
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
* আল্লাহর সুন্নতে পরিবর্তন ও ব্যতিক্রম নাই। এটি অভিন্ন পথ দেখায়। পৃথকভাবে আয়াত থেকে এটি পাওয়া যায় না। কারণ আয়াতের নাসেখ ও মানসুখ বিভিন্ন পথ দেখায়। এর জন্য ফিকাহ আবশ্যক। সেজন্য আল্লাহ ফিকাহকে ভয় প্রদর্শন ও সাবধান করার মাধ্যম বলেছেন। ফিকাহ একত্রিত করে শিক্ষা দান ও শিক্ষাগ্রহণ ছিলো আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহর এ ইচ্ছা পূরণে বিলম্ব জনিক কারণে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায় এবং ইসলাম বিনষ্ট হয়। অবশেষে পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) তাঁর ছাত্রদেরকে শিক্ষা প্রদানের জন্য চার হাজার তাবেঈ থেকে ফিকাহ সংগ্রহ করে একত্রিত করলে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ফিরে আসে।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।
* রাসূল (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) ফিকাহ শিক্ষা প্রদান করেছেন। তিনি এটা একত্রিত করার সময় পাননি।সুতরাং রাসূলের (রা.) ওয়ারিশ ওলামার মাধ্যমে এটা একত্রিত করে শিক্ষার ব্যবস্থা করা ছিলো আমিরের দায়িত্ব। পারসিক ইমাম তাবেঈ ইমাম আবু হানিফা (র.) এবং আব্বাসীয় আমির হারুনুর রশিদের পূর্বে ফিকাহ সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রতিপালিত না হওয়ায় ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায় এবং ইসলাম বিনষ্ট হয়। অবশেষে ইমাম আবু হানিফা (র.) ও আমির হারুনুর রশিদের মাধ্যমে ফিকাহ সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রতিপালিত হলে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ফিরে আসে এবং ইসলাম পরিশোধীত হয়।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।
সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।
সহিহ আল বোখারী, ১৭৪৫ নং হাদিসের (কিতাবুল হজ্জ)-
১৭৪৫। হযরত ওসামা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি (সা.) মদীনার একটি উচ্চ দূর্গপ্রাসাদে চড়ে বললেন, আমি যা দেখছি তা’ কি তোমরা দেখতে পাচ্ছ? আমি বৃষ্টিবিন্দু পতিত স্থানের ন্যায় তোমাদের গৃহসমূহে ফেতনার স্থান দেখতে পাচ্ছি।
* আমির হযরত আবু বকর (রা.) ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। ফিতনা তাঁর ঘর থেকে বের হয়। সে ছিল তাঁর পুত্র মোহাম্মদ। সে তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমানের (রা.) দাঁড়ি ধরে টানমারে এবং তার সাথীরা তৃতীয় খলিফাকে হত্যা করে। আমির হযরত ওমর (রা.)ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। ফিতনাবাজ আবু লুলু তাঁকে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে। পরে তিনি শহীদ হন। তৃতীয় আমির হযরত ওসমান (রা.)ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। ফিতনাবাজরা তাঁকে কোরআন তেলাওয়াত অবস্থায় হত্যা করে। চতুর্থ আমির হযরত আলী (রা.)ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। খারেজী আব্দুর রহমান ইবনে মোলজেম তাঁকে নামাজ রত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে। পরে তিনি শহীদ হন। পঞ্চম আমির হযরত ইমাম হাসান (রা.)ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। তিনি তাঁর খেলাফতের দায়িত্ব অ্যাহত রাখতে পারেন নাই। ষষ্ঠ আমির হযরত ইমাম হোসেন (রা.)ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। তিনি খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে সে দায়িত্ব ইয়াজিদ ছিনতাই করে এবং ইয়াজিদের লোকেরা কারবালায় তাঁর মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার হিসাবে পাঠায়। মক্কা ও মদীনাবাসী ফিকাহ একত্রিত করার দায়িত্ব পালন করেন নাই। ইয়াজিদ ও মারওয়ান পুত্র তাদেরকে লাঞ্চিত করে। মারওয়ান পুত্র আব্দুল মালেকের বাহিনী মক্কার খলিফা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়েরকে (রা.) হত্যা করে তাঁর লাশ মক্কার রাজপথে টাঙ্গিয়ে রাখে। এরপর বনু মারওয়ান ও মোনাফেক তাদের বানানো হাদিস দিয়ে ইসলাম বিনষ্ট করে।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
* কারবালায় ষষ্ঠ আমির হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) হত্যাকান্ডের পর ইসলাম অরক্ষিত হয়ে পড়ে। তখন মোনাফেকরা ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হাদিস বানিয়ে প্রচার করে। সেজন্য আল্লাহ যাবতীয় হাদিস বাতিল করে ফিকাহ অনুমোদন করেন। সেটা হানাফী মাযহাব নামে আত্মপ্রকাশ করলে মোনাফেকরা এর বিরোধীতায় লিপ্ত হয়।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* আমির অনুমোদীত হানাফী মাযহাব অভিন্ন পথ দেখালেও এর বিরোধীরা বিভিন্ন পথ দেখিয়ে মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে। তাদের বিভেদের কাজ কোন আমির অনুমোদীত নয়। আমিরের অনুমোদন বিহীন বিষয়ের অনুসারী হয়ে হানাফী বিরোধীরা মুমিনদের পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়। আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



