কেউকারাডং এডভেন্চার -১
কেউকারাডং এ পৌছে একটা আনন্দ অনুভব করলাম, কিন্তু আনন্দ মাটি হল যখন শুনলাম কেউকারাডং নয় ,তাজিংডং বাংলাদেশের উচু চুড়া।যেতে চাইলাম সাথে সাথে, গাইড হ্তাশ করল কারন তাজিংডং চার দিনের পথ,অনেক প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হয়।
কিছক্ষন বিশ্রাম নিয়ে নিচে নামতে লাগলাম।পাহাড়ে উঠা যতটা কষ্টের নামা টা তত কষ্টের না ,অনেক সোজা।গান গাইতে গাইতে নিচে নামতে লাগলাম চার বন্ধু।
কিন্ত একটাই সমস্যা ,সেটা হল আমদের সাথের পানি ফুরিয়ে গেছে।সামনে ঝর্না থেকে পানি সংগ্রহ করতে হবে , গাইড আশ্বস্হ করল।
ঝর্নায় চলে এলাম,আমি বোতলে পানি ভরার জন্য পাথর বেয়ে উপরে উঠে গেলাম,নিচে নেমে দেখি বন্ধুরা কেউ নেই,আমাকে ফেলেই চলে গেল!!!
এমন সময় তিনজন বিদেশি মেয়ে হাসতে হাসতে জংগল থেকে বের হয়ে আসল,তাদের একজন আমার কাছে পানির বোতলটি চাইল,তাদের সাথের বোতল নাকি পাহাড়ে পরে গেছে।--আমার ভুল ভাংল ওনারা বিদেশি না , পাহাড়ি ।তাদের পোষাক , গায়ের গরন যে কেউ বিদেশি ভেবে ভুল করবে।পানির বোতল তো দেয়া যাবে না , আমার আর বন্ধুদের পানি দরকার।কিন্তু আমি না করতে পারলাম না ,কি অদ্ভুদ আবেদন পাহাড়ি ললনাদের চাহনিতে।
-------------------------------------------
তুই লাল পাহাড়ীর দেশে যা ,
রাংগামাটির দেশে যা ,
এতাক তোরে মানাইছে নাই রে-
ইক্কেবারে মানাইছে নাই রে ....
------------------------------------------
সমানে দেখি বন্ধুরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে ,হয়ত পানি পিপাসা লেগেছে ,বললাম পানি দিয়ে দিছি, গটমট করে তাকায় আছে আমার দিকে।আমিও বল্লাম আমাকে ছাড়া চলে এলি যে? ঝর্নার পানির শব্দে তাদের চিৎকার শোনা যায় নি।
বাগালেকে ফিরে আসলাম, তখন দুপুর ৩.৩০।ক্ষুধায় পেট চো চো করছে,গাইড পেপে জোগার করল, তাই ঘাপুস ঘুপুস করে খেলাম।বগালেকে গোসল করলাম তবে এবার নামার দঃসাহস করলাম না।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া হল।গাইডের সাথে পরামর্শ করলাম কিভাবে রুমা বাজার যাওয়া যায়।গাইড আমাদের প্রলোভন দেখাল পায়ে হেটে যাবার জন্য ,ঝিরি পথ,ঝর্না , পাথর ,গিরি,পাহারি সমতল আরো অনেক।কিন্তু ক্লান্তির কাছে সব কিছু পরাজিত।গাইডকে বল্লাম গারি জোগার করার জন্য।গাইড ব্যস্ত হয়ে গেল গাড়ি জোগার করার জন্য।রাতে কিছুই করার নেই , চার বন্ধু মিলে আই,বি খেল্লাম অনেক বছর পরে।
সকালে উঠেই রওনা হলাম রুমার উদ্দেশ্যে,পাহাড়ি রাস্তা আকা বাকা পথ আগের মত আর ভয় লাগল না।যে পাড়াতে আগুন লেগেছিল সেখানে দেখলাম সব কিছুই সাবাভিক , কত দ্রুত ক্রান্তি কাটিয়ে উঠল! জিবন চলে জিবনের গতিতে।কোন কিছুই যেন জিবনকে আটকে রাখতে পারে না।
রুমাতে এসে গাইডকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিলাম।একটি নৌকা ভাড়া করলাম।আবার সেই প্রিয়সীর সাথে দেখা! নদি যেন জিবন এবং সভ্যতার
পরিবর্তন আনে।এতক্ষন ছিল জংলি জিবন ,এখন নদির দুপাশে সভ্যতা সহজেই টের পাওয়া যায়।আমাদের নৌকায় কে যেন একটা কলার কাধি রেখে গেছে,মাঝিকে জিগ্গেস করলাম কার? জবাবে মালিক নাই,,, আমারা ক্ষানিকের জন্য বাদর হয়ে গেলাম।পাহড়ি কালায় মনে হয় নেশা আছে।রুমা ঘাটে পৌছে একটা চান্দের গারি ভারা করলাম। আসার পথে শৈল প্রপাত দেখে আসলাম।
দুপুর ২.৩০ মিনটে আমরা বান্দরবন পৌছলাম।খেয়ে নিলাম হোটেল থেকে।ঢাকা আশার কোন বাসের টিকেট নেই,তাই চট্টগ্রাম আসলাম।আমার এক বন্ধু চট্টগ্রামে তার শৈশব এবং কৈশর কাটিয়েছে।তার আবেগে আমরাও কিছুটা সিক্ত হলাম।সন্ধায় গেলাম বানিজ্য মেলায়।মানুষহের ঢল।চট্টগ্রামে মেয়েরা সুন্দরি যতক্ষন চুপ থাকে, যখনি কথা বালা শুরু করে তখনি দুর্বদ্ধ হয়ে উঠে।
রাতের গাড়িতে চড়ে ঢাকায় ।আর মাথায় তাজিংডং যাবার চিন্তা ঘুর ঘুর করছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




