সেই হেমন্তে
হিমাদ্রি শেখর বিশ্বাস রনি
নিস্তব্দ রাতের বাতাসে আজ
ইতিহাসের গন্ধ পাই; পুরোনোদিনের
ডায়েরির পাতা উল্টিয়ে থেমে যাই কোন শেষ হেমন্তে ... ...
সেই হেমন্তে সর্ষে বীজে মাঠ
গর্ভবতী হয়, বিকেলের কমলা ঠান্ডা আলো
লম্বা ছায়া তৈরি করে আমাদের - আমার যৌবন
নিয়ে উচুঁনিচু মেঠো পথে তুমি হেঁটে যাও নীল চাদর
গায়ে দিয়ে।
সেই হেমন্তে টুপটাপ শিশির পড়ার শব্দ
শুনেছি আমি কত রাতে; একা থাকা - কাকে বলে
জানতে কত রাত একা থাকিনি আমি; ফিস্ফিস্
না করে কত রাত কথা বলেছি চুপচাপ-
শরীর স-ব বোঝে।
সেই হেমন্তে ভুল করব বলে নিজেকে নিয়ে খেলেছি বহুবার -
কী যেন পেতে বারবার
ছুটেছি উল্টোদিকে;
ছেলেমানুষের মতো আমার যৌবন করেছি দান।
সেই হেমন্তে আজ আমি অন্যমানুষ;
(ন’টা- সাতটা অফিস করতে জানি)
কাজকে ভালবেসে কত ভাল(?) মেশিন হয়েছি!
শুধু সেই হেমন্তে আমি, এই আমি এক পুরুষ ছিলাম ।।
রাজশাহী,
০৮/১১/২০০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



