
গৃহিনী দাদী দশ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারলে ব্যারিস্টার নাতনি কেন নয়? দাদা ক্ষমতায় থেকে নিহত। দাদী ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত। বাবা থেকে ক্ষমতা এখন অনেক দূরে। জাতির জনকের কন্যা ক্ষমতা আঁকড়ে বসে আছেন শক্ত হাতে। তথাপি কিছু বিষয়ে জনগণ তাঁদের প্রতি বিরক্ত।সেকারণে মেয়েটি ক্ষমতার স্বপ্ন দেখে।শক্ত প্রতিপক্ষ তাকে কোন না কোন ইস্যুতে ফাঁসিয়ে দিতে মরিয়া। সুতরাং মেয়েটির স্বপ্ন পূরণ সহজ নয়।
নিজের স্বপ্ন পূরণে মেয়েটিকে জাতিকে এমন স্বপ্ন দেখাতে হবে যে স্বপ্ন তার পক্ষে বাস্তবায়ন করা জাতি সম্ভব বলে মনে করবে। এর একটি হলো ভোটের অধিকার। জাতি যদি মনে করে মেয়েটির পিছনে ঐক্যবদ্ধ হলে তারা কোন দিন না পাওয়া ভোটের অধিকার পেয়ে যাবে তাহলে জাতি মেয়েটির পিছনে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। জাতি যদি মনে করে মেয়েটি দেশের বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারবে, তাহলে জাতি মেয়েটির পিছনে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। জাতি যদি মনে করে মেয়েটি জনগণের ব্যয়ের চেয়ে আয় বাড়াতে পারবে, তাহলে জাতি মেয়েটির পিছনে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। জাতি যদি মনে করে মেয়েটি জাতিকে আইনের শাসন উপহার দিতে পারবে, তাহলে জাতি মেয়েটির পিছনে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। মোট কথা মেয়েটি জাতির ইচ্ছা পূরণ করতে পারবে জাতি যদি এমনটা মনে করতে পারে, তাহলে জাতি মেয়েটির পিছনে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।মেয়েটি কেন যে কারো দ্বারা যদি জাতি তাদের ইচ্ছা পূরণের আশা করতে পারে তবে তার পিছনে জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।
শাসক দল কোন কালে জাতির ইচ্ছার কথা খুব একটা ভেবেছে বলে জনগণ মনে করে না। সেজন্য জনগণের মনে চিরকাল ভোটের আক্ষেপ থেকেই গেল। এদেশে ভোটের ক্ষেত্রে যা ঘটে সেটা হলো আপনার ভোট আমি দেব যাকে খুশী তাকে দেব। এ ঘটনার বৃত্ত থেকে জনগণ বের হতে চায়। কিন্তু কোন শাসক দল জনগণকে এ বৃত্ত থেকে বের হতে দিচ্ছে না। এ দেশে সেই শাসক কবে হবে, যে শাসক কথায় বড় না হয়ে কাজে বড় হবে। ৭৪ এ কিছু জনগণ বলেছে, বঙ্গবন্ধু ভাষন দেয় ভাত দেয় না। তাদের এমন কথা আমি নিজ মুখে শুনেছি। এখন জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যার ভাষনের চেয়ে তাদের ভোটের অধিকার বেশী কামনা করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন তিনি জনগণের ভোটের অধিকার দিয়েছেন। কিন্তু জনগণ ভোটের অধিকার পেয়েছে এমন কথা স্বীকার করে না। দাতা দিয়েছে কিন্তু গ্রহিতা পায়নি বিষয়টা এখন এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
এদেশে তুমি অধম হলেও আমি উত্তম হব না কেন? এমন কথা কেউ বলে না। এদেশের লোকে বলে তুমি কি অধম, আমি তারচেয়ে বড় অধম হব। সেজন্য উন্নতিতে আমরা অন্যদের পিছনে চলি। অথচ আমাদের রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচালিত করে আমরা উন্নত হতে পারি। জনগণ যদি মনে করে মেয়েটি এমন কাজ পারবে। তাহলে জনগণ তার নেতৃত্বে জড় হবে। তারপর জনগণ তার ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরছেড়ে বেরিয়ে আসলে অপর পক্ষের প্রতিরোধ বালির বাঁধের মত ভেঙ্গে পড়বে। আর তখন মেয়েটির স্বপ্ন পূরণের পথ তৈরী হবে। নতুবা তার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।
মেয়েটির সাথে বিএনপি নামক একটি সাবেক শাসক দল রয়েছে। মেয়েটির নাম জাইমা রহমান। গুগুল সার্স দিলে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




