
৫৪ বছর পূর্বে যারা দেশের পক্ষে ছিলেন তাঁরা এর পুরস্কার পেয়েছেন , তখন যারা দেশের বিপক্ষে ছিলেন তারা তাদের কাজের জন্য তিরস্কার পেয়েছে। ৫৪ বছর আগের বিষয় নিয়ে যারা ব্যবসায় লিপ্ত তারা তখন কি করেছেন? ৫৪ বছর আগের দোহাই দিয়ে কেউ দূর্নীতি করলে জাতি সেটা মানবে কেন? এখন কেউ সুনীতি করলে ৫৪ বছর আগের দোহাই দিয়ে এর বিরোধীতার মানেটা কি? কেউ খুন করলে তার সন্তানকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় কি?
৫৪ বছর পূর্বে কেউ আমার মিত্র ছিল এখন শত্রু হয়ে গেছে। ৫৪ বছর পূর্বে কেউ আমার শত্রু ছিল এখন মিত্র হয়ে গেছে। ৫৪ বছর আগের ঘটনার কারণে কি আমরা বর্তমান বাস্তবতা মেনে নেব না? অতীত বন্ধু বর্তমান শত্রুর সাথে কোলাকুলি করতে গেলে সে ছুরি মেরে দিল, বিষয়টা কি হলো? অতীত শত্রু বর্তমান বন্ধু ছুরি বের করে বাঁচাতে গেলে তাকে বাধা দেওয়ার পরিনাম কি হবে? আমরা যা বুঝি তাতে যথেষ্ট পরিমাণ ত্রুটি আছে। সেজন্যই আমরা অনগ্রসর জাতি।
আমার শ্বশুর পক্ষের লোকেরা কিছুক্ষণ আগে মারামারি করে পরক্ষণে একত্রে চা খায় তারা বেশ উন্নত। আমাদের গোষ্টি একবার ঝগড়া হলে চিরকালের জন্য সম্পর্ক শেষ। আমাদের গোষ্ঠির উন্নতি আমার শ্বশুর পক্ষের উন্নতির চেয়ে অনেক কম। আমাদের জাতি আমাদের গোষ্ঠির মত বিধায় অন্য জাতির চেয়ে আমাদের জাতির উন্নতি অনেক কম। এখানে লোকদের মানসিকতা হলো আর সবি ভুল আমি শুধু ঠিক। সেজন্য এখানে হানাহানি মারামারি থামছে না। একাত্তরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবার নাকি চব্বিশে দেশ স্বাধীন হয়েছে, এরকম কেন? কারণ একাত্তরের লতা-পাতারা বলছে আমরাই সব পাব অন্যরা কিছু পাবে না। পাওয়ার জন্য যেহেতু স্বাধীনতা লাগে সেহেতু ওদের তাড়িয়ে তারা দেশ স্বাধীন করলো। এবার শান্তি এবার ওরা না খেয়ে তারা খাবে। এসব নিয়ে টকশোতে টক তো হয়ই মাঝে মাঝে তিতা হয়ে যায়।
তিনি বললেন সাহস থাকলে আয় বেটা, বেটা সাহস করে আসেনি। তিনি বেড়াতে গেলে বেটা আসবে বলে অনেকে ভেবেছে, কিন্তু তথাপি বেটা আসেনি। এখন শুনছি বেটা আসতেছেন। নিজের টাকায় কেনা নেট যদি এসব প্রসব করে তবে কত আর ভালো লাগে? বেটা আসে না কেন? তিনি বললেন তিনি টুক করে দেশে ঢুকে পড়বেন।বেটা মনে হয় সেই ভয়ে আসছে না। তবে বেটা না আসলেও বেটিরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আর বেটা কিন্তু চেতনার পক্ষের লোক। তাঁদের ঝগড়ায় তাঁরা বলেন, চেতনায় ষোলআনা ভাগ তাদের, ওদের কোন ভাগ নাই। ওরা বলেন চেতনায় ষোলআনা ভাগ আমাদের ওদের কোন ভাগ নাই। নতুন স্বাধীনের লোকেরা বলছে কেউ খাবে আর কেউ খাবে না, তা’ হবে না। তাদের আবার ঐক্য নাই। একটা খেতে গেলে অন্যটা কেড়ে নেয়। টেংরা নাচে চিংড়ি নাচে, নোংরা করে পানি। ঘাটে বসে হাঁসা-হাঁসি করে কানাকানি। দেশে একটা ঘোলাটে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সামনে নির্বাচন। আপার জয়ের ব্যবস্থা থাকলে তিনি তাতে অংশগ্রহণ করবেন। যে নির্বাচনে জয়ে ব্যবস্থা নাই সে নির্বাচনে তিনি কেন অংশগ্রহণ করবেন? এদিকে যারা আপাকে তাড়িয়ে স্বাধীন হলো নির্বাচনের পর তাদের আবার পরাধীন হওয়ার সম্ভাবনা। তারপর তারা কি আবার স্বাধীন হতে চাইবে? ভবিষ্যতে কি ঘটবে সেটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে। আপাতত শীত কাল। দীর্ঘ রাত। ঘুমের জন্য ভালো। তবে সকালে উঠে অফিসে যাওয়া কষ্টকর। যেতে নাহি মনচায়। তবু অফিসে যেতে হয়। এটাই জীবন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



