
মেঝ মেয়ের আগেই তার মা ছোট মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়। মেঝ মেয়ে তাতে ভীষণ ক্ষেপে যায়। তখন মেঝ মেয়ের বিয়ের জন্য উঠেপড়ে নামতে হয়। কিন্তু কোন পাত্রই তার পছন্দ নয়। তারপর যাও একটা পাত্র তার পছন্দ হলো তাও সে রাজনীতি করে। তাও আবার অপজিশন রাজনীতি। সারা দিন থাকে দৌড়ের উপর। তারপর আল্লাহর উপর ভরসা করে মেয়ের বিয়েটা দিয়েই দিলাম। লক্ষ্মীপুর গিয়ে দেখি বিভিন্ন স্থানে জামাইর ছবি টাঙ্গানো। তার দলের লোকদেরকে দেখলাম তার প্রতি ভক্তিতে গদগদ। তবে টেনশন থাকে সবসময়। কখন আবার জামাই চৌদ্দ শিকে আটকা পড়ে। তারপর গণেশ উল্টে গিয়ে সেসময়ের সরকারের লোকেরা এখন দৌড়ের উপর আছে। আর জামাই বাবা আছে ভাবের মধ্যে। মেয়ের মামা-মামীদেরকে পাঠালাম মেয়ের শ্বশুরকুলে। শহরে তারা জামাইয়ের বহু ছবি দেখে বেশ খুশী। মেয়ে বলল, এরা যখন দেশ চালাতে পারে না তথন এরা বিএনপিকে ক্ষমতা দিয়ে দিলেই তো হয়। সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে সামনে বিএনপির ক্ষমতায় আসার কথা।
জামাই বলেছিলো বাবা শেখ হাসিনার পায়ের নীচে মাটি নাই। জোরে ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে। তারপর জোরে ধাক্কা দিল এবং শেখ হাসিনা সরকার পড়ে গেলো।অন্তবর্তী সরকার খুব একটা শক্তিশালী হলো না। এসরকারকে ধাক্কা দিতে তারেককে সহায়তার প্রস্তাব দিলো জয়। তারজন্য বিএনপি বলল, রাষ্ট্রপতিকে সরানোর দরকার নাই। এদিকে বশির ও ফারুকী উপদেষ্টা হওয়ায় নাখোশ কেউ কেউ। তারা যদি সেনা প্রধানের পছন্দ হয় তবে তাদের বিরোধীতা করা ঠিক না। কারণ ধাক্কা খাওয়া হাসিনা সরকারকে সেনা প্রধান ঠেঁক না দেওয়ায় তা সহজে পড়ে গেছে। এখন রাষ্ট্রপতি ও সেনা প্রধানের মাঝে যে সরকার বসে আছে সে সরকারকে শক্তিশালী মনে করার সংগত কোন কারণ নাই। সিন্ডিকেট ভাঙ্গার অপারগতা থেকে তাদের অক্ষমতা স্পষ্ট। সুতরাং দ্রুত নির্বাচন দিয়ে তাদের মানে মানে কেটে পড়া ভালো।
আমার লীগ ছাত্রকে জিজ্ঞাস করলাম, ট্রাম্প তো জয়ী হলো। তোমরা কি তাহলে সহসা ক্ষমতায় আসছ? সে বলল, না স্যার। আপাতত বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। তারপরের টার্মে আমরা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসব। এর আগে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় হলেও তাঁর আর ফাঁসি হবে না। পরে আবার তিনি ক্ষমতায় আসলে তিনি ফাঁসির দন্ড থেকে বেকসুর খালাস পাবেন। ইসলামপন্থীরা ক্ষমতার যে স্বপ্ন দেখছে তা’ আসলে স্বপ্নই থেকে যাবে। দেশ চালানোর মত সাংগঠনিক দক্ষতা তাদের কারো নাই। হাসিনা বিতাড়নে তাদের অংশগ্রহণ থাকলেও তাতে তাদের শরিক ছিলো অনেকেই। সেই শরিকদারদের মাঝে বিএনপির সংগঠন মজবুত বিধায় হয়ত বেশী দিন ক্ষমতার স্বাদ তারাই পাবে। অন্তবর্তী সরকারের সময়টুকুই অন্যদের তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার সময়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



