এই মহিলা এত সাবলিল ভাবে এত খারাপ খারাপ ভাষায় কবিতা লিখেছেন তা- ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তসলিমা নাসরিনের আমি একজন অন্ধ ভক্ত। তসলিমা নাসরিনকে আমি নারী জাগরণের কবি সুফিয়া কামাল আর রোকেয়া সাকাওয়াতের সাথে তুলনা করি। পার্থক্য হচ্ছে তারা সুন্দর ভাষায় লিখেছে আর তসলিমা নাসরিন একটু বাঁকা ভাবে লিখেছেন। আমার এই সব কথা গুলো কারো সাথে শেয়ার করতে পারিনা। যদি করি সবাই আমাকে নারীবাদী, নাস্তিক সহ আরো অনেক কথা বলবে।
পারো তো ধর্ষণ করো
পারো তো ধর্ষণ করো
আর ধর্ষিতা হয়ো না, আর না
আর যেন কোনও দু:সংবাদ কোথাও না শুনি যে তোমাকে ধর্ষণ করেছে
কোনও এক হারামজাদা বা হারামজাদার দল।
আমি আর দেখতে চাইনা একটি ধর্ষিতারও কাতর করুণ মুখ,
আর দেখতে চাইনা পুরুষের পত্রিকায় পুরুষ সাংবাদিকের লেখা সংবাদ
পড়তে পড়তে কোনও পাঠকের আরও একবার মনে মনে ধর্ষণ করা ধর্ষিতাকে।
ধর্ষিতা হয়ো না, বরং ধর্ষণ করতে আসা পুরুষের পুরুষাঙ্গ কেটে ধরিয়ে দাও হাতে, অথবা ঝুলিয়ে দাও গলায়।
খোকারা এখন চুষতে থাকো যার যার দিগ্বিজয়ী অঙ্গ, চুষতে থাক নিরুপায় ঝুলতে থাকা অন্ডকোষ, গিলতে থাক এসবের রস,কষ।
ধর্ষিতা হয়ো না, পারো তো পুরুষকে পদানত কর, পরাভূত কর,
পতিত করো, পরমাল করো
পারো তো ধর্ষণ করো,
পারো তো ওদের পুরুষত্ব নষ্ট করো।
লোকে বলবে, ছি ছি, বলুক।
লোকে বলবে এমন কী নির্যাতিতা নারীরাও যে তুমি তো মন্দ পুরুষের মতই,
বলুক, বলুক যে এ তো কোনও সমাধান নয়, বলুক যে তো তবে ভালো নও
বলুক, কিছুতে কান দিও না, তোমার ভালো হওার দরকার নেই,
শত সহস্র বছর তুমি ভালো ছিলে মেয়ে, এই বার একটু মন্দ হও।
চলো সবাই মিলে আমরা মন্দ হই,
মন্দ হওয়ার মত ভালো আর কী আছে কোথায়!
----------------------------------
এই কবিতার জন্যই আমি তসলিমা্ নাসরিনকে নারী জাগনণের কবিদের সাথে তুলনা করি।