somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্ষণজন্মা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উৎসর্গ

তুমি চলে গেছো, সেই বেদনার অমৃত খনি থেকে
উঠে আসে চির-ফল্গুধারার কবিতারা একে একে
তুমি চলে গেছো, চলে-যাওয়া পথে সোনা ফোটে প্রতিদিনই
আমার সকল কবিতারা তাই তোমার কাছেই ঋণী।
১৭ অক্টোবর ২০১২

***


তুমি আর কোনোদিন নাম বলো নি
পাখি
তুমি আর কোনোদিন গান করো নি
নদী
তুমি আর কোনোদিন হাত ধরো নি
পথে
তুমি আর কোনোদিন চোখ রাখো নি
চোখে

আমরা দুজন এক আকাশে
উড়ি
আমরা দুজন এক ঘরেই
থাকি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৪


কে
অন্ধকারে ধরেছিল সাপ
সে
খুন করে, করে না সে পাপ
১৭ মার্চ ২০১১


ফাঁসির কাষ্ঠে কে ঝোলায় আসামিকে?
জল্লাদ
কে তবে খুনি, জল্লাদ, নাকি জজ?
অপরাধ
১৭ মার্চ ২০১১


মাঝে মাঝে আমিও দেখেছি শাহবাগের মোড়ে
কী তুমুল ভিড়
জেগে ওঠে অদ্ভুত পদ্মার তীর
গাংচিল মাটিতে নামে কোনো কোনো নির্জন ভোরে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৪


মেয়েটা সারারাত কথা বোনে শীতল কাঁথায়। রাত ফুরিয়ে এলে অতল সংসারে ডুবে যায় রাতের কাতরতা ভুলতে চেয়ে।
৪ এপ্রিল ২০১৩


মুঠি খোলো, অন্ধকারে একঝাঁক নরম অক্ষর;
পালকেরা ঝরে পড়ে।

লিখো নি; যাকে তুমি আজন্ম চেয়েছো, নীরবে
ভুলে গেছো তার নাম ও গন্ধ; সব কিছু
২৮ মে ২০১৩


পাঁজর ফুঁড়ে তীব্র বেরিয়ে পড়ে জ্বলন্ত আগুন, টগবগে বাঘ। তোমার বুক খুঁড়ে হন্যে হয়ে খুঁজি, গহিন অরণ্যে গেঁথেছ কার নাম!
৫ জুলাই ২০১৩


এ শহর ছেড়ে যে চলে যাবে, তার পায়ে নেই কোনো বেড়ি;
তবু সে একদিন তার কবির জন্য কেঁদেছিল, অভিমানে
তারপর পাহাড়ের রহস্য থেকে ছিঁড়ে এনে
বহুদিন লুকিয়ে রেখেছিল অজর একটি ফুল

গভীর কূয়ো খুড়ে আমিও তার জন্য একটি অক্ষয় শব্দ কুড়িয়ে পেলাম
সে হাত পাততেই খা-খা করে যে-শব্দটি জ্বলে উঠলো, তার নাম ‘শূন্য’
৯ জুলাই ২০১৩



সে এক ক্ষণজন্মা পাখি, প্রতিটা গোপন সাঁঝে অরূপ পাথারে নেমে এসে
অলৌকিক সুর তোলে গানে। তারপর রাত্রি শেষে
ফিরে যায়, পেছনে রেখে যায় একগুচ্ছ পদছাপ, ও কয়েকটা পালক

মাটিতে করুণ দাগ কেটে একধ্যানে চেয়ে থাকে বিবাগী বালক
১১ জুলাই ২০১৩

১০
যতবার হেলিকপ্টারে লো-অলটিচুডে উড়েছি, উপর থেকে দেখেছি, সরুমুখ ডগা ও সবুজ পাতারা লকলকিয়ে উঠে আসছে আকাশের দিকে। গাছের তলায় দাঁড়িয়ে কেবল নিম্নমুখি জীর্ণ পাতাগুলো দেখেছি - বিষণ্ণ করুণ ও শুষ্ক চোখে মাটির দিকে ঝুঁকে আছে।
২৫ জুলাই ২০১৩

১১
সাহসীরা তাকায় চোখে। আমি সাহসী নই। তোমার সামনে যতবার দাঁড়িয়েছি, দিগন্তখোলা ওষ্ঠযুগলে যেখানে রোদ আর হাসি রংধনু হয়ে ফুটে থাকে, সেখানে আমার দৃষ্টি শান্ত ফলার মতো স্থির গেঁথে থাকতো।
২৯ জুলাই ২০১৩

১২
তোমার চোখে জল ছিল না
আমার ছিল না কান্না
আমরা দুজন পুড়ছিলাম

আমরা দুজন ছাই হয়ে যাই
আমরা দুজন উদাস পথে নিথর হাওয়ায়
নাই হয়ে যাই
২০ মার্চ ২০১৩

১৩
দুর্বোধ্য বিষয়, তা যদি সারবত্তাহীনও হয়, বেশি মূল্য পেয়ে থাকে।
২৭ জুলাই ২০১৩

১৪
আমি আজ সারারাত ঘুমাবো না
আঁধার-নিগীর্ণ রাতে খুঁজিতেছি আলোকের কণা
২৮ জুলাই ২০১৩

১৫
সময় আমাকে গিলে খায়, আমি আকাশ গিলবো বলে পানিতে ডুব দিই। একঝাঁক চিত্রা হরিণ আর চিতল মাছ যখন জোনাকি হয়ে আলোয় ভরে তোলে পানির হৃদয়, আমি তখন প্রাণ ভরে শ্বাস নিই, আর মস্ত একটা আকাশ বুকের ভেতর পুষে নিয়ে পাহাড়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
০৪ অক্টোবর ২০১৩

১৬
তোমার যে গান আমাকে পুড়িয়ে ছাই করে, নির্বীজ ধূলির ভেতর জাগিয়ে তোলে উদ্ভিন্ন প্রাণ, আমাকে সেই অপার্থিব বর দাও। ‘গানের ভেতর দিয়ে তোমায় যখন দেখি’, অজস্র রোমকূপ ভেদ করে লাখ লাখ গুল্মলতারা ডগা তুলে দোহারের সুরে সুরে দুলে ওঠে। কখনোবা হারিয়ে যেতে ভালো লাগে। হারিয়ে যেতে যেতে পথগুলো দীর্ঘতর হয়ে ওঠে, অবশেষে অচেনা- সেই অচেনা পথের প্রান্তে তন্ত্রীছেঁড়া সুরগুলো সুচের মতো ফালি ফালি করে ছিঁড়ে ফেলে হৃৎপিণ্ড। তখনই মনে হয়, যদি কাউকে ভালোবেসে হারিয়ে থাকি অমূল্য প্রেমের জন্য, সে তুমি।
৪ অক্টোবর ২০১৩

১৭
পড়ো এবং পড়ো
তাতেই আমার হিংসে হবে, তাই কি মনে করো?
তাই যদি হয়, ভাবলে তুমি ভুল-
তোমার প্রেমে তুমিই মরো,
আমি এখন ‘আমি’-তে মশগুল।

বাকি কথা আর হবে না, আর হবে না গল্প এমনতরো-
বুদ্ধদেবের মাথা খেয়ে বুদ্ধদেবেই মরো।
৬ অক্টোবর ২০১৩

১৮
পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই কবি হয়ে জন্মায়- প্রতিটা মানুষের ভেতরে বাস করে সমুদ্র। যখন উথলে ওঠে আবেগ, তখন ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যায় মরমিয়া হিয়া। আমরা তখন সত্যিকার কবির হৃদয়কে উন্মোচিত হতে দেখি।
৮ অক্টোবর ২০১৩

১৯
কবিতারা লাবণ্যময়ী নারী
অথবা নারীরা দুর্বোধ্য কবিতার মতো
এদের বোঝা যায় খুব সামান্য
পুরোটাই রহস্যাবৃত ভাবের অন্তর্গত
১৩ অক্টোবর ২০১৩

২০
আজকের পবিত্র প্রত্যূষে ঘুম ভাঙতেই কী এক আনন্দ বয়ে যাচ্ছে সমগ্র মন ও শরীরে। আজন্ম লালিত ক্ষোভ ও অভিমান, দ্বেষ ও ক্লেদ কোথায় মিলিয়ে গেছে- ঘাসের ডগায় সূর্যোদয়ের নরম তাপে সকালের শিশিরেরা যেভাবে মিশে যায় হাওয়ার হৃদয়ে। এমন নির্ভেজাল ও সজীব মন অনন্য প্রাপ্তির মতো বার বার জীবনে আসবে না।

হে মন, তুমি বিশুদ্ধ চারাগাছ, উদার অনন্তে মেলে দাও পাখা পুণ্যস্নাত সত্যের মতো।
৩ নভেম্বর ২০১৩

২১
বাইরের ভুবনে সবাই যখন তোমাকে ভুলে থাকবে, নিজের মধ্যেই ডুবে যাও- দেখো, তুমি একজন একচ্ছত্র অধিপতি, তোমার সারি সারি সৈন্যদল রয়েছে, প্রাজ্ঞ পারিষদবর্গ তোমার আদেশের অপেক্ষায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। তোমার অঙ্গুলি নির্দেশে মেঘ থেমে যাচ্ছে, পাহাড় ডুবে যাচ্ছে।

এমন অত্যাশ্চর্য একটা নিজের ভুবন তোমার আছে, তুমি জানতে না।
১৭ এপ্রিল ২০১৪

২২
সামনে একঝাঁক ফুল ছিল। ছুঁয়ে দিতেই লজ্জাবতী পাখির মত উড়ে গেলো।
৩১ অক্টোবর ২০১৪



২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য: টিপ

লিখেছেন গিয়াস উদ্দিন লিটন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৫




ক্লাস থ্রীয়ে পড়ার সময় জীবনের প্রথম ক্লাস টু'এর এক রমনিকে টিপ দিয়েছিলাম। সলজ্জ হেসে সেই রমনি আমার টিপ গ্রহণ করলেও পরে তার সখীগণের প্ররোচনায় টিপ দেওয়ার কথা হেড স্যারকে জানিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বৈশাখে ইলিশ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪০



এবার বেশ আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে । বৈশাখ কে সামনে রেখে ইলিশের কথা মনে রাখিনি । একদিক দিয়ে ভাল হয়েছে যে ইলিশকে কিঞ্চিত হলেও ভুলতে পেরেছি । ইলিশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×