শেখ হাসিনা অনেক চেষ্টা করেও আমাদের সেনাবাহিনীকে আমেরিকান পকেট থেকে বের করতে পারেননি; কারণ, বাহিনীটা প্রয়োজনের চেয়ে বড়, এরা পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে ঘনিষ্ট , এরা পাকীদের মতো আমাদের দেশের সরকারকে কন্ট্রোল করে ও লোভী ( পদাধিকার বলে দেশের সম্পদ দখল করে )।
শেখ হাসিনা নিজের বাবার হত্যাকান্ড, পাকিস্তান ও বার্মার মানুষের দুর্দশা চাক্ষুষভাবে দেখার পরও, বাংলাদেশের মিলিটারীকে আমেরিকান সরকারের পকেট থেকে বের করতে সমর্থ হননি; কারণ, তিনি আমাদের দেশের ভু-রাজনৈতিক পজিশন বুঝার মতো বুদ্ধিমান ছিলেন না। উনার বাবা যেভাবে নিজের মৃত্যুটা নিজে কিনেছিলেন, ঠিক একইভাবে শেখ হাসিনার নিজের মৃত্যর জন্য জল্লাদ লালন পালন করে গেছেন গত ১৫ বছর।
স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট, আমাদের জাতির ইতিহাস ও আমাদের ভৌগোলিক অবস্হান, আমাদেরকে ১টি নিরাপদ জাতি হিসেবে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছিলো। বার্মা মিলিটারীর হাতে থাকলেও, উহা আমাদের সাথে বা কারো সাথে গন্ডগোলের চেষ্টা করেনি কোনকালে; বার্মার মানুষজন শান্তিপ্রিয় ছিলো। এর বাইরে ৩ দিকে ভারত; কিজন্য শেখ পাকী মিলিটারী অফিসারদের নিয়ে মিলিটারীর আকার বড় করলেন?
মুক্তিযোদ্ধা বেংগল রেজিমেন্ট, ইপিআর, আনসার ও জনতার থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা মিলে ২০/২৫ হাজার সৈন্যের একটা বাহিনী ও শুধু মাত্র ২০/২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসার নিয়ে বাহিনী গঠন করলে, উহাতে আমেরিকা ঢুকতে পারতো না, ঢুকলেও মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীকে তারা কিনতে পারতো না। স্বপ্ল সময়ের মাঝে বাহিনীর অফিসারদের ( পাকিস্তানের অধীনে চাকুরী-করা ) বড় বড় পদে চাকুরী দিয়ে নতুন অফিসার নিয়ে নিলে পাকিস্তানী-জীবাণু মুক্ত হয়ে যেতো বাহিনী ও কখনো আমেরিকার পকেটে যেতো না।
পিলখানা হত্যাকান্ডের পর, শেখ হাসিনার বুঝা উচিত ছিলো যে, বাহিনীর অফিসারেরা উনাকে পছন্দ করে না ও সুযোগ পেলে উনাকে ধরবে; এত বড় বাহিনী দরকার নেই; বাহিনীর আকার ছোট করলে, বাহিনী জনতাকে ভয় পেতো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮