somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজগুবি ছড়া :: একটি ছড়ার বই বের করার প্রস্তুতি :):)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমিকা

আগামীতে আজগুবি ছড়া নামক একটা ছড়ার বই বের করার পরিকল্পনা আছে। যে ছড়াগুলো নিয়ে বইটি সাজানোর ইচ্ছে তার অধিকাংশই কোনো না কোনো বাংলা ব্লগে ব্লগারদের সাথে 'ছড়িয়াল' যুদ্ধের সময় উৎপন্ন হয়েছে, কোনোটা আবার কারো পোস্টে মন্তব্য করার কালে প্রসবিত হয়েছে। বেশিরভাগ ছড়া সামহোয়্যারইন ব্লগ ও ফেইসবুকে রচিত হয়েছে, বাকিগুলো প্রথম আলো, কবিতা মুক্তমঞ্চ, আমরাবন্ধু, ইত্যাদি ব্লগে জন্মলাভ করেছে। এসব ব্লগের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর ঋণ প্রকাশ করছি সেইসব মেধাবী ও শক্তিশালী ছড়িয়াল ফেইসবুকার ও ব্লগারদের প্রতি, যাঁদের সাথে সংঘাতের ফলস্বরূপ এ ছড়াগুলো পৃথিবীর মুখ দেখে ধন্য হতে পারলো:)

ইতিপূর্বে নিজের ভাষায় কবিতা লেখা, সাথে আপনাদের জন্য কিছু ধাঁধা] পোস্টে বেশ কিছু ছড়া পোস্ট করা হয়েছিল। ওগুলো মৌলিক রচনা ছিল না। এ পর্বে মৌলিক ছড়া পোস্ট করা হলো। যে-সব ছড়া অন্য ব্লগারের পোস্টে/প্রেরণায়/বকুনিতে লেখা হয়েছিল, ছড়ার সাথে তাঁদের নাম যুক্ত করা হয়েছে তাঁদের প্রতি ঋণ নিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে :)

ভুলে যাওয়া ঠিকানা
তখন আমার অল্প বয়স, কতোই বা আর হবে
মা-চাচি আর খালা-ফুপুর কোল ছেড়েছি সবে
তখন আমি তোমার মতো ছোট্ট ছিলাম কী যে
গেরাম ভরে ঘুরে বেড়াই বাবার কাঁধে চড়ে
সকালবেলা বিছনাখানি থাকতো রোজই ভিজে
ওসব এখন বলতে গেলে লাজ নামে চোখ ভরে

ছোট্ট হলেও বলতে পারি কাজের ছিল ধুম
যেমন ধরো, নাওয়া-খাওয়া-খেলনা এবং ঘুম
তখন আমার বই ছিল না, দাদুর গলা ধরে
সন্ধ্যাবেলা কাটতো মজার চাঁদের ছড়া পড়ে
তোমরা কি কেউ কাগজ দিয়ে নাও বানাতে পারো?
উড়োজাহাজ? ঢাউস-ঘুড়ি? কত্তো কিছু আরো?
গাছের ডালে, কিংবা ধরো ঘরের পাটাতনে
দোলনা বেঁধে দোল খেয়েছো ভাইবোনদের সনে?

আমার ছিল ঘরের পাশে ছোট্ট চিকন খাল
তার পানিতে ভেসে গেছে আমার বাল্যকাল
পূবের ধারে ছোট্ট পুকুর, ঠাণ্ডা ছিল জল
বর্ষাতে তায় লগ্গি ফেলে খুঁজতে হতো তল

একদিন এক বকের বাসা হঠাৎ দিয়ে হানা
পেয়েছিলাম চোখ-না-ফোটা একটি ছোট ছানা
ডোবার ধারে ডাহুকপাখির বিষম আনাগোনা
ধানের শিষে ফাঁদ পেতেছি, কিংবা মাছের পোনা

তোমার কি ভাই লাটিম ছিল? আর কী ছিল, বলো?
বড়শিতে কি মাছ ধরেছো? ঝাঁকিজাল, বা পলো?
আমার ছিল উদোম গায়ে নাচনতোলা দিন
ধানের ক্ষেতে সবুজ দুপুর, বিকেলটা রঙিন
এসব কথা শুনে তোমার ইচ্ছে হতে পারে
সেই যে ছিল সোনার জীবন- কোথায় পাবো তারে?

কেমন তোমার দিন কেটেছে? কোন্ গাঁয়ে? কোন্ দেশে?
কোথায় তোমার মায়ার জীবন ঘর বেঁধেছে শেষে?
আমার এখন মন টেকে না ইটপাথরের ঘরে
মন ছুটে যায় কিশোরবেলার ধু-ধু তেপান্তরে
তোমরা কি কেউ সঙ্গে যাবে? জলদি বলো নাম
বেরিয়ে পড়ো, বেরিয়ে পড়ো, ঐ দেখা যায় গ্রাম
তোমরা ভাবো- আমিও আবার গ্রাম দেখেছি নাকি?
মিথ্যে না তা- মনের ভেতর গ্রামেই পড়ে থাকি

খুব বুঝেছি খুব বুঝেছি তোমাদের কারসাজি
জলদি করো, দোস্তি মানো, দোস্তিতে হও রাজি
অবাক মধুর ছন্দদোলায় চলতে থাকো সবে
ভুলে যাওয়া নিজ ঠিকানায় আবার মিলন হবে

কাঁদছে নদী নীরব ভাষায় শুকনো যে তার বুক
তার গহনে সোনাভরা একখানি সিন্দুক
ঐ দেখো তার হাতছানি ভাই, বেরিয়ে পড়ো সবে
উথালপাথাল ঢেউতুফানে প্রাণখোলা উৎসবে

২৪ এপ্রিল ২০১০ রাত ১০:৫১


পিতৃভূম
কে লিখেছে কে লিখেছে
এই চিঠিটা কার?
এমন সাহস কার হয়েছে
লিখতে ‘ভিটা ছাড়’?

আমরা করি গেরস্থালি
নিজের জমি চাষ
নিজের ঘরে কামলা খাটি
নিজের ক্রীতদাস

বাপদাদাদের এই ভিটেতে
চৌদ্দ পুরুষ খাঁটি
সামনে দাঁড়াও, বৈরী তোমার
বুকের উপর হাঁটি

৩০ অক্টোবর ২০০৯ রাত ১২:০৫


পদের বচন
(ব্লগার মুকুল আমরাবন্ধু ব্লগে ‘পদাধিকার বলে’ শিরোনামে একটা কবিতা পোস্ট করলে মন্তব্যের ঘরে এ ছড়াটি লিখেছিলাম)

তোমার আমার সবার আছে পদের বাহাদুরি
পদের উপর চাপ বেড়ে যায় বাড়লে পেটের ভুঁড়ি

অসাবধানে পথ চলে কেউ পদে হোঁচট খেলে
ব্যথায় কাতর হয় কি কভু অন্য বাড়ির ছেলে?

আমার পদে জোর কমেছে, চলার শক্তি নাই
গাধার পদে বল বেড়েছে, লাফাচ্ছে সে তাই

পদের কাব্য পড়ে বুঝি পদের হচ্ছে লোভ
পদ হারিয়ে কালুর ব্যাটা ঝাড়ছে মনের ক্ষোভ

আমরা যদিও পদের মালিক, কিন্তু জেনো ভাই
ন্যাংড়া-খুঁড়োর ভাঙ্গা পদের এক কড়ি দাম নাই

একটা খুশির খবর আছে, জানতে পেলাম সবে
আমার নাকি পদের ওজন একটু ভারী হবে।

মেপে দেখি পদের ওজন তিরিশ কেজি মোটে
মধ্যখানে যায় চেগিয়ে দেহের ভারের চোটে

২২ মার্চ ২০১০ রাত ১২:১৫


মন খারাপের ঘরে
(ব্লগার কালপুরুষ সামহোয়্যারইনব্লগে ‘মন খারাপের মেয়ে’ শিরোনামে একটা কবিতা পোস্ট করেছিলেন। তাঁর পোস্টে মন্তব্যের ঘরে এ ছড়াটি লিখেছিলাম)

মন খারাপের ঘরে ছিল মনপবনের বাস
একটি শণের কুটির ছিল মরা নদীর ধারে
একটি হরিণ বনের ভিতর কাঁদতো বারো মাস
একটি কথাই আমার শুধু বলার ছিল তারে

তোমরা বোঝো দুঃখবিলাস শুকনো মাঠের খড়
আমার ভিতর গুমরে ওঠে চৈত্রদিনের ঝড়

২৫ মার্চ ২০১০ রাত ১২:৪৪


থলের বেড়াল
এবার আমার থলের বেড়াল
বেরিয়ে গেলো বুঝি
কোথায় গেলো, কোথায় গেলো
কোণাকাঞ্চি খুঁজি

কেউ জানালো, গাঁয়ের হাঁটে
ঘুরছে সারাবেলা
কেউ জানালো, উদোম মাঠে
জমিয়েছে খুব খেলা
নাচতে বেজায় শখ নাকি তার
কিন্তু ব্যাপার হলো
উঠোনটা যে বাঁকা ভীষণ
নাচবে কোথায়, বলো!

এমনি অনেক তামাশা সে
দেখায় ভারি রোজ
আমার সাধের থলের বেড়াল
কোথায় করি খোঁজ!

২ নভেম্বর ২০০৯ রাত ৮:১৭


সম্পূর্ণ কাল্পনিক
তাসের ছবির মতো কোনো এক রাজা
কুঠারে মারেন মশা সোজা এক কোপে,
আমড়া কাঠের এক কেদারায় বসে
গাছের কাঁঠাল দেখে পাক দেন গোঁফে।

জিলিপির প্যাঁচ দেখে চাপড়িয়ে মাথা
খাল কেটে পানি এনে যান গোসলেতে
কলুর বলদ কিনে টাকা বাকি রেখে
পটল তুলিতে যান অটলের ক্ষেতে।

যেদিন আমার কথা তুমিও ভুলিবে
এ কবিতা সেইদিন পটল তুলিবে

১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০০


ভাগ্যরেখা
(ব্লগার নুরুন নেসা বেগম সামহোয়্যারইনব্লগে ‘ভাগ্যরেখা’ শিরোনামে একটা পোস্ট লিখেছিলেন। তাঁর পোস্টে মন্তব্যের ঘরে এ ছড়াটি লিখেছিলাম)

কুঁড়ের রাজা স্বপ্ন দেখে দেশের রাজা হবে-
রাজত্ব কি গাছে ধরে? কে দেখেছে, কবে?
একটা কিছু গেলেই হলো পেটের ভেতর দানা
আমি কি হে অজর জীবন পাবো? - না না না না
যে কটা দিন বাঁচতে পারি বাঁচার জন্য খেয়ে
যেটুকু কাজ করতে পারি তাই ভালো সবচেয়ে
পেটের দানা ফলবে হাতে, বীজ বুনেছো তাতে?
হাতের ’পরে ভাগ্যরেখা নাও গড়ে নিজ হাতে

১৭ মার্চ ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮


মজার খাদক
সামহোয়্যারইনব্লগে ব্লগার নুরুন নেসা বেগম ‘মনটা আমার’ শিরোনামে একাট রম্য ছড়া পোস্ট করলেন। সেখানে অনেকের মতো আমিও একটা ছড়া পোস্ট করেছিলাম মন্তব্যের ঘরে।

এমন খাদক কোথাও খুঁজে পাবেন নাকো হে আপা
পোলাওকোর্মা খান না তিনি, প্রিয় তার দই-মাঠা
তিনি খান ভালো খেজুর গুঁড়ের পাটিসাপটা ও ভাঁপা
নাসিকা ডুবিয়ে তিনবেলা খান আঁটার রুটি ও পাঠা

এতো এতো খেয়ে পরাণ ভরে না, আরও কিছু খেতে চান
কোথা পাবো ছাই, সাবাড় হয়েছে দুনিয়ার মেনু সবই
সাধ হয় যদি দেখিতে তাহারে, আমারে একটু জানান
এমএমএস করে পাঠিয়ে দেবো পাসপোর্ট সাইজ ছবি

১৭ মার্চ ২০১০ ভোর ৬:২৯


আজগুবি ছড়া
গুঁড়ে চিনি দুধে দধি ঘোলে মাখন মেখে
একটুখানি দেখুন চেখে কী ভয়ানক স্বাদ

ঘোড়ার উপর বসুন চেপে কিংবা হাতির পিঠে
এরপরে দিন পদ্মা পাড়ি ডিঙ্গিতে পাল তুলে

শীতের রাতে গোসল করুন পুকুরজলে নেমে
উদোম গায়ে শুয়ে ঘরে দিন এসিটা ছেড়ে

বালু দিয়ে ঘর বানালে পাবেন বালির ঘর
কলাগাছের তক্তা দিয়ে খাট বানাবেন তবে

বইপুস্তক পড়তে গেলে চাপ বেড়ে যায় ব্রেনে
এরচে ভালো বইগুলো সব খান গুলিয়ে জলে

আপনি কি ভাই শিল্পী মানুষ? কেমন গানের হাত?
নাচের আগে গলাখানি নেবেন যেন সেধে

ঘুম না এলে কী কাজ করেন? দেখুন টেরাই করে
সিনেমাতে ঢুকলে কেমন ঘুম আসে নাক ডেকে

এসব যদি করতে পারেন, বলবে গাঁয়ের লোকে
এমনতরো বীর বাহাদুর কেউ দেখে নি আগে
না পারিলে কী আর করা, একটি মুগুর তুলে
মনের সুখে, কিংবা দুখে করুন মাথা গুঁড়ো

৫ এপ্রিল ২০১০ রাত ১০:৪৯


ধূরন্ধর মেয়েপুরুষ
(একবার কোনো এক বাংলা ব্লগে একজন ব্লগার ১৮+ বয়স্কদের জন্য কিছু এডাল্ট কৌতুক পোস্ট করলেন। তিনি একজন পুরুষ ব্লগার, কিন্তু নারী ব্লগারের নিক ধারণ করেছেন। তাঁকে নারী ভেবেই ব্লগারগণ তাঁর সাথে হাসিঠাট্টা, কৌতুক করেন। কিন্তু তাঁর এ এডাল্ট পোস্টটি দেখে ব্লগারগণ অবাক হলেন, কেননা, একজন নারী ব্লগারকে ব্লগে এ ধরনের পোস্ট লিখতে দেখা যায় না। তাঁর পোস্টে মন্তব্যের ঘরে এ ছড়াটি লিখেছিলাম।)

আচ্ছা আপু, দুষ্টু লোকে তোমায় কেন ‘বোন’ ভাবে?
এমন আজব সম্বোধনের বিচার হবে কোন্ ভাবে?
আমরা পুরুষ নারীর কাছেই টইটুম্বুর রস খুঁজি
তোমার তেমন ইচ্ছে ভারি, ধরছো নারীর রূপ বুঝি!
রাগ করো না, রাগ করো না, লক্ষ্মীমণি ভাই, কী বোন
আমরা এমন অনেকেই ধূরন্ধর ও অসজ্জন।

১৭ মার্চ ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০


তোমার ইচ্ছে
(ব্লগার চারুপাঠ সামহোয়্যারইনব্লগে ‘মন করে আনচান’ শিরোনামে একটা কবিতা পোস্ট করলে মন্তব্যের ঘরে এ ছড়াটি লিখেছিলাম)

আমার এখন ইচ্ছে করে নদীর ধারে বসতে
তোমার দেয়া কঠিনতম অঙ্কগুলো কষতে।
আমার আরও ইচ্ছে করে নদীর ঢেউয়ে নাবতে
কাঁথার তলে পিদিম জ্বেলে তোমার কথা ভাবতে।
এমন কতো ইচ্ছে আমার নদীর জলে ভাসছে
তাতে তোমার কত্তোটুকু যাচ্ছে, কিবা আসছে!

১৭ মার্চ ২০১০ রাত ৮:০০


মেয়েদের এককলা
কেমনতরো বললে কথা
জমবে বুকের অস্থিরতা
এসব তোমার জানা
আমার কেবল ইচ্ছে করে
তোমার কোমল নাকটি ধরে
আদর করে দুইগালেতে
চড় মারি দুই খানা

হাসছো যে খুব বড়!
উলটো না হয় তুমিই আমায়
মারো এমনতরো!

নারীর হাতের নরম চড়ে
জানো তুমি, কী আছে সুখ?
জানবে তুমি কেমন করে
তুমি তো আর নও হে পুরুষ!

১৭ মার্চ ২০১০ রাত ১০:০৭

তারাদের কথা
রাত নাই দিন নাই
ওরা শুধু ছুটছে তো ছুটছেই
আকাশের অসীমে

জ্বালা নাই খিদা নাই
ঘুম নাই
নাই কাম
অবিরাম বেঁচে থাকে
কার যেন মহিমে

৫ অক্টোবর ২০০৯ রাত ১১:৫৮


কুহকিনী
একদা প্রেম ছিল তুফানে ও ঘরের শিকড়ে
এখন সে কুহকিনী, জানি না কোথায়, কী করে

অক্টোবর ২০০৮

অপ্‌সরার পুতুল
হাত খসে দাঁড়ালো পুতুল;
চোখ হলো, ভুরু হলো, হলো তার একগোছা চুল।
আহারে কাঠের চামচ, ফুটন্ত সালুন-জলে পুড়িবে না আর;
কী দারুণ মানিয়েছে একসারি অপ্সরা ও পরীর মাঝার।

১৬ মার্চ ২০০৯


আসুন, একটা গান গাই
আসুন একটা গান গাই
আমার গরুর দুঃখ নাই
তাই আকাশে পা তুলে লাফাই
আসুন একটা গান গাই

হাতি ইঁদুরের গর্ত খোঁজে
তেলাপোকার লাথির ভয়ে
বাঘ ও সিংহ ছুটে পালায়
খেকশেয়ালের চড় খেয়ে
কী যমানা দেখছি রে ভাই
আসুন একটা গান গাই

লাগাম ছেড়ে কথা বলে
আগাম গালি খাচ্ছে লোকে
মায়াকান্নায় চোখ শুকিয়ে
এখন পানি নাই যে চোখে
কী যমানা দেখছি রে ভাই
আসুন একটা গান গাই

এখন অনেক রাত হয়েছে
চলুন তবে বাত্তি নিভাই
সে কাজ আমি করবো এখন
আপনারা যা করেন সবাই
যেমন মানুষ তেমন ভাবে
এই দুনিয়ার নিয়ম এটাই
আসুন একটা গান গাই

১১ মে ২০০৯


দ্বিপদিনী
কোন্ বয়েতি শেখালি তুই মেয়ে
প্রেমের ঘাটে ঘোলের পানি খেয়ে?

১৩ অক্টোবর ২০০৯ দুপুর ২:১৯


মেয়েকপালে ছেলে
ছেলের কপাল মন্দ কপাল
জোটে না তার মেয়ে
এ শোকে তার দিন কাটে হায়
খেয়ে, বা না খেয়ে

সুন্দরীদের চুলের খোঁপায়
দেয় বারে বার হানা
একটা-দুটো জোটেও যদি
খুঁড়ো, না হয় কানা

৪ মার্চ ২০১০ বিকাল ৫:৩০


বলার কথা নয়
মামার ছিল হুলো বিড়াল
আমার ছিল পুষি
সুমির ছিল জুতোর ফিতা
রুমির ছিল খুশি।

ওদের ছিল ফুলের ঝুড়ি
রোদের ছিল সাথী
ঘরের ছিল পাটের দড়ি
পরের ছিল হাতি

সবাই গেলো নদীর পাড়ে
গদাই কোথা র'লো?
কলার পাতে চড়ুইভাতি
বলার কিছু হলো?

৫ মার্চ ২০১২ রাত ২:৫০


আমাদের লাবিব
দুষ্টের শিরোমণি
তেড়া তার ঘাড়
নিজ হাতে খায় না সে
নিজের খাবার!

টিভি আর ল্যাপটপে
মালিকানা তার
সাধ্য কি দাবি করি
কিছু অধিকার!!

টিভি ছেড়ে কার্টুন
ল্যাপটপে গেমস
‘কলাভেরি’ গান গায়
আমাদের জেমস!!!

৭ মার্চ ২০১২

আজগুবি ছড়া-২
তোমার কেন ইচ্ছে করে পাখির মতো হাঁটতে?
পাটার উপর পানি ঢেলে সারাটা দিন বাঁটতে?
তোমার কেন পাখির মতো শাড়ি পরার সাধ হয়?
পাখির মতো কাটলে সাঁতার কেন অপবাদ হয়?

তোমার যখন পাখির মতো ব্লগিং করার ইচ্ছে
আমার তখন একটি চড়ুই শূন্যে উড়াল দিচ্ছে


যাবজ্জীবন হাজতবাস
লোকটা কী ভালো ছিল
ছিল কতো সুখে
গতকাল বিয়ে করে
জেলে গেলো ঢুকে!

এই জেল সেই জেল
কুড়ি মাসে সাল
বউয়ের হুকুমে টানে
লাঙ্গল-জোয়াল!

২৯ আগস্ট ২০১২

***
ছড়িয়াল, ছড়ার যুদ্ধ
কোনো এক বাংলা ব্লগে একটা কবিতা পোস্ট করা হলে বিভিন্ন ব্লগারের মন্তব্যের উত্তরে কিছু ছড়া লেখা হয়; কেউ কেউ নিজেরাই মজা করে ছড়া লিখতে থাকেন; ‘কবিয়াল’ লড়াইয়ের চেয়ে এ ‘ছড়িয়াল যুদ্ধ’ কম মজাদার ও আনন্দদায়ক ছিল না।

রাতমজুর: ডিটেইল কন:) বুড়া হৈতেছি :)

আমি :
বয়স কেবল বেড়েই চলে-
মন বোঝে না ওসব ছুঁতো!
মন মজে রয় রঙ্গরসে
মন কখনো হয় কি বুড়ো?

গোলন্দাজ: খালি চুম্মাচুম্মি করলেই হইব নাকি, ডিটেইলও দিতে হইব:)

আমি :
বয়স আমার তিন কুড়ি তিন
খাই সন্দেশ, মণ্ডামিঠাই:)
বাউকুল আর মিষ্টি তেঁতুল
এরচে’ স্বাদের আর কিছু নাই:)

নুরুন নেসা বেগম:
কাজা রোজা আদায় করলে কেমন হয়? আর যার দরকার নাই সে খাবার থেকে দূরে থাক, ব্লগে ব্যস্ত থাকুক। ব্লগে ব্যস্ত থাকলে খাওয়া কম হবে। আমরাও ভালো খাবার/ভালো লেখা বেশি পাবো।

আমি :
আমার বাড়ি অবশেষে
এলেন সদাশয়া!
মেঘ না চেয়েই বৃষ্টি পেলাম
এ আপনার দয়া।

জলের দেশে পরীর দেশে
পদ্মলোচন হাসে
গোপনে তার পায়ের চিহ্ন
আমার চোখে ভাসে:)

অপ্‌সরা:
খাও কি তুমি শশা-গাজর?
বুটছোলা আর শুকনো মুড়ি?
তেঁতুল গোলা, করলা-ছানা
সবজি খেও ঝুড়ি ঝুড়ি।

তিনটি বেলা খাবার পরে
কলসভরা জলটি খেও,
রোজ সকালে কলতলাতে
বালতি ভরা শাওয়ার নিও।

রোগ বালা সব দূর পালাবে
মেদভুঁড়িরাও থমকে যাবে
হলিউডের সিনেমাতে
তারপরেতে নাম লিখিও।

ভুলেও যেন ভুল করো না
তিনটি বেলা ডন বৈঠক
নইলে যাবে সবই বৃথা
সহ্য খিদে কাপ ঠকাঠক।

আমি :
গাজরশশা খাই না, তবে
ঘোড়ার মতো বুটচানা খাই:)
বউ তেঁতুলের চাটনি দিলে
বউয়ের কথাও যাই ভুলে ভাই:)

সবজি হলো ঘাসের মতোন
ওসব বাপু গরুর খাবার
বউ রাঁধিলে উচ্ছে ভাজি
আমিই একা করি সাবাড়:)

শরীর আমার শুকনো কাঠি
জলপানে বিষ- এ ভাব দেখাই;)
রুটিন মাফিক তিনবেলা তাই
বউয়ের হাতের কানমলা খাই:)

এখন যদি কাঁদান আমায়
গোসল করার কেচ্ছা বলে
ডুবসাঁতারে তলিয়ে যাবো
আষাঢ় মাসের খালের জলে:(

রোগবালাইয়ের কী আর বলি
নীরোগ থাকাই বড্ড অসুখ
তাই আপনার সোনার মুখে
ফুলচন্দন পড়ুক পড়ুক:)

এবং ধরুন হলিউডের
চোখধাঁধানো রংবাহারি
নয় আমাদের। ওসব কেবল
অপ্সরীদের মানায় ভারি:)

ভুলেও তুমি ভুল করো না
আমায় কিছু বুদ্ধি দিতে
সুযোগমতো ডিম ফুটাবো
তোমার পরামর্শটিতে:)

সবশেষে ভাই একটি কথা
করছি স্বীকার অকপটে
আপনি খাসা লেখেন ছড়া
মালুম হলো আজকে বটে:):)

লালসালু: আমি এখনো জোয়ান

আমি :
আজকে তুমি জোয়ান আছো
কাল কী হবে, জানো?
বড়াই রেখে অবিনশ্বর
সত্যটাকে মানো:)

অপ্‌সরা:
হাহ হা হা ভাইয়া তুমি লিখলে বেজায় বেশ সে ছড়া
শেষ প্যারাতে এসে আমি হেসেই খেলাম বিষম কড়া।
ছড়াছড়ি দেখলে কি আর, ইচ্ছে হলেই অপ্সরীরা,
নামতে পারে মাটির ’পরে উঠতে পারে পাহাড়চূড়া।

ফের ভেবো না করছি গরব, ফানটি আমি বেজায় করি
ভুলের মাশুল দিতেও আবার মাঝে মাঝেই যাই যে মরি।
মরেও আবার বেঁচে ওঠা এ এক ভীষণ মজার খেলা
তাই তো আমায় সমঝে চলো, ঢের করো না হেলাফেলা।

বুদ্ধি আমি দেবোই দেবো দেখবো আমি কবি ভায়া
কেমন করে ডিমটা ফুটাই? মুরগি নাকি মানুষ কায়া?
(মাইর দিওনা)

এবার বলি গোপন কথা জেনে ভীষণ লাগছে মজা
কিল চাপ্পড় ভাবীর হাতে বেশ তুমি খাও যাচ্ছে বোঝা।
তেঁতুল চানা সবজি খেয়েও শরীর কেন শুকনো কাঠি?
তার মানে কি কানমলাটাই দুখের কারণ সবচে’ খাঁটি??

আমি :
হায় হায় হচ্ছে টা কী?
ভাবছো আমায় কবি নাকি?
কেমন করে স্রোতের মতো
ছাড়ছো ছড়া অবিরত?

এবার তুমি থামো
নিচের তলায় যাবো এখন
ডাকছে আমার বউ

হাসছো কেন, বেবি?
ছন্দে বেজায় অমিল পেয়ে?
নাকি অন্য কিছু?

এই দেখো না ছন্দ তোমার
মিল-অমিলের লাউ
আমি গেলাম নিচের তলায়
তুমি কচু খাও!

অপ্‌সরা:
এহ হে রে
তোমার মতো ভাবো নাকি
আর সবেরে ???
কচু শুধুই খায়????
অপ্সরীরা ফুলমধু খায়,
মণ্ডামিঠায় আর যতো পায়
পরীরাজের কন্যা আমি
এই কথাটি সবার আগে
মনে রাখা চাই।

নানা না না অমিল দেখে
হাসছি না তা নিশ্চিন্তে থাকো
বউমণিকে ভয় তুমি পাও
সে কথাটা জানতে না পাও,
আমরা জানি সেসব যেন
খুব ভালোই করে
তাইতো এখন ভাবীর ডাকে
ছুটলে তুমি নাকে-মুখে
পড়িমড়ি করে।

আমি :
নিচের তলায় যেয়ে দেখি-
ফারিহানের কাণ্ড এ কী!
গোঁ ধরেছে মায়ের কাছে
ফ্রিজের ভেতর যা যা আছে-
চকবার জ্যুস পেপসি ফ্রুটো
কোন-আইসক্রিম একটা-দুটো
সবকিছু তার চাই-
সবই আছে, কিন্তু আহা
কোন-আইসক্রিম নাই!

ছোট্ট লাবিব পাগলা, জেদি
নেয় না কিছু মেনে-
বলে, আমার কোন-আইসক্রিম
এক্ষুণি দাও এনে!

হাটবাজারের দোকানবিতান
আটটাতে যায় বন্ধ হয়ে
কোথায় যে পাই কোন-আইসক্রিম
রাত বারোটার পর সময়ে!

গাড়ি ডাকো, পোশাক পরো
জলদি করো! জলদি করো!
অমনি লাবিব লাফিয়ে ওঠে
মুখে হাসির ঝিলিক ফোটে

তারপরে কী হলো-
হাঁটের সকল কোন-আইসক্রিম
ফুরিয়ে গেছে বেশ কিছুদিন
অবশেষে কী আর করা, বলো-
বাজার থেকে ফারিহানের বউটি
কেনা হলো!

রাগ ইমন:
এবার পেলাম আমার মতন লম্বা মতন বেঁটে
সাদা মতন কালো বরণ, চিকন মতন মোটা
খুব বুঝেছি যখন আমার মনটা কেঁদেকেটে
হচ্ছে খারাপ তখন আমার এই ব্লগে দুই গোটা
বন্ধু আছে যাদের আমি ছন্দ দিয়ে ডেকে
লিখতে পারি, খেলতে পারি, ইচ্ছে মতন খেলা
মন খারাপের দারুণ ওষুধ পদ্যছড়া এঁকে
ধরেই দেখো জমবে কেমন তিন পাগলের মেলা!

আমি :
তিন পাগলের জমছে মেলা
খেলছে ওরা দারুণ খেলা
সেই খেলাটি খেলতে গেলে
ধপাস ধপাস ল্যাংটি খেলে
নারীর মাথায় টাক হবে আর
পুরুষ পাবে নারীর বাহার

তখন কী যে হবে!
দারুণ মজার মানুষগুলো
হাসির কথায় উঠবে কেঁদে
দুঃখ পেলে নাচবে সবে
আনন্দ-উৎসবে:)

অপ্‌সরা:
বাজার থেকে বউ কেনা যায়?
বলছো এসব কিতা??
বাবার মতো পাগলাটে আর
বদ্ধ হবে মিতা?
ভাইয়া তুমি নিজের মতো
আবোলতাবোল ভাবনাতে,
আর খেও না বাবুর মাথা
দিনদুপুরে আর রাতে।

সত্যি বলো, রাত দুপুরে
যায় না পাওয়া আইসক্রিম,
তারপরেতেও বায়না ধরে
দাও আনিয়ে ভূতের ডিম।

রাতের বেলা রাতদুপুরে
বাইরে বড় গাছটাতে
ভূতের ছানার সঙ্গে তাদের
সদ্যফোটা ডিম থাকে।

এসব বলে চুপিসারে
ফ্রিজ থেকে ডিম নিয়ে
বানিয়ে ফেলো চপ কাটলেট
পেঁয়াজমরিচ সিম দিয়ে।

তারপরেতে ভুলভুলিয়ে
গলগলিয়ে গল্পেতে
চালান করো পেটের মাঝে
বুঝুক মজা কেমন খেতে।

আসল কথা ঠিক জানো না
কী সব বাবা মা হলে??
বাবুসোনা লাগছে খিদে
রোজ রাতেতে রাত হলে

পেটটি পুরে পুষ্টিকর আর
স্বাস্থ্যকরী খাদ্যতে
ভরিয়ে দাও ছোট্ট পেটুক
ভালোবাসা দিয়ে সাথে। :):):)

আমি :
ঠিক ধরেছো ঠিক ধরেছো
বাবুর ছিল খিদে
পেটের খিদে সাড়ে নাকো
সুন্দরী বউ দিয়ে:(
আমরা কি আর অতো বুঝি
সরল সাদাসিধে-
পেটের জ্বালা না মিটিয়ে
দিয়ে ছিলাম বিয়ে:)

অপ্‌সরা:
ইমন আপু ঠিক ধরেছো
ছেলেবেলার মতো
চলো খুলি ছড়ার খাতা
হটিয়ে দুঃখ যতো।

মন খারাপের দুখপাখিকে
দরজা খাঁচার খুলে
দেই উড়িয়ে আজীবনে
এ পথটি যাক ভুলে।

খাঁচার ভেতর থাকুক শুধু
অচিন পাখি সেই
মনোবেড়ির বাঁধন ছাড়াই
এমনি ধরা দেয়!!!:P

আমি :
আপনার সাথে দেখি পুরোপুরি মিলে যায়
ছড়া লিখিবার খেলা অদ্ভুত মজাদার
নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে এ খেলাটি খেলা যায়
শুধু ভয় - বউ যদি তেড়ে আসে পেটাবার:)

অপ্‌সরা :
বউমণি যদি আসে তেড়েমেড়ে মারতে
কানমলা দিতে আসে দুটি কান ধরতে,
কবিয়ালি বুদ্ধিতে ছটপট ঝপাটে
শুনিও মজার ছড়া লটপট সপাটে।

নিশ্চিত জেনে রাখো ছড়া শুনে ভাবীজির
রাগ সব হবে জল বধূ সে তো কবিজির।
তারপর দৌড়িয়ে নাওয়া-খাওয়া সেরে সব
লিখিতে বসিয়া যেও মজাদার ছড়া সব।

মাঝে মাঝে শিশু হতে নেই কোনো বাঁধা নেই
গলা ছেড়ে ভ্যাঁ ভ্যাঁ রবে নেই বাঁধা সাধা নেই
রঙতুলি নিয়ে ভর কাগজের মাঝটা
হোক অনাসৃষ্টি সে পড়ে থাক কাজটা।

আমি :
বউশাসিত পুরুষসমাজ বউয়ের ভয়ে ত্রস্ত
বউয়ের ঠেলা সামাল দিতে সাহস লাগে মস্ত
আমার বড় বুকের পাটা, সাহস দেখাই কম কম
উল্টো বউয়ের মুগুর খেয়ে বন্ধ যদি হয় দম

তোমরা এমন ভুল করো না লড়তে বউয়ের সঙ্গে
এমন মধুর শিক্ষা পাবে, বুঝবে অঙ্গে অঙ্গে

সুমন আহমাদ স্বাধীন:
কে বলেছে ছন্দে অমিল
কে বলেছে ছন্দ নাই ?
সত্যি দারুণ পোষ্ট দিয়েছেন
এই মতে আর দ্বন্দ্ব নাই।

আমি :
খাওয়ার মাঝে নাওয়ার মাঝে
হাওয়ার মাঝে গাওয়ার মাঝে
সবকিছু্তে সবখানেতে
মিল-অমিলের ছন্দ থাকে

এই কথা কেউ বলতে গেলেই
সবাই তাকে মন্দ ডাকে:(

সুরঞ্জনা:
আহা আহা কী হেরিলাম কি হেরিলাম চক্ষে
ছন্দ আমার কেন আসে না, বিষম ব্যথা বক্ষে।
সবাই কেমন ছন্দ মিলায়, আমিই শুধু গাধা
ছন্দ ছাড়া বলতে কথা দিচ্ছে না কেউ বাধা।

আমি :
মুগ্ধ হলাম দারুণ মজার এই ছড়াটি পড়ে
ভালোই হলো, ছড়ার লেখক পেলাম আরেক জনা
ছড়ার খেলা চলছে হেথায় বেশ কিছুদিন ধরে
আপনাকে খুব মিস করেছি ম্যাডাম সুরঞ্জনা!

শায়মা:
ফুলকুড়ানো ভোরের বেলা
আম কুড়ানোর দিন
যাচ্ছে পড়ে আমার মনে
বাজছে স্মৃতির বীণ।

ঝড় উঠছে আকাশ জুড়ে
মনটা উচাটন
তোমারও কি টানে না মন
ছেলেবেলার ক্ষণ?

এমন দিনে বাদল সুরে
স্মৃতিরা গান গায়
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা
ফুল তুলিতে যাই।

আমি :
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা
আমার ঘরে আয়
খেজুর রসের খির রেঁধেছে
সোনামণি মায়

আরও আছে পাটিসাপটা
ভিজনে পিঠে, খই
নারিকেলের মোয়া আছে
গোয়ালাদের দই

মা যে আমার বসে আছে
পিঠে পাকলা বেড়ে
আয়রে আমার বন্ধু সুজন
সব ভুলে, সব ছেড়ে

শায়মা :
ছেলেরা আর খায় না পিঠা
খির চিড়ে আর দই
সব হয়েছে বদলে বুড়ো
সেই ছেলেরা কই?

যে ছেলেরা গাইতো সেদিন
মধুর ছড়াগান
তারাই এখন ক্লোজআপ শিশু
গায় প্রেমেরই গান।

কচি মুখে পাকনা কথা
বড় বড় বুলি
ভোট চেয়ে গান গায় সকলে
মুখে ফেনা তুলি।

শুনে সেসব ইচ্ছে করে
থাপড়ে করি শেষ
কানটা ছিঁড়ে দেই তাদেরি
(যাঁরা) শিখিয়েছেন বেশ।

ছেলেবেলা যদি না হয়
ছেলেবেলার মতো
বুড়োবেলাই হোক না তবে
বুড়োবেলার মতো।

আমি :
বাবুমিয়ার ভাল্লাগে না
দেশের কোনো কিচ্ছু
ইংরেজিতে কাঁদেন তিনি
কামড়ে দিলে বিচ্ছু
সামান্থা ও ম্যাডোনাদের
গানের তিনি ভক্ত
সাবিনাদের একটি কলি
বলা যে তার শক্ত
ছবিঘরে যান না তিনি
পিসিতেই কারবার
দেশের নামে থুথু ফেলেন
বিদেশিটা বার বার
লুংগি-চাদর ভাল্লাগে না
পরেন সদাই প্যান্ট-শার্ট
ঐ পোশাকে টয়লেটে যান
এতোই তিনি ইসমার্ট

বাবুমিয়ার ভাল্লাগে না
এ দেশমাটির গন্ধ
বিদেশ যাবেন, পকেট খালি
তাই কী বিষম দ্বন্দ্ব!

সবাক :
খেলতে এসে ছড়া
ধমক খেলাম কড়া

উপরের সব ছড়ার রাজা
ছড়া লেখেন কড়া ভাজা

পড়তে গিয়ে তালে তালে
নেচে উঠি ভোলে ভালে

আয় হায়! নাচ থামে না, তাল থামে না
ধুর শালা! আর খেলুম না

আমি :
কেমন তুমি ছড়ার রাজা
খাও কলা আর ছোলা ভাজা
আমার প্রিয় রয়না মাছ
ভরদুপুরের কদম গাছ

শায়মা :
সবাক তুমি অবাক হলে
ছড়ার খেলা দেখে!
এমন করেই সব শিশুরা
ছড়ার খেলা শেখে।

খেলুম না তা বলেও
তুমি পাবে না মাফ আর
জয় পরাজয় নেই এখানে
নেই এখানে হার।

তালে তালে নাচো যতোই
খেলবে তালের মাথা ততোই
ছন্দ লয়ের মন্ত্রলয়ে
ছড়ায় পাবে পার।

সুরঞ্জনা:
মেঘে মেঘে হলো বেলা
চলছে সুয্যি ডুবোর খেলা।
তবু কেনো মন যে কাঁদে
সেই সকালের তরে
যে সকাল আর আসবে নাকো
আমার ছোট্ট ঘরে।

আমি :
দিন গুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলো না
খুবই সুন্দর লিখেছেন, ম্যাডাম সুরঞ্জনা

মেঘ বলেছে যাবো যাবো:
অনেক ভালো লাগলো
যোগ দিতে ইচ্ছে হলো।।

আমি :
মেঘ বলেছে যাবো যাবো
মাথলা মাথায় ধান শুকাবো
বোশেখ মাসে এসো, তোমায়
মেঘ নামানোর গান শুনাবো

আমি :
দাদুর ছড়ি লম্বা ছড়ি
আমার ছড়ি বাট্টু
তোমার ছড়ি ভাঙ্গা ছড়ি
মাঝখানেতে গিট্টু

*এটা রবীন্দ্রনাথের একটা ছড়ার অনুরূপ:):)

শায়মা:
ছেলেবেলার মতন মধুর হয়তো কিছুই নাই
এখনতো আর ভরে না মন যত্ত কিছুই পাই।

গ্রামের পথে দেখেছি এক হাওয়াই মেঠাই ওয়ালা
সেই ছবিটাই আর কখনও হয় নি আমার ভোলা।

বাঁশিওয়ালা তুলেছে সুর ছোট্ট মনের ঘরে
সেই বাঁশিটার জন্য আমার মন যে কেমন করে।

সাপুড়েদের সাপের খেলা ঘোর লাগানো বীণ
সাপের মাথার মণির তরে মন করে চিনচিন।

দেখেছিলাম একদিন এক ছোট্ট পুতুল মেয়ে
আঁকাবাঁকা গাঁয়ের পথে যাচ্ছিল সে ধেয়ে

লাল হলুদে মিশেল দেওয়া চিকন পাড়ের শাড়ি
জানতে ভীষণ ইচ্ছে ছিল কোথায় মেয়ের বাড়ি?

আজো হতে ইচ্ছে করে সেই মেয়েটির মতো
অবাধ স্বাধীন চঞ্চল বীণ নেই ভাবনা শত।

যদি থাকে পরজনম, আবার আসি ফিরে
সেই মেয়েটি হবো আমি অচিন নদীর তীরে।

আমি :
সেই মেয়েটির খোঁপার ভাঁজে
জীবন নামে রোজ
পর জীবনে একটুখানি
আমার নিও খোঁজ

সবাক:
আয় তোরা জোড়া জোড়া
চলছে ছুটে ছড়ার ঘোড়া
শায়মা ভাইয়ে খোঁচা দিলো মোরে

এবার তবে পড়বে ধরা
ঝেড়েছি সব বাধার জরা
শায়মা ভাইয়া ওই পালাচ্ছেন দৌড়ে

কী করি ভাই কলিকালে
ছন্দপতন এই আকালে
মন মজে রয় ছন্দছাড়ার ঘোরে

তবু আমি দিলাম সাড়া
ছড়ার বুলি সামনে বাড়া
খেলা চলছে, চলুক আরো জোরে

আমি :
আমার নাম যমুনা
তোমার নাম কী?
আমার নাম কমু না
নাম দিয়ে কাম কী?

আমার আছে পুষি বিড়াল
তোমার আছে কি?
ওসব কথা বলতে যাবো
তোমার কাছে কি?

আমার নাম যমুনা
বিড়াল পুষি না
সবাই আমায় ভুল বোঝে, তাই
কাউকে দুষি না

*ছড়াটি সংগৃহীত। ১৯৮০ সনে দৈনিক ইত্তেফাকের সাহিত্যের পাতায় এটি পড়েছিলাম। কবির নাম জানি না। ছড়াটি আজও ভুলি নি।

সবাক:
আজও সেই বৃন্দাবনে তুলসী পাতা রঙে
মনের পটে আঁকি ছবি স্মৃতি খোঁড়ার ঢঙে
পাখির বাসায় ঘাপটি মেরে পাখি চুরি করা
তার জন্যই আধার আনতে বৃন্দাবনে ঘোরা।

মা বলতেন, ওরে খোকা যাস নে ওখানে
পরীরা সব লুকিয়ে থাকে ঐ যে বৃন্দাবনে
তুই না আমার লক্ষ্মী ছেলে মায়ের কথা শুনিছ!
আর যাস নে ওখানে বাপ-মায়ের আঁচল ধরিস।

শুনেছো তো কী বলেছে মা?
ওখানেতে পরী আছে, আর আমি যাবো না?
তারপরে বৃন্দাবনে করে নিলাম বাসা
দু'টা না হোক একটা পরী, মনের কোণে আশা।

এমন কতো সকাল, দুপুর রাত্রি গেলো ভাই
মাস যে গেলো, বছর গেলো পরী আসে নাই
মাটির খাতায় ভরা পাতায় কতো পরীর ছবি
পরীর নাম যপে যেতাম, রাগ করে যদি।

সেই খোকা আজ বড় হলো, সে তো মস্ত বড়
মাথার ভেতর ব্লগবাজি আর চিন্তা গড়গড়
মা এখনো আগের মতো ভয়ে ভয়ে থাকে
তার ছেলে যায় না যেন, পরীর বাড়ির বাঁকে।

আমি :
মা কি জানেন, তাঁর ছেলেটা এমনি করে করে
একদিন এক পরীর ফাঁদে গেছে ধরা পড়ে

শায়মা:
হাহ হাহ হা হা হা হা আর হো হো হো হো
এইতো তুমি পারছো, মাথা নয়কো মোটেই ভো ভো
বুদ্ধি তোমার সরেস আছে, বাড়ছে ছড়ার খেলা।
তাই তো বলি হাল ছেড়ো না, আর করো না হেলা।

পরী জরী বুটির ভয়ে মায়েরা সব ভ্রমে
তাই বলে কি সবাক তুমি যাবেই আবার দমে?
মোট্টেও না মোট্টেও না ভয় করো না ভারি
তোমায় আমি চিনিয়ে দেবো পরীর দেশের বাড়ি।

উড়তে গিয়ে ফের ভেঙ্গো না পাখনা যেন ভাই
পারবো না কো ধরতে আমি, তখন আমি নাই।

আমি :
পঙ্খিরাজের পাখায় করে ভর
একদিন এক যাবো পরীর দেশে
চাও কি হতে আমার সহচর
মেঘের দেশে যেতে ভেসে ভেসে?

সবাক:
কী লিখলো শায়মা আপু
পড়ে খেলাম টাসকি
ছড়ার পরী হবে চুরি
এটাই তুই (আপনি) চাস কি!

জানি তুমি করবে ছল
ফোন দিবে কোন ফকিরে
জেনে রাখো, লাভ হবে না
তাবিজ, তুমার, জিকিরে

এভাবে কি পারবে তুমি
সবাক সাহেবকে ধরতে
কে বলেছে, বোকা মেয়ে
ছড়া খেলে মরতে

সেই যে কখন রুয়ে দিলাম
কয়েক হালি ছড়ার গাছ
ফুল দিয়েছে অনেক আগে
তাড়াতাড়ি দৌড়ে বাঁচ

শায়মা:
হা হা হা তোমার জ্বালায় নিজেই খাবো হিছা
এবার আমি বেশ বুঝি এ জীবনটা মিছা।
উঠতে যে যাই কাজ জমেছে মেলা কাজের ভিড়ে
অমনি নতুন ছড়া তুমি হাজির করো ফিরে।

ওঠা আমার হয় না আবার ফের যে বসি লিখি
যেন তোমার জন্য ভাষা (নোয়াখাইল্লা) নতুন করে শিখি?
তবু শোনো একটা কথা পূর্ণ দিয়ে মন
পীর ফকিরে ধার ধারি না ডর ডরি না বন।

একাই আমি একশো জেনো সকল কাজের কাজী
ভাবছো আমি ছাড়বো তোমায় হতচ্ছাড়া পাজি।
অবাক এবার করলে আমায় সবাক সাহেব ভাই
তোমার মতো পুরুষ সে বীর বাবুর ঘরেও নাই।

তোমার রোয়া ছড়ার গাছে ফুল ধরেছে বটে
ফলের বদল এবার মুড়োয় ও গাছ তোমার নটে।

আমার গল্পটি ফুরোলো
নটে গাছটি মুড়োলো
ও গাছ তুই মুড়োলি কেন?
সবাক কেনো পঁচা ছড়া লিখে?

আমি :
সবাই দেখি ছড়া লিখে
ব্লগ ফেলেছে ভরে
আমার ছড়া ডিম পেড়েছে
পূবের পাকঘরে

পাকের ঘরে কেটা?
মোল্লা বাড়ির বেটা?

ঘরে তোমার নতুন বউ
পানতি তার নাম
তোমার বউয়ের নানীর দেশে
আমার নানার গ্রাম

পানতি (পানোতি)> যে পান খায়; এটা একটা আঞ্চলিক শব্দ
পানতি (পান্‌তি)> পানবিক্রেতা

করবি:
হবো আমি হবোই ঐ
দূর আকাশের চাঁদটা
মায়ের কোলে বসে খোকা
দেখবে আমার মুখটা।

মা বলবে, ঘুমো এখন
রেখে দস্যিপনা যতো
চাঁদটাও দুষ্ট ভারি
ঠিক তোরই মতো।

বলবে খোকা, আগে মা
দূরের ঐ চাঁদটার মতো
খুব যতনে একটা চুমো
মোর কপালে এঁকে যা।

সুরঞ্জনা:
ইস! ইস! মজার মজার এত্তো এত্তো ছড়া
তাড়াতাড়ি নিয়ে গেলাম বানিয়ে খাবো বড়া।

আমি :
ছড়া দিয়ে বড়া খাও? এ কী কথা বলো?
শুনে দেখো চোখ দুটো ছানাবড়া হলো

টুটুল বরকত:
কবিতা দিলাম তোমায় ছুটি
ক্ষুধার রাজ্যে প্রবাসই মোর খুঁটি

শায়মা:
পথিক তুমি যাচ্ছো কোথায়
কোথায় তোমার বাস?
এ জীবনে কোথাও কি আর
মিটবে তোমার আশ?

শালিক চড়ুই, লাট্টু-লত্তি
মা-চাচিদের কথা
ভুলতে কি আর পারবে তুমি?
রইলো হেথায় গাঁথা।

যতোই তুমি নগর দেখো
যতোই ভরাও বুক।
সকল কিছুর পরেও জেনো
হেথায় তোমার সুখ।

আমি :
কবে তোমায় দেখেছিলাম
মুখটি গেছি ভুলে
বুকের ভেতর নামটি তবু
রেখেছিলাম তুলে

আবার যদি দেখা মেলে
আমার সবুজ গাঁয়
সবুজ শাড়ি পরো তুমি
আলতা দিও পায়

দিঘির পাড়ে এসো সখি
ইচ্ছে যদি জাগে
সেই কথাটি বলবো তবে
বলি নি যা আগে

শায়মা :
কোথায় তোমার সেই দিঘীপাড়?
সেকি চাঁদের দেশে?
জ্যোৎস্না যেথা অষ্টপ্রহর
ভরায় ভালোবেসে?

সুনশানশান রাতের বেলা
স্নিগ্ধ পাষাণ পুরে
গুন গুন গুন ঘুমপরীরা
পাড়ায় ঘুমের ঘোরে।

তাই তো আমি ঘুমিয়ে থাকি
রাত্রি অনিমেষে
চমকে জাগি সূর্য্য যখন
ঘুমটি ভাঙায় এসে।

সূর্যগ্রহণ ঘোর লেগেছে
ঘুম ভাঙে না তাই।
রাত্রিদিবস ঘুমিয়ে আছি
জাগার সাথী নাই।

আমি :
আমার আছে হাসনাহেনার গন্ধমাতাল রাতি
সঙ্গী হলে দেবো তোমায় নিটোল মাতামাতি

***

ভালোবাসা

শায়মা : ভালোবাসা কারে কয়?

আমি :
ভালোবাসা হলো যষ্ঠিমধু
কিংবা ধরুন নিমের রস
আমি তা কখনো চেখেও দেখি নি
আমার হয় নি প্রেমের বয়স

শায়মা :
চেখে না দেখেই কাব্য লেখা
লেখো প্রেমের পঞ্জিকা।
তারচে’ না হয় টেনেই দেখো
দু এক ছিলিম গঞ্জিকা।

আমি :
তোমার বাড়ি যাবো ভ্রমর
বসতে দিও পিঁড়ে।

গাঞ্জা কিছু খাওয়াবে কি?
নাকি শুকনো চিড়ে?

২৫ আগস্ট ২০১০ রাত ৩:৩০


মনে মনে
মনে মনে সুর তুলি, মনে মনে গাই
মনে মনে নাচানাচি, মনকলা খাই
মনকলা খেতে খেতে মনেই হারাই

৭ এপ্রিল ২০১২ রাত ১১:৫৯


আগের পর্ব : নিজের ভাষায় কবিতা লেখা, সাথে আপনাদের জন্য কিছু ধাঁধা
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩১
৫৮টি মন্তব্য ৫৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিসের সনদের মান নির্ধারণ করা শয়তানী কাজ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪০



সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×