বিশ্বকাপ সামনে রেখে গত রবিবার সিলেটে অত্যন্ত দায়সারাভাবে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বকাপের রোড শো ‘ক্যাচ বাংলাদেশ ক্যাচ’। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা, নবীন ক্রিকেটারসহ গুটিকয়েক মানুষ নিয়ে আধা কিলোমিটারের কম দূরত্বে রোড শো শেষ করায় এ আয়োজনকে বিশ্বকাপের রোড শো মানতেই নারাজ সিলেটের ক্রীড়ামোদীরা। আগে থেকে কোনো প্রচার না থাকায় অনেকে জানতেই পারেনি রোড শো অনুষ্ঠানের খবর।
বেলা ৩টার দিকে বিশ্বকাপের স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে জেলা স্টেডিয়াম থেকে মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নেতৃত্বে শুরু হয় রোড শো। র্যালিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও ক্রীড়াসংগঠক, স্থানীয় একটি ক্রিকেট একাডেমীর শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অংশ নেয়। র্যালিটি জেলা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক থেকে বের হয়ে চৌহাট্টার দিকে কিছুটা এগিয়ে স্টেডিয়ামের পূর্ব দিকে শামসুদ্দিন ছাত্রাবাস হয়ে আবার স্টেডিয়ামে ফিরে যায়। অনেকটা নগরবাসীর আগোচরে শেষ হওয়া র্যালির খবর শুনে অনেকেই ক্ষুব্ধ। নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের তরুণ ব্যবসায়ী রিমন আহমদ এটাকে বিশ্বকাপের রোড শো মানতে নারাজ, ‘বিশ্বকাপের মতো বিশাল অনুষ্ঠানের রোড শো হবে শহরজুড়ে। অন্তত প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ না করলে একে বিশ্বকাপের রোড শো বলি কি করে!’
সিলেটে রোড শো হওয়ার কথা ছিল ২০ ডিসেম্বর। তখন রেজিস্টারি ময়দান থেকে বড় পরিসরে বর্ণিল রোড শো অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও পরে তারিখ পেছানো হয়। নতুন তারিখটা আগে থেকে জানানো হয়নি। তাই এ নিয়ে স্থানীয় ক্রীড়ামোদীদের মধ্যে কোনো উš§াদনাই ছিল না। বাংলাদেশের আসন্ন বিশ্বকাপ দলে সিলেটের কোনো ক্রিকেটার না থাকায় এমনিতেই হতাশ স্থানীয় দর্শকরা। এর মধ্যে অনেকটা গোপনেই সিলেটে বিশ্বকাপের রোড শো হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা। রোড শো নগর ভ্রমণ না করায় জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, শেখঘাট, কাজিরবাজার, মীরাবাজার, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, উপশহর, সোবহানীঘাটসহ প্রধান প্রধান এলাকার ক্রীড়ানুরাগীরা বিশ্বকাপ রোড শো দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
সিলেট ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম নাচনও তাই একে বিশ্বকাপের রোড শোই মানছেন না, ‘বিশ্বকাপ শুরুর আগে রোড শো করা হয় অনেক উদ্দেশ্য নিয়ে। এতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুরো আয়োজনকে আরো বর্ণিল করা উচিত ছিল।’ এমন দায়সারাভাবে রোড শো অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল দায় চাপিয়েছেন বেসরকারি এক সংস্থার ঘাড়ে, ‘বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের রোড শো যেমন হওয়া উচিত, সিলেটে সে রকম হয়নি। সারা দেশে রোড শো আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। এটা জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব নয়।’

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



