্প বয়সে এ সমস্যাটা এতটা প্রকট থাকে না তবে বয়স যত বাড়ে ততই এটা প্রোলিফিক হয়!

তার মানে আমরা যা দেখি তা আসল সত্য নয়। আমাদের চেনা জানা পুরো পৃথিবীটাই একটা মায়া।

আরেকটা মিথ শুনাই:
ইসমাইলী গোত্রের/মাযহাবের এক নেতা ছিলেন হাসান বেন সাবেহ পারস্যের আশেপাশে ১০৯০ সালের দিকে। সে কিন্তু বেশ চালাক ছিলো। তার জীবদ্দশায় সে একটা বেহেশত বানিয়েছিলেন। বেহেশত ছিলো একটা পাহাড়ের ভিতরে গুহায়, যেখানে ছিলো সুন্দর বনানী, বৃক্ষরাজী, জলধারা, ফল, ফুল শোভিত এক বাগান। সেখানে অনুষঙ্গ হিসেবে ছিলো ১৬-১৮ বছরের সুন্দর সুন্দর নগ্ন নারী, ছিলো সূরার অনন্ত ভান্ডার। ওখানে হাসান বেন সাবেহ র অনুসারীরা ঢুকবার আগে একটা বিশেষ ধরনের পোষন নিতো যার মধ্যে মিশানো থাকতো হাশীশ। তারা ওখানে গিয়ে ঘুমাতো এবং ট্রেনস লেভেলে থাকাকালীন হিনোটিক ইল্যুশনের মাধ্যমে তাদের দিয়ে যা ইচ্ছা টাই করাতে পারতো। শোনা যায় তৎকালীন পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে রাজনৈটিক হত্যাকান্ড ঘটাতো অনুসারীদের দিয়ে। হত্যাকান্ডের পর দেখা যেতো ঐসব হত্যাকারী হাসিমুখে জীবন দিচ্ছে। এভাবে তখনকার ইরাকের খলীফ, মিশরের খলিফ, তুর্কিমেনিস্তানের শীর্ষস্হানীয় ধর্মীয় নেতাদের মতো বড় বড় প্রভাবশালীরা জীবন দিয়েছিলো। এর ফলে ঠিক ঐসময়টার জন্য ঐদেশে কোনো আইন বা নিয়ন্ত্রন বা শৃংখলা থাকতো না, ফলে যেকোনো রাজনৈতিক সুবিধা বা বড় কোনো কাজ ইচ্ছে করলেই হাতিয়ে নিতো। এভাবে এই বাহিনী ১২৫৬ সাল পর্যন্ত জালিয়েছিলো। ঐ বছর তখন মঙ্গোলীয়ান আরেক ট্রায়ান্ট হালাকু খান এসে ওদের সবাইকে মেরে ফেলে। থেমে যায় হাসান বিন সাবেহরের দৌরাত্ন।

তার মানে কি বোঝা যাচ্ছে, আমাদের নিউরন গুলো তাদের মাঝে তথ্যের আদান প্রদান করে ইলেক্ট্রিক্যাল সংকেতের মাধ্যমে। চেস্টা করুন এই সংকেত গুলোর কোড ব্রেক করতে তাহলে আপনিও পারবেন একটি ব্রেনকে যা ইচ্ছা তা দেখতে।

আমি একটা গল্পের বই পড়ে এসবের দিকে মনোযোগ দিলাম। কারন আমি একটা সিদ্ধান্তে পৌছেছি, একটা প্রশ্নের উত্তর মনে হয় খুজে পেয়েছি যার কারনে ক্লাস সেভেনে থাকা একটি মাস আমি নিতান্ত সিদ্ধান্থীনতায় ভুগেছিলাম।
আস্তে আস্তে সব শেয়ার করবো!

তবে এর পরের তথ্য প্রমাণ গুলো আরো বেশী নাটকীয় হবে, আরো বেশী মনস্তাত্বিক

চলবে
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১০:১২
১২টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×