ডোবা নালার চাপে নদীর বুকে এখন জল থৈ থৈ
ঢেউয়ের ক্ষিপ্রতায় প্রকাশ পায় তাঁর হারানো শক্তি
দিকবিদিকে ধাবিত হয় নতুন কিছু শাখা প্রশাখা।
তবে ঝর্ণার সাথে যে নদীর হাজার বছরের মিতালি
কারখানার বর্জ্য কি ফিরিয়ে দিতে পারে সেই যৌবন?
এ জল হয়তো হতে পারে হাজার প্রাণীর মৃত্যুর যম
নয়তো হতে পারে নদী ভাঙ্গন কিংবা বিষাক্ত বন্যার কারণ
ডুবিয়ে দিতে পারে শতাব্দীর সব সভ্যতা
কিন্তু কপোতাক্ষের মত করে তৃষ্ণা নিবারনে তার ভূমিকা শূণ্য।
চতুর্দিকে এমন বিষবাষ্পের অঙ্কুর এখন অদমনীয়
যেখানে নদী চাই, সেখানে নদী আছে
যেখানে পানি চাই সেখানে পানি আছে
শুধু বিশুদ্ধতা নেই, প্রাণ নেই।
নদীর বুক এখন আর খালি নেই বলে
এ শহর আজ বড় বেশি বিষাদময়
ঝর্ণার জলও তাই দূষিত হয় এখানে
নষ্ট জলে পঁচে গেছে রক্তনালী
বিষাক্ত তেজস্ক্রিয়তা উড়ে যায় আকাশে
বৃষ্টিতে ঝরে পড়ে টক্সিন
তাঁর উপর পড়ে বিষদাঁতের স্থায়ী নঙ্গর।
চারদিকে বাতাস এখন ভয়ানক ভারী
ধীরে ধীরে বাড়ছে তাঁর ঘনত্ব
লম্বা হচ্ছে একেকটি দীর্ঘশ্বাস
জলের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে
অসাম্প্রদায়িকতার ছন্দ নাম
সে নামেই চলে ফের পাল্টা সাম্প্রদায়িকতা।
সাগরের বিরুদ্ধে ডোবানালার হুংকার
ওরা এক লিটারের পেটে গিলতে চায় মহাসমুদ্র
তবু কেউ কেউ এখনো বিশ্বাস করে
এই ভূখণ্ড হবে না কভু বিষাক্ত ডোবানালার বীজতলা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫