
শেখ হাসিনা ও তাঁর দল বেশ বিপদেই আছেন। বিপদ দূরের উপায় ক্ষমতায় ফিরে আসা। তার জন্য তারা ট্রাম্পের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু মোদী ক্ষমতায় থেকেও তো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসাতে পারলেন না, তাহলে ট্রাম্প ক্ষমতায় বসেইবা শেখ হাসিনার জন্য কি করবেন? ট্রাম্প দেখবেন তাঁর দেশের লাভ। তার জন্য ইউনুছের বিরোধীতা করে তাঁর কি লাভ? সুতরাং আওয়ামী লীগের জন্য অন্ধকার ছাড়া কিছু আছে বলে মনে হয় না।আওয়ামী লীগের চির বন্ধু ভারত অতি নিকটে থাকার পরেও একবার আওয়ামী লীগকে একুশ বছর ক্ষমতার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। ক্ষমতা হারাবার পর একশ বছরে ক্ষমতায় ফিরতে না পারার কথা ওবায়দুল কাদের বলেছেন।তবে কি আওয়ামী লীগের সে অপেক্ষা শুরু হলো।
শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তাঁর স্থান হবে জেলখানা। তারপর মৃত্যুর আগে তাঁর জেল মুক্তি ঘটবে কিনা কে জানে? কেউ কেউ বলছে তাঁকে যাবজ্জীবন করাদন্ড দিয়ে জল্লাদের দায়িত্ব দিলে ভালো হবে।সময় বলে দিবে তাঁর অবস্থা কি হবে? বঙ্গবন্ধুর খুনীদের মত তিনি বিদেশে পালিয়ে থেকে জেল জীবন থেকে আত্মরক্ষা করতে পারেন।
বিএনপির হিন্দু ইউনিট ভারতকে ম্যানেজ করতে পারলে ভারত এন্টি আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে সহযোগিতা করতে পারে। আমাদের অতি ভারত বিরোধী মনভাব ঠিক না। কারণ প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক থাকাই ভালো। আমাদের বিশ্ব মোড়ল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। তাহলে আমরা কোনদেশ বিরোধী কেন হব? আমরা বরং সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে যতটা লাভবান হতে পারি আমাদেরকে সেই চেষ্টা করতে হবে।
আমাদের বিপুল জনসংখ্যা। রেমিটেন্স আমাদের প্রাণস্পন্দন। সেইটা পেতে আমরা একটা ভদ্রজাতি, বিশ্বের নিকট সেই ম্যাচেজ যাওয়া জরুরী। উল্টা আমাদের দেশের কিছু অসভ্য বিদেশে রাজনীতি করে। এরজন্য তারা সেখানে কান মলাও খায়। আমাদের কিছু আপদ মার্কা নাগরিকদের কথা শুনলে মনে হয় বিশ্বের আর সব জাতি আমাদের নিকট অতিশয় তুচ্ছ। কামলাদের মালিকদের সাথে এমন আচরণ কি সঠিক? কামলা খাটা অসম্মানের কিছু নয়, তবে মালিকের সাথে অসভ্যতা কামলার বেকুবী হিসাবে বিবেচ্য। আমরা দেশ ছেড়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ব। সেখান থেকে রেমিটেন্স এনে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখব, এটা ভাল। কিন্তু যাদের থেকে রেমিটেন্স আনব তাদের সাথে অসভ্যতা ভাল না।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



