কাল রাতে ঘুমন্ত এক শহরে জেগে উঠলাম
বসন্তের বিশুষ্ক বাতাসে উড়ে চলা কাগজ
আমি হাঁটছি রাস্তায় আঁচড় না ফেলে
ভরা পূর্ণিমায় শিমুল তুলা আকাশ থেকে পড়ছে ঝরে
শরীরে মেখেছি মায়ার আবির
হাজার মাইল দূরে হাজার দিন দেখেছি কত
ঘর ছাড়া পাখির চোখে এই রাস্তা
নেই কেউ অথচ আছে সকল পরিচিত জন
মিস্টি আতরের সৌরভ নিয়ে যাচ্ছে হেঁটে
হাঁটতে, হাঁটতে এক বাড়ির সামনে
থমকে দেখি খুব পরিচিত আলপনা সিঁড়ি
বারান্দা, দরজা, জানালা গলিয়ে এলাচ, দারুচিনি মাখা সেমাইয়ের সৌগন্ধ
বানভাসি টানে ভেতরে চশমা, জায়নামাজ, রেহেল খুঁজে ফিরি
নির্মোহ বাতাসে উড়ে জানালার পর্দা
সাইড টেবিলে ফুলদানি দেয় ছুঁয়ে
ফাঁকা চায়ের কাপ পিরিচে রিনরিন
দেয়ালে মোনালিসার ওষ্ঠে স্মিত হাসি
ডাইনিং টেবিলে সাজানো এগারোটি প্লেট গ্লাস
বারান্দা লাগোয়া রান্নাঘরে জাফরান ধোঁয়া
হৃদয় অরণ্যে সবকিছু নিই টেনে
কুয়োতলায় বালতি ভরা ওজুর পানি
পাশেই বেলী ফুলের বাগান
আকাশ ভরা বসন্ত এখন তুঙ্গে
তবু ফুলগুলি অহেতুক ম্রিয়মান
সমস্ত শক্তি দিয়ে, অঢেল স্নেহ দিয়ে
বালতির পানি বাগানে, মাটিতে ভিজিয়ে দিই
বেলীর ডালে ফুলে মৃদু স্পন্দন
সকরুণ ক্রন্দন জিজ্ঞাসা, “এতদিন কোথায় ছিলেন?”
উঠোনের চারিদিকে অস্ফুট শব্দের অনুরণন
“ছিলেন যখন কত সুন্দর দিনগুলো ছিলো তখন!”
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




