আগের বচনগুলোর লিংক :
১। অম্লতিক্ত অপ্রিয় সত্যাবলি
২। অম্লবচন-১
৩। অম্লবচন-২
৪। অম্লবচন-৩
১
মানুষই একমাত্র প্রাণী, যারা তরকারি ছাড়া মূল খাবার খাইতে পারে না। গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি-বাঘ-ভালুক লবণ-মরিচ-মসলা বা তরকারি ছাড়াই খায়। এটা ভেবেছেন কখনো?
২
সোনাবীজের তৃতীয় সূত্র : জীবনের সবচাইতে বড়ো ভুলটা আপনি সেদিনই করবেন, যখন দেখবেন আগের সবগুলো ভুলই ওটার চাইতে ছোটো ছিল। আপনার জীবনের সবচাইতে বড়ো ভুল কোনটা? উল্লেখ্য, সোনাবীজের প্রথম ও দ্বিতীয় সূত্র আগামীতে আবিষ্কৃত হবে।
৩
আমরা সেই অলস জাতি, যারা 'ঈদ' নাকি 'ইদ' এবং 'বেগম রোকেয়া' নাকি 'রোকেয়া সাখাওয়াত' এই দ্বন্দ্বে তামাম কাজকাম ফেলে যুদ্ধে ঝাঁপাইয়া পড়ি
৪
চিন্তা কইরা দেখলাম, রাগের সময় রাগটা না করলে পরে ঐ রাগটা আর করা যায় না। কারণ, রাগটা মইরা যায়।
আজ একটা রাগ মিস হইয়া গেছে।
৫
একটি গান যত অমধুরই হোক না কেন, অন্তত একজন মানুষের কাছে তা প্রিয় - তিনি হলেন শিল্পী নিজে।
৬। রাগ
রাগের সময় স্ত্রীর সাথে যে-আচরটি করেন, ওটাই আপনার প্রকৃত রূপ।
তখন স্ত্রী আপনাকে যে প্রতিক্রিয়া দেখান, তারও প্রকৃত রূপ সেটিই।
তুমুল কলহের সময়ই স্বামী ও স্ত্রীর সভ্য বা অসভ্য রূপের প্রকাশ ঘটে। রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারাটা সভ্যতার সূচক।
দাম্পত্য কলহের সময় পরস্পরের প্রতি আসল মনোভাব ফুটে ওঠে।
রাগের সময় আমরা এমন সব সত্য কথা বলে ফেলি, স্বাভাবিক অবস্থায় হয়ত তা কোনোদিনই বলা হতো না।
রাগের মাথায় আপনি এমন কিছু কথা বলে ফেলেন, যা স্ত্রীর মনে একটা দাগ কেটে ফেলে, যা আর কোনোদিনই মোছে না। আপনার স্ত্রীও আপনাকে এ ধরনের কিছু কথা বলে থাকবেন।
একজ প্রকৃত মানুষ রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ফলে তিনি কদাচিৎ হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, বা অন্যের রাগ বা ক্ষোভের কারণ হোন। প্রকৃত মানুষেরা কলহে লিপ্ত হোন না।
রাগের সময় মানুষের কদর্য রূপটা প্রকাশ পায়। এবং সেটাই মানুষের প্রকৃত রূপ।
সারাংশ : রাগের সময় আপনার স্ত্রী আপনার সাথে যে ব্যবহারটি প্রদর্শন করেন, ওটাই তার প্রকৃত রূপ। আপনার জন্যও একই কথা সত্য।
৭। প্রেম
নীচের কোন কথাটা হৃদয়গ্রাহী বা সঠিক মনে হয়? এ ব্যাপারে আপনার কোনো বাণী আছে?
একজন স্ত্রী যতদিন প্রেমিকা, ততদিনই জীবনে রোমান্স; যেদিন সে সংসারী হয়ে যায়, সেদিন থেকে প্রেমও হারিয়ে যেতে থাকে।
একটা সংসারে ততদিনই সুখ, যতদিন স্বামী-স্ত্রীরা প্রেমিক-প্রেমিকা।
৮
একটা ঘটনা বলি এবং তা থেকে একটা প্রশ্ন। একজন স্বামী মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। তার স্ত্রী পুত্রকে ফাঁসির অপরাধ থেকে বাঁচানোর জন্য কোর্টে কোর্টে ছুটছেন। এ স্ত্রীর কাছে কে আপন :পুত্র, নাকি মৃত্যুপথযাত্রী স্বামী?
৯
পাপ করে নত হও, আমার কাছে পরাজিত হও, এ কখনো চাই না। তোমাকে চিরকাল ‘উন্নত শিরে’ দেখতে চাই। তোমার সম্মানেই আমার সম্মান।
১০। সঙ্গী
বয়স যত বাড়বে, একজন সঙ্গীর প্রয়োজনও তত বাড়বে, আপনি একা থাকতে পারবেন না। সঙ্গীর সাথে পাশাপাশি বসে থাকবেন, গা ঘেঁষে হাঁটবেন, একঘরে ঘুমোবেন, মুখে কোনো কথা না ফুটলেও বেতার-হৃদয় অনর্গল অনেক কথা বলতে থাকবে।
স্বামী বা স্ত্রীর চাইতে বিশ্বস্ত সঙ্গী আর কেউ নেই।
আমার স্ত্রী আমার সেরা বান্ধবী। আমার স্ত্রীই আমার আমরণ প্রেমিকা।
২৭ এপ্রিল ২০২১
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৬