
এমনি এমনি যারা হয়েছে তাদের সীমা দেওয়া হয়নি বিধায় তারা অসীম হয়েছে। অসীমদের মাঝে সীমা দেওয়া হয়নি বিধায় তারা সব একত্রে মিলিত হয়ে একজন হয়েছে।
এমনি এমনি হওয়ার দৌড়ে শক্তি এগিয়ে থাকায় প্রথমে সকল শক্তি এমনি এমনি হয়ে অসীম হয়ে একত্রিত হয়ে একজন অসীম সর্বশক্তিমান হয়েছেন। বস্তু সমূহের গতি একদিকে থাকায় সর্বশক্তিমান তাঁর শক্তির প্রভাবে তাদের গতিকে পরস্পরের দিকে করে দিলেন ফলে সকল বস্তু একত্রে মিলে একটা ঈশ্বরকণা গঠিত হলো।ঈশ্বর কণা থেকে এর গঠনকারী ঈশ্বর বড় হলেন।কারণ তিনি অসীম, কিন্তু ঈশ্বরকণা অসীম নয়। আর সবচেয়ে বড়কে ঈশ্বর বলে। কেউ এবং তার মাতা, পিতা, স্ত্রী, সন্তান তার একই গোত্রিয় হয়। ঈশ্বর গোত্রে একাধীক কেউ না থাকায় তাঁর মাতা, পিতা, স্ত্রী, সন্তান নেই।
গঠনকারী হিসাবে ঈশ্বর ঈশ্বরকণার মালিক হলেন। তাঁর অসীম তাপ শক্তির প্রভাবে তিনি ঈশ্বর কণায় মাহা বিস্ফোরণ ঘটালেন। তখন বস্তু সমূহ বড় ছোট আকারে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়লো। তাদের গতিকে ঈশ্বর নিজের দিকে এবং তার নিকটস্থ্য বড় বস্তুর দিকে করে দিলেন। ফলে তারা নিজের চার দিকে পাক খেয়ে ঘুরতে লাগলো। আর ছোট বস্তু সমূহ বড় বস্তুর চারদিকে ঘুরতে গিয়ে অসংখ্য সৌরজগৎ গঠিত হলো। সৌরজগৎ সমূহ তারচেয়ে বড় ছায়াপথের চার দিকে ঘুরতে লাগলো। ছায়াপথের চেয়ে বড় কোন বস্তু জগৎ না থাকায় ছায়াপথ শুধুমাত্র নিজের চারদিকে পাক খেয়ে ঘুরতে লাগলো। এভাবে ঈশ্বর মহাজগৎ গঠন করলেন। এরপর তিনি মহাজগতকে সপ্ত আকাশ ও জমিনে বিভক্ত করে এর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।মহাজগতের শৃঙ্খলা দেখে আমরা এর নিয়ন্ত্রক ঈশ্বরকে সহজে বুঝতে পারি। কিন্তু বুদ্ধির দৈন্যতার কারণে নাস্তিক ঈশ্বরকে বুঝতে পারে না। সেজন্য তারা বলে ঈশ্বর বলতে কিছু নেই। তারা বলে সব কিছু এমনি এমনি হয়েছে। তাদের কথা অনুযায়ী ঈশ্বরও এমনি এমনি হয়েছেন। তারপর তিনি সব কিছুর নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করেছেন। মহাজগত নিয়ন্ত্রিত এটা অনুমেয় বিধায়, ঈশ্বর বলতে কিছু নেই এটা বলার কোন সুযোগ নেই। সুতরাং ঈশ্বর বিষয়ক নাস্তিকের ধারণা শতভাগ মিথ্যা।
ঈশ্বর বিষয়ে নাস্তিকগণ মিথ্যা কথা বলে মানুষের মাঝে অহেতুক বিভেদ তৈরী করেছে। তবে মানব সমাজে তাদের কথা কোনকালে গৃহিত হয়নি। সেজন্য তারা চিরকাল স্বল্প সংখ্যকের দলভূক্ত হয়ে আছে। অবশ্য কোনকালেই তারা বিলুপ্ত হয়নি। মুসলিমগণ ঈশ্বরকে আল্লাহ বলে। তবে তারা আল্লাহ সবচেয়ে বড় বা আল্লাহু আকবার কথার দ্বারা ঈশ্বরকে স্বীকার করে। আর কিছু মানুষের ঈশ্বরের মাতা, পিতা, স্ত্রী ও সন্তান থাকার ধারণা মূলত তাদের ভুল ধারণা। কারণ ঈশ্বরের এসব থাকা সম্ভব নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




