![]()
Quality comes first, not Quantity...আসলেই অনেক লেখার লেখক তিনি নন। কিন্তু পাঠকপাত্রে ওনার অবদান চিরস্মরণীয়। বলছি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ-র কথা। প্রথমে ছোটগল্প,তারপর উপন্যাস,তারপর নাটক- এই ক্রমে তিনি মাধ্যমগুলোতে এগিয়েছেন। সব মিলিয়ে তিনি নিবিড় এক গদ্যশিল্পী।
১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট চট্টগ্রামের ষোলশহরে সৈয়দ বাড়িতে তাঁর জন্ম। পিতা সৈয়দ আহমদউল্লাহ ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। এ কারণে পূর্ববাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে পিতার কর্মস্থলে তাঁর বড় হওয়া। এর ফলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনকে নানাভাবে তাঁর দেখার সুযোগ ঘটে,যার প্রভাব দেখা যায় তাঁর রচনায়।কুড়িগ্রাম হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আই.এ, এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে বি.এ দেশ ভাগের পর ওয়ালীউল্লাহ ঢাকায় এসে প্রথমে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সহকারী বার্তা-সম্পাদক ও পরে করাচি কেন্দ্রের বার্তা-সম্পাদক হন। ১৯৫১-৬০ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সরকারের পক্ষে নয়াদিল্লি, সিডনি, জাকার্তা ও লন্ডনে বিভিন্ন উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি প্যারিসে পাকিস্তান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং ১৯৬৭-৭১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কোর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ছিলেন।
![]()
ফরাসি নাগরিক এ্যান মেরির সঙ্গে ওয়ালীউল্লাহ পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন (১৯৫৫)। মিসেস মেরি ওয়ালীউল্লাহর প্রথম উপন্যাস লালসালু (১৯৪৮) ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করেন। পরে এটি Tree Without Roots (১৯৬৭) নামে ইংরেজিতেও অনূদিত হয়।
তাঁর রচনাসমূহ নিম্নরূপ
ছোটগল্পঃ 'নয়নচারা', 'দুইতীর', অগ্রন্থিত গল্পাবলি'
উপন্যাসঃ 'লালসালু', 'চাঁদের অমাবস্যা' ,'কাঁদো নদী কাঁদো', 'কদর্য এশীয়' (Ugly Asian এর অনুবাদ ), 'শিম কিভাবে রান্না করতে হয়(How does one cook beans)'
নয়নচারা-ইয় আটটি গল্প আছে।
-নয়নচারা,জাহাজী,পরাজয়,মৃত্যুযাত্রা,খুনী,রক্ত,খ-চাদের বক্রতায়,সেই পৃথিবী
দুইতীর-এ আছে নয়টিঃ দুইতীর,একটি তুলসী গাছের কাহিনী,পাগড়ি,কেরায়া,নিষ্ফল জীবন নিষ্ফল যাত্রা,গ্রীষ্মের ছুটি,মালেকা,স্তন,মতীনউদ্দিনের প্রেম।
অনেক সমালোচক তাকে জগদীশ গুপ্ত ও মানিক বন্দোপাধ্যায়ের উত্তরাধিকার মনে করলেও শিল্প সমৃদ্ধিতে এবং মানবজীবনের চিত্র অঙ্কনে তিনি স্বকীয় এবং অনন্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




