"ভারতরে ইলিশ দেবো না, নিজেরা আগে খাবো" এই ডায়লগ দেওয়ার পরও এককেজি ওজনের একটা ইলিশ পনেরশ থেকে আঠারশ-বাইশশো টাকায় বিক্রি হচ্ছিল দেশের বাজারে!
গরীব-মধ্যবিত্তরা এইটা কিনে খাওয়ার সাহস করে না। নিম্ন আয়ের মানুষের ভাতের থালা থেকে ইলিশ উঠে গেছে অনেক আগে। এখন মধ্যবিত্ত বিশেষ উপলক্ষ্যে কিনে-টিনে খায়।
ইলিশের দেশে ইলিশের এরকম দাম হওয়ার কোনও যুক্তি নেই। এসবই মাছ ব্যবসায়ী সিণ্ডিকেটের কাজ।
একসময় ইলিশ মাছ বিক্রির জন্য মাছ বিক্রেতারা মহল্লায় মাইকিং করত। ইলিশ খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে যেতাম। এসব শুনলে জেন জি'রা আমারে মৎস উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বসতে পারে। ফরিদা আপারে দুঃখ দিয়ে ওই প্রস্তাব গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না।
ওদিকে পশ্চিমবর্গের ইউটিউবাররা "বাংলাদেশের ইলিশ চাই না" বলে যেভাবে নিজেদের ইলিশের গুণকীর্তন প্রচার করছিলেন, তাতে ভেবেছিলাম ওরা ইলিশেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছে, পদ্মার ইলিশের আবেগ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। এখন দেখা যাচ্ছে ইলিশ কেন্দ্রিক নির্ভরতা তাদের ভাল রকমই আছে।
তো উপদেষ্টা আপা, ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না, দেশের সিংহভাগ মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে পারলেন না; ভারতে ইলিশ যাবে না দাবীতেও অটুট থাকতে পারলেন না। আপনার কথাবার্তার ক্রেডিবিলিটি থাকলো কই?
বলি কী; তেলাপিয়া, সিলভার কার্প অথবা পাঙ্গাসরে জাতীয় মাছ ঘোষণা দেন। যে মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে, সেই মাছ জাতীয় মাছ হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। প্লিজ, এই কাজটা অন্তত ঠিকঠাক সম্পাদন করেন।
-লিখলেন রাহাত মুস্তাফিজ।