তাজমহল দর্শন পর্ব শেষে হোটেল হতে চেক আউট করে আগ্রা ফোর্ট ঘুরে আমরা যখন ফতেহপুর সিকরি পৌঁছাই, তখন মধ্য দুপুর। মাথার উপর গনগণে সূর্য তার উত্তাপে চারিপাশ পুড়িয়ে ছারখার করছে। এরই মধ্যে আমরা প্রবেশ করলাম মোঘল ইতিহাসের অনন্য এক এলাকায়, যেখানে প্রায় ষোল বছর মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিলো; ইতিহাস খ্যাত সেই ফাতেহপুর সিকরি'তে। সার্কভুক্ত দেশের নাগরিক হওয়ায় জনপ্রতি ত্রিশ রুপীর টিকেট কেটে আমরা যখন প্রবেশ করি সিকরির ঐতিহাসিক ভূমিতে, তখন খুব একটা পর্যটকের ভিড় ছিলো না সেখানে। সব মিলিয়ে শ'খানেক পর্যটক হবে।
ফতেহপুর সিকরি'তে গাইড নিয়ে ভ্রমণ করাটাই বেটার, কেননা এতো এতো ইতিহাস আর তথ্যের ডালা মিশে আছে ফাতেহপুর সিকরির পরতে পরতে যে আপনাকে অবাক করে দিবে। অডিও ট্যুর গাইডও পাওয়া যায় টিকেট কাউন্টারে। আমরা ভুল করেছিলাম গাইড না নিয়ে; এর কারণ অবশ্য তাজমহলে গাইডের অতিরিক্ত গাইড করার চেষ্টা যা আমাকে প্রচন্ড বিরক্ত করেছিলো। ফতেহপুর সিকরিতে প্রবেশপথটাই আমাকে মুগ্ধ করেছে, শুরুতেই যে মুগ্ধতা ছড়ায়, তার তো পরতে পরতে মুগ্ধতা বিছানো থাকাটাই স্বাভাবিক।
আগ্রার অদূরে দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে ফতেহপুর সিকরি, যা ছিলো সম্রাট বাবরের খুবই পছন্দের স্থান। মহারাণা সংগ্রাম সিংহকে পরাজিত করার পরে সম্রাট বাবর এখানে 'বিজয়ের উদ্যান' নামে এক বাগান বানিয়েছিলেন; সেই বাগানে একটি আটকোণা চাতাল বানিয়েছিলেন যা তিনি বিনোদন ও লেখার জন্যে ব্যবহার করতেন। সম্রাট বাবরের সৈন্যেরা এখানকার শুকরি ঝিলের জল ব্যবহার করতেন তাই বাবর জায়গাটির নাম দিয়েছিলেন শুকরি। পরবর্তীতে সম্রাট বাবর ও হুমায়ুন, দু’জনেই অবসরে আসতেন এই জনপদে, চিত্তবিনোদন এবং অবসরযাপন এর উদ্দেশ্যে। তখন মূল আগরা শহর থেকে অনেকটাই নির্জন ছিল সিক্রি গ্রাম। মুঘল সম্রাটরা আসতেন সড়কপথে বা যমুনার জলপথে।
বাবর হুমায়ুনের পর যখন মুঘল সাম্রাজ্যে আসীন সম্রাট আকবর, তখন তিনি মাঝে মাঝে এই নির্জন সিকরিতে আসতেন। সম্রাট আকবর তখনও ছিলেন নিঃসন্তান। এসময় সম্রাট খোঁজ পান সুফী সাধক সেলিম চিস্তি'র। সন্তানহীন আকবর সন্তান কামনায় আগ্রা থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে ফতেপুর গ্রামে ছুটে আসেন সুফি সেলিম চিস্তির কাছে। নিঃসন্তান সম্রাট আকবর সেলিম চিস্তির কাছে তার ভবিষ্যত জানতে চাইলে সেলিম চিস্তি ভবিষ্যত বাণী করেন যে, সম্রাট পুত্রসন্তান লাভ করবেন। এজন্য সেলিম চিস্তি আল্লাহ্র দরবারে খাস দোয়া করেন। তাঁর দোয়ার পরবর্তী সময়ে এই সিকরিতেই ১৫৬৯ সালে যোধাবাঈ পুত্রসন্তান জন্ম দেন যার নামই সেলিম, পরে যিনি সম্রাট জাহাঙ্গীর নামে পরিচিত হন। শুধু তাই নয়, এর পরপরই মুসলিম বেগমের গর্ভে মুরাদ এবং খ্রিস্টান স্ত্রীর গর্ভে দানিয়েল নামে পুত্রসন্তানের জন্ম হয়৷শেখ সেলিম চিস্তির সফল ভবিষ্যদ্বাণীতে সম্রাট যারপরনাই আবেগাপ্লুত হন এবং তার সন্তানের নাম রাখে সেলিম। আনন্দে আত্মহারা সম্রাট আকবর সেলিম তথা জাহাঙ্গিরের জন্মস্থান, সিক্রি গ্রামে সম্রাট আকবর সেলিম চিশতির সম্মানার্থে নির্মাণ করান প্রাসাদ এবং তাকে ঘিরে পুরো নগরী, প্রাচীর-ঘেরা শহর ও প্রাসাদ নির্মাণ শুরু করেন। শেখ সেলিমের খানকাতে নিজের রাজধানী স্থাপন করে আকবর নিজেকে এবং নিজের রাজ্যকে সুফি রীতি-নীতির অন্তর্ভুক্ত করেন।
সিকরি নগরী পত্তনের পর ১৫৭১ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর দিল্লি থেকে মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী এই ফতেপুর সিক্রিতে স্থানান্তর করেন। ১৫৭৩ খ্রিস্টাব্দে গুজরাত জয়ের স্মারক হিসেবে এই নগরীর নাম আকবর রেখেছিলেন ‘ফতেপুর সিক্রি’। অর্থাৎ 'জয়ের শহর'। গুজরাত বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে এই নগরীতে তৈরি হয়েছিল ‘বুলন্দ দরওয়াজা’। ১৫৭১ থেকে ১৫৮৫ অবধি ফতেপুর সিক্রি ছিল মুঘলদের রা্জধানী। রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ার পরেও কিছু দিন জ্বলে ছিল ফতেপুর সিক্রির বাতি। ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে যায় এই নগরী, যার মূল কারণ ছিল জলকষ্ট। এতো সাধ করে নির্মিত এই সিকরির প্রাসাদই কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই জলকষ্টের। প্রাসাদটি নিকটবর্তী একটি ঝিলের উৎসমুখ বন্ধ করে দেয় এবং আশে-পাশের জল-সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত্য হয়। জলকষ্টের কারণ ছাড়াও এই প্রাসাদটি রাজপুতানার কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় শত্রুদ্বারা আক্রমনের ভয়ও ছিল। এই সমস্ত কারণে প্রাসাদটিকে ১৫৮৫ সালে বর্জণ করা হয় এবং রাজধানী লাহোরে স্থানান্তরিত করা হয়। আকবর ১৬০১ সালে কিছুদিনের জন্য এখানে ফিরে এলেও পাকাপাকিভাবে আর ফেরেননি।
সিকরির জলকষ্টের অন্য এক রূপকথাও প্রচলিত আছে, কিছুদিন আগেই যা নিয়ে ব্লগার জুলভার্ন একটা পোষ্ট দিয়েছিলেন। সেই জনশ্রুতি হল, এই জলকষ্টও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ছিল না, এটি ছিলো এক অভিশাপ এর ফল। ফতেপুর সিক্রিতে সম্রাট আকবরের মনোরঞ্জনের জন্য অনেক আয়োজন এর একটি ছিল বাঈজি নাচ, আর সেখানে তার প্রিয় নর্তকী ছিলেন জারিনা নামক এক নর্তকী। সে ছিলো সম্রাটের খুবই প্রিয় নর্তকী, তাঁর জন্য নির্দিষ্ট ছিল আলাদা মহল পর্যন্ত।। কিন্তু জারিনার প্রতি সম্রাটের এই অতিরিক্ত আকর্ষণই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য। ঈর্ষাকাতর হয়ে আকবরের হারেমের বাকি নারীরা ষড়যন্ত্র করেন জারিনার বিরুদ্ধে। সাজানো চুরির নাটকে সম্রাটের সামনে চোর সাব্যস্ত হন জারিনা যেখানে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। আর অতি প্রিয় জরিনা'র চুরির শাস্তি হিসেবে আকবর তাঁর দু’টি হাত কেটে নেওয়ার শাস্তি দেন। কিন্তু এই শাস্তি কার্যকর হওয়ার পর জারিনার পাওয়া যায় নাই কোনও খোঁজ, একেবারে রাতারাতি তিনি উধাও হয়ে যান। জরিনা কি পালিয়ে গিয়েছিলেন, নাকি তাকে তাঁকে গুমখুন করা হয়েছিল অথবা রাজরোষ থেকে বাঁচতে জারিনা করেছিলেন আত্মহত্যা; কোন উত্তর পাওয়া যায় নাই। এদিকে সন্তানের শোকে উন্মাদপ্রায় জারিনার বাবা অভিশাপ দেন সম্রাট আর তার সাম্রাজ্যকে। জনশ্রুতি মতে তাঁর অভিশাপেই নাকি ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় ফতেপুর নগরী ও তার সংলগ্ন এলাকা। বাধ্য হয়ে রাজধানী সরিয়ে নিয়ে যান সম্রাট আকবর। তার পর থেকে পরিত্যক্ত ও অভিশপ্ত হয়ে পড়ে অনন্য এই ঐতিহাসিক নিদর্শন।
যদিও এর পরবর্তীকালে মুঘল সম্রাট মোহম্মদ শাহ (১৭১৯-১৭৪৮) এবং তার প্রতিনিধি সৈয়দ হাসান আলি খান বরহা্কে এখানে হত্যা (১৭২০) করা হয়। মারাঠাদের দিল্লী বিজয়ের পরে তারা এই প্রাসাদের দখল নিলেও পরে তা ইংরেজদের হস্তগত হয়। তারা এটিকে সদর দপ্তর ও সেনা-ছাঁউনি হিসাবে ব্যবহার করেন।
ভারতীয় পুরাতাত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই) এর অনুসন্ধানে জানা গেছে সিকরিতে মুঘলদের অনেক আগেই খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় অব্দে শুঙ্গ বংশের শাসন ছিল। এছাড়া দ্বাদশ শতকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সিকরোয়ার রাজপুত বংশেরও এখানে শাসনের ইতিহাস পাওয়া গেছে। ১৯৯৯-২০০০ সালের ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের করা খননকার্যের ভিত্তিতে আগ্রার অভিজ্ঞ সাংবাদিক ভানু প্রতাপ সিংহ বলেন, "এখানকার পুরাকালের দ্রব্যসামগ্রী, মূর্তি ও গঠনপ্রণালী দেখে মনে হয় এটি একটি ১,০০০ বছরেরও বেশি পুরনো 'সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্থান', যা হারিয়ে যায় কালের স্রোতে একসময়"। জৈন সম্প্রদায়ের বরিষ্ঠ নেতা স্বরূপ চন্দ্র জৈন বলেছেন, "পুরাতাত্ত্বিক খননে এখান থেকে একশোরও বেশি জৈন মূর্তি এবং একটি মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর পাওয়া গেছে যার উপরে সাল লেখা রয়েছে। ১,০০০ বছরেরও পুরনো এইসব মুর্তিগুলি আসলে ভগবান আদিনাথ, ভগবান ঋষভনাথ, ভগবান মহাবীর ও জৈন যক্ষিনীদের।"
ফতেহপুর সিকরিতে প্রবেশপথে রাস্তা দুদিকে ভাগ হয়ে গেছে। ডানদিক দিয়ে সম্রাট আকবরের সচিবালয়, বিনোদনখানা এসব দেখা যাবে আর বাম দিকে গেলে মসজিদ এবং সেলিম চিস্তির দরগাহ। আমার দলে আমার সমবয়সী দুই আত্মীয় ছিলো, তারা দুজন চল্লিশের উপরে তাপমাত্রায় একেবারে কাহিল হয়ে গিয়েছিলো, আমিও তাদের দলেই শেষমেশ যুক্ত হয়ে গেলাম। ফেরার পথে আমাদের প্ল্যান ছিলো সেলিম চিশতির দরগাহে ঢুঁ মারা, আমি প্রবেশ পথের এক গাছের ছায়ায় বসে পড়লাম, বাকীদের বললাম যার যার ইচ্ছে আধঘন্টা সময় দিচ্ছি, সেখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। আমার ছোট ভাইয়ের কাছে আমার মোবাইল দিয়ে দিলাম, কিছু ছবি তুলে আনতে।
সেলিম চিশতীর সমাধিটি জেনানা রৌজার কাছে ফতেহপুর সিক্রিতে ইম্পেরিয়াল কমপ্লেক্স এবং বুলন্দ দরওয়াজার দিকে দক্ষিণ দিকে মুখ করে নির্মিত। ১৫৮০-৮১ সালে এই সমাধিস্থলতটি সম্রাট আকবর নির্মান করেন, এখানে ৩৫০ফুট বাই ৪৪০ ফুটের একটি জামে মসজিদ রয়েছে। উল্লেখ্য, সূফী সাধক সেলিম চিস্তি আজমিরের খাজা মইনুদ্দিন চিশতির বংশধর ছিলেন যিনি সিক্রির শৈলশিরার একটি গুহায় বসবাস করতেন। একটি একক অর্ধবৃত্তাকার গম্বুজ বিশিষ্ট মূল সমাধি ভবনটি চারদিকে সূক্ষ্ম মার্বেল পর্দা দ্বারা ঘেরা। বাদামী মার্বেলের অভ্যন্তরীণ অংশের সীমানা ঘেঁষে কুরআনের আয়াত সহ - একটি নীল পটভূমি রয়েছে। খোদাই করা এবং আঁকা সমাধি কক্ষটিতে সাদা মার্বেল এর মাঝে বহু রঙের দামী পাথর দিয়ে জড়ানো।
আধঘন্টার কিছু বেশী সময় পরে সবাই বের হয়ে সেলিম চিস্তির রওজা এবং মসজিদ কম্পাউন্ড ঘুরে আসলে পরে আমরা রওনা হলাম ফতেহপুর সিকরি থেকে জয়পুরের দিকে। আর এখান থেকেই শুরু হলো আবার ঝামেলা আমাদের 'টেম্পো ট্রাভেলার' এর ড্রাইভারের সাথে। সেই গল্প দিয়েই না হয় শুরু করা যাবে আগামী পর্বটি।
তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ
উইকিপিডিয়া বাংলা
উৎসর্গঃ আমার ভারত ভ্রমণের এই সিরিজটি ব্লগার "কামরুন নাহার বীথি" আপাকে উৎসর্গ করছি। উনি আমার এই ট্যুরে ট্যুরমেট ছিলেন। গত পহেলা জানুয়ারী রাত এগারো ঘটিকায় বীথি আপা আল্লাহ্র ডাকে সারা দিয়ে পরপারে চলে গেছেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে। আল্লাহ্ তার শোকার্ত পরিবারকে এই শোক সইবার ধৈর্য দাণ করুন। আর আপাকে পরপারে আল্লাহ্ সকল গুনাহ (যদি থাকে) মাফ করে তার কবরে আজাব মাফ করুন এবং আখেরাতে বেহেশত নসীব করুন।
প্রথম পর্ব থেকে বীথি আপার এই ট্যুরে যুক্ত হওয়ার ঘটনাটা আবার তুলে ধরলামঃ
ঈদের কয়েকদিন আগে আমি কোন একটা কাজে নীলক্ষেত মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, একটি অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো, কল রিসিভ করতে অপরপাশ থেকে অচেনা কণ্ঠস্বর। আমাদের দলের সাথে যুক্ত হতে চায় এই ট্রিপে। “সামহোয়্যার ইন ব্লগ” এ তখন পর্যন্ত আমার পূর্বপরিচিত কেউ ছাড়া আর কারো সাথে পরিচয় ছিলো না। “সাদা মনের মানুষ” খ্যাত কামাল ভাই এর সাথে পরিচয় ভ্রমণ বাংলাদেশ থেকে। সেই কামাল ভাই এর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফোন দিয়ে প্রিয় ব্লগার কামরুন নাহার বীথি আপা। উনি এবং ভাইয়া যুক্ত হতে চাচ্ছেন আমাদের সাথে। আমি একদিন সময় নিয়ে উনাকে কনফার্ম করলাম উনাদের যুক্ত হওয়ার ব্যাপারটা। এরপর উনাদের এয়ার টিকেট এর ব্যবস্থা করা হলো। দল গিয়ে দাড়ালো দশজনের। সিদ্ধান্ত হল চারজনের একটা দল ঈদের দিন রাতে রওনা হয়ে যাবো কলকাতার উদ্দেশ্যে। একদিন পরে বাকী ছয়জন রওনা হবে, যেহেতু কোরবানী ঈদের ছুটি, তাই অনেকেই সারাদিনের কোরবানীর হ্যাপা পোহানোর পর সেদিন রাতেই রওনা হতে রাজী হলো না। ফলে আমরা যে চারজন আগে রওনা হবো, তারা একরাত কলকাতা থেকে পরেরদিন সরাসরি বিমানবন্দর চলে যাবো। অপর দলও সরাসরি বেনাপোল বর্ডার হতে দমদম বিমানবন্দর চলে আসবে। এরপর ঢাকা থেকে সকলের কলকাতার বাসের টিকেট এবং আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে অপেক্ষার পালা চলতে লাগলো….
ভ্রমণকালঃ সেপ্টেম্বর ২০১৬
গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর, ২০১৬ এর সকল পর্বঃ
* যাত্রা শুরুর আগের গল্প (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০১)
* কলকাতায় অপেক্ষা... (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০২)
* ফ্লাইট মিসড তো ট্যুর ক্যান্সেলড... টেনশনিত অপেক্ষার শেষে (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৩)
* আগ্রার পাণে যাত্রা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৪)
* আগ্রার ঘাগড়ায়, দেখা হলো না নয়ন জুড়িয়া (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৫)
* তাজমহলে পদধূলি (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৬)
* আগ্রা ফোর্ট - বহু ইতিহাসের সাক্ষী (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৭)
* কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা "ফাতেহপুর সিকরি" ভ্রমণ (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৮)
এক পোস্টে ভারত ভ্রমণের সকল পোস্টঃ বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪০