
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) কোন দোষ ধরা যাবে না। কারণ এতে কোন সাওয়াব নেই। এতে উল্টা গুণাহ আছে। কারণ আল্লাহ তিনি ও তাঁর রাসূলের (সা.) দোষ না থাকার ঘোষণা প্রদান করেছেন।আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) কিভাবে দোষ নেই? অনেকে অনেক ঘটনার উল্লেখ করে এমন প্রশ্ন করে থাকে। হাসরে আল্লাহ তাদের এমন সব প্রশ্নের জবাব দিবেন। সেজন্য তিনি হাসরে পঞ্চাশ হাজার বছরের একটা লম্বা সময় নির্ধারণ করেছেন।
অনেকে হাসর পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই অনেক ঘটনায় আল্লাহ ও রাসূলকে (সা.) দোষারফ করে। এ নিয়ে তাদের সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া অনেক মুমিন দরকার মনে করে না। কারণ হাসরে তারা তাদের এ অন্যায় দোষারফের প্রতিদান পাবে।তবে রাসূলের (সা.) প্রতি দোষারফ দ্বারা রাসূলের (সা.) রাসূল না হওয়া প্রমাণ করে না। আর আল্লাহর প্রতি দোষারফ দ্বারাও আল্লাহর আল্লাহ না হওয়া প্রমাণ করে না। সুতরাং এ জাতীয় কাজ অহেতুক কাজ হিসাবে বিবেচিত।
কেউ কেউ আল্লাহ, রাসূল (সা.) কোরআন ইত্যাদি বিষয়ে অনেক বাজে কথা বলে এবং আল্লাহর অনুগতদের সাথে অনেক বাজে আচরণ করে আল্লাহর কোন প্রতিক্রিয়া না দেখে আল্লাহর না থাকার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করে। কিন্তু কারো সাথে বাজে আচরণে তার প্রতিক্রিয়া না থাকা তার না থাকা প্রমাণ করে না। কারণ হতে পারে সে মহাপ্রতিক্রিয়া দেখাতে অপেক্ষমাণ আছে।
রানু বলে যারা আল্লাহকে মানে না তারা ভালো আছে ও সুখে আছে। সেজন্য রানু বলে আল্লাহ মানুষের সৃষ্টি। আল্লাহ কাহার সৃষ্টি সেটা বলার জন্য আল্লাহ অপেক্ষমাণ আছেন। তিনি ঝগড়াটে মহিলার মত যখন তখন প্রতিক্রিয়া দেখানোর কেউ নন। তিনি বলেছেন, তিনি যা করার হাসরে করবেন। তখন তিনি তাঁর অবাধ্যদের টুটি চেপে ধরবেন এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। তাঁর অবাধ্যগণ জাহান্নামে গিয়ে বুঝবে তারা কতটা ভালো থাকে।
আল্লাহ বিষয়ক সব কিছুকে অনেকে বলে, সব ঝুট হ্যায়। সব ঝুট না সত্যি তা মরার পরেই টের পাওয়া যাবে। তখন অবাধ্য লোকদের কিছুই করার থাকবে না। তো কি আর করা মরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। রানু সত্য হলে মুমিনের আফসুস করার কিছুই নেই। কারণ মাটির সাথে মিশে যাওয়া ব্যক্তি আফসুস করতে পারে না। আর রাসূল (সা.) সত্য হলে রানুর খবর আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




