প্রায় ১৭-১৮ আগের ঘটনা, ফেনী পলিটেকনিকের ১ম বর্ষের ছাত্র জুনায়েদ ও তার বন্ধুরা মিলে লোভ করে, ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটীউটের ছাত্রদের মেসে গিয়ে তপুর ল্যাপটপ চুরি করে।
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু
অর্থাৎ যে লাউ, সে কদু.... জুনায়েদ নামের সেই ছাত্র নামধারি চোর ধরা পড়ে।
বলুনত এই বার চোর জুনায়েদ কে কি করা হবে, নিশ্চয়ই জামাই আদর.....
......অর্থাৎ গণধোলাই..!!!
চোরের অবিভাবক আসলো, যথারিতি ল্যাপটপের ক্ষতিপূরণ দিল, চোরা জুনায়েদ কে উদ্ধার করলো.....
চোর হলে কি হবে, চোরা জুনায়েদের চাচা নাকি খাগড়াছড়ির কোন এক পৌরসভার চেয়ারম্যান (আ:লীগ)
চুরি করছে ভাতিজা কি হয়েছে,চোরের মায়ের বড় গলা ল্যাপটপের জরিমানা দিয়েছি, হজম করতে দিবোনা...... এই আর কি..
বেচারা তপু, কত কষ্ট করে সখের ল্যাপটপ টা কিনলো । তার উপর ঐ চোর জুনায়েদের চাচা করলো একটা মামলা, তাও আবার যে সে মামলা না, এট এ টাইম মাডার । তপু এখন জেলে!!!!!!!!
feni computer Institute এর ছাত্র জেলে থাকবে, আর আমরা আংগুল চুষবো নাকি???
"31/7/2012 feni news24:
আজ feni computer Institute এর শত শত ছাত্রের মুখে একই স্লোগান.....
তপুকে আনবো... জেলের তালা ভাঙ্গবো। তপু তোমার ভয় নেই.....আমরা আছি, তোমার সাথে। তপু তোমার কিছু হলে..... আগুন জ্বলবে ঘরে ঘরে।
feni computer Institute এর মেধাবি ছাত্র তপুর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য ফেণী কম্পিউটার ইন্সটিটিউটের ছাত্র ইউনিয়নের ব্যানারে সকল ছাত্র-ছাত্রী আজ দুপুর ১২ টায় ফেণী জর্জ কোট ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অবরোধ করে।
এই সময় তারা জেলা প্রশাসকের বরাবর সারক লিপি প্রদান করে ।
ফেণী পৌরসভার মেয়র নিজাম হাজারী তপুর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্ব স্ব কতৃপক্ষকে অণুরোধ করবেন বলে এই সময় উপস্থিত ছাত্রদেরকে আশ্বাস প্রদান করেন।"
............................................................................
কিন্তু কাজের কাজ কিছু হল না। তপু এখনো জেলে। শুনেছি পুলিশ ঘুষ খেয়ে থানাতে তপুকে নির্যাতন করেছে।
……………………………………………
আজ চোরা জুনায়েদের প্রতি খুব মায়া লাগতেছে......ঐ দিন আমরা সবাই চোরা জুনায়েদকে জামাই আদর একটু বেশি করে পেলেছি,
শুনেছি আজ প্রায় ১৫-১৬ দিন সে হাসপাতালে থেকে জুনায়েদ মারা গেছে!!!! খুব কষ্ট লাগে সামান্য একটা ল্যাপটপের জন্য জীবন কে শেষ করে দেয়া.......
……………………………………………
চোর হোক যাই হোক, জুনায়েদ একজন মানুষ। জুনায়েত কে আর আমরা ফিরে পাবোনা। তার পরিবারের মত আমরা শোকাহত। অপর দিকে তপু নির্দোষ, সে ঘটনার স্বীকার মাত্র। জুনায়েদের পরিবার কতৃক তপুর উপর আনিত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার উচিত বলে আমি মনে করি, কেননা সামনে তার পরীক্ষা।সময় মত পরীক্ষা না দিতে পারলে তপুর হয়ত লেখা-পড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বন্ধুরা এখনো সাবধান, আমাদের মধ্যে যাদের একটু আকটু হাত লম্বা করার অভ্যাস আছে, তাদের উচিত জুনায়েদ থেকে শিক্ষা নেয়া।
আর সবার উচিত তপু এবং তপুর বন্ধুদের থেকে শিক্ষা নেয়া, যাতে চোরদের কে গণধোলাই না দিয়ে পুলিশে দিই।
তপুর মুক্তির জন্য স্ব-স্ব কতৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
----শরিফুল ইসলাম লিংকন---