১৯৭১ সালের হানাদার আমাদের দেশের সম্পদ তাদের দেশে নিয়েগেছে। ২০২৪ এর হানাদার আমাদের দেশের সম্পদ বিভিন্ন দেশে নিয়েগেছে। কারণ আমাদের দেশই এদের দেশ। ১৯৭১ সালের হানাদার ছিলো ভিনদেশী হানাদার। ২০২৪ এর হানাদার হলো স্বদেশী হানাদার। এরা আবার আমাদের জনগণকে অভূক্ত রেখে আমাদের প্রতিবেশিকে খাইয়েছে।
১৯৭১ সালের রাজাকার বলেছে তারা তখন যে দেশ ছিলো তারা সে দেশের অনুগত ছিলো। কিন্তু দেশ যদি এর জনগণের গণহত্যায় লিপ্ত হয় তখন সেই গণহত্যাকে কিভাবে সমর্থন করা যায়? ২০২৪ এর স্বদেশী হানাদার জনগণকে গণহত্যা করার পর ১৯৭১ সালের সেই রাজাকার এবারের গণহত্যাকারীদেরকেও ক্ষমা করে দেয়। তারমানে এরাজাকাররা সব সময় হানাদার পছন্দ করে। কিন্তু জনগণ হানাদার-রাজাকারকে ঘৃণা করে।
১৯৭১ সালের হানাদার ছিলো ভীনদেশী। সেজন্য না হয় আমাদের জনগণের প্রতি তাদের মায়া ছিলো না। কিন্তু ২০২৪ এর হানাদার হলো স্বদেশী। এরা নিজদেশের জনগণের প্রতি এতটা নির্দয় হলো কেমন করে? বৃটিশ এদেশের সম্পদ নিলো তাদের দেশে। পাকিরা এদেশের সম্পদ নিয়েগেলো তাদের দেশে। স্বদেশী হানাদার এদেশের সম্পদ নিয়ে গেলো বিভিন্ন দেশে। কোন হানাদার বেশী নিকৃষ্ট। বিদেশী হানাদারদের তবু দেশ প্রেম ছিলো। স্বদেশী হানাদারের তো দেশ প্রেমটাও নাই।এরা দেশের সম্পদ বিদেশে নিয়ে বিদেশী হয়ে গেছে। এদের প্রতি কিভাবে ঘৃণা জানালে এদের উপযুক্ত হয়?
যে টাকাগুলো বিদেশে পাচার করা হলো সে টাকা দিয়ে দেশে শিল্প কারখানা তৈরী করে অনেক কর্মসংস্থান করা যেত।আমাদের জনগণকে অনেক বেশী কষ্ট দিয়ে এ হানাদাররা বিদেশে সুখের ঠিকানা তৈরীতে তৎপর ছিলো। তারা আবার বলে এ দেশে কি থাকা যায়? এদেশে আমরা কেমন করে থাকি? তারা আমাদের টাকা গুলো বাইরে পাচার না করলে আমরা তো আর একটু ভালো থাকতে পারতাম! ২০২৪ এর এসব হানাদারদেরকে যারা সমর্থন করে তাদের প্রতি কেমন ঘৃণা প্রকাশ করা উচিৎ? আমাদের টাকা তারা বাইরে নিয়ে ফুর্তি করে। আমাদের টাকা তারা প্রতিবেশীকে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকে। আমাদের সেকাল-একাল পোড়া কপাল। দেশের টাকা বা্রে পাচার করে তারা বিদেশী বিনোয়োগ তালাস করে। অথচ তারা বিদেশে পাচার করা টাকা দেশে বিনিয়োগ করলেই দেশীবাসী অনেক লাভবান হতে পারতো। বিদেশীরা আমাদের বঞ্চিত করেছে তাদেরকে আমরা ঘৃণা করলাম। স্বদেশীরা আমাদেরকে বঞ্চিত করলো তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা কম হবে নাকি বেশী হবে? আমার তো মনে হয় এরাই সবচেয়ে বেশী নিকৃষ্ট!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১