somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

’ব্যাংক’ দেউলিয়া করেছে কারজাই ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা...............................প্রান বাঁচাতে দেশ ছাড়লেন আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর

৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুশৃঙ্খল ব্যাংক ব্যবস্থা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বিশেষ সহায়ক। ব্যাংক একটি আর্থিক মাধ্যম এবং আদান-প্রদানকারী সংস্থা। জনগনের কাছ থেকে আমানত গ্রহন করে শিল্প বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ঋণ সরবরাহ করা ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। আমানত ও সম্পদের পরিমান বিবেচনা করে ব্যাংক স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের ব্যবস্থা করে থাকে। ফলে ক্ষুদ্র ও বৃহদায়তন শিল্পায়নের পথ সুগম হয়, অর্থনীতিতে গতিশীলতা আসে ও শিল্পায়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এ ছাড়াও ব্যাংকের কাজ হলো জনগনের মধ্যে সঞ্চয় প্রবনতা বৃদ্ধি করা। তবে অতিরিক্ত অর্থের নিরাপদ সংরক্ষনই ব্যাংকের একমাত্র কাজ নয়, সে অর্থের সুবিধাজনক সদ্ব্যবহার করাও তার কাজ। জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপারে তাই ব্যাংকের ভুমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ন। ব্যাংকের শ্রেনী ভেদ রয়েছে। এগুলো হলো- বাণিজ্যিক ব্যাংক, শিল্পায়ন ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, আমানত ব্যাংক ইত্যাদি। আর এসব ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হলো মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থা পরিচালনা করা, জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরী করা এবং অন্যান্য ব্যাংকগুলোকে সহযোগিতা করা। অর্থ্যাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের অভিভাবক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকার ও অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার হিসাবেও কাজ করে এবং অর্থনৈতিক ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মাবলী ও শর্তাদি অন্যান্য ব্যাংক মানতে বাধ্য। আগেই বলেছি যে আর্থিক শৃংখলাই ব্যাংকের উন্নতির পূর্বশর্ত। কোন কারনে এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে যায় এবং সার্বিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের রাজনৈতিক প্রভাব এবং দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি ও জালিয়াতি-প্রতারনায় ব্যাংক ব্যবস্থার সুষ্ঠু কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এই কুপ্রভাব অব্যাহত থাকলে ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায়। দক্ষিন এশিয়ায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে স¤প্রতি এ রকম ঘটনা ঘটেছে। দেশটির প্রধান ব্যাংক ’কাবুল ব্যাংক’ গত বছর দেউলিয়া হয়ে যায়। এর প্রধান কারন ক্ষমতাসীন দল ও প্রভাবশালীদের রাজনৈতিক প্রভাব এবং স্বজনপ্রীতি ও বেপরোয়া দুর্নীতি। প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই-এর ছোট ভাই থেকে শুরু করে মন্ত্রী,এমপিরাও কাবুল ব্যাংক থেকে ঢালাও ঋণ গ্রহন করেন। অথচ এক কানাকড়িও ফেরত দেননি। এছাড়াও আরো অনেক অজ্ঞাত ব্যক্তি ও ভূয়া প্রতিষ্ঠানকে কাবুল ব্যাংক ঋণ দিতে বাধ্য হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের চাপে। ঋণ দিতে দিতে ব্যাংক নিজেই একসময় দেউলিয়া হয়ে যায়। এরকম অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সক্রিয় হয়। তদন্ত শুরু করে। তদন্তে কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট কারজাই থেকে শুরু করে মন্ত্রী,এমপি ও সরকারের ভিতরে বাইরে আরো অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি, আমলা ও কর্তারাও ফেঁসে যান । কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পার্লামেন্টে দাড়িয়ে সর্ব সমক্ষে ’কাবুল ব্যাংক’ জালিয়াতি-প্রতারনায় জড়িতদের নাম ধাম ফাঁস করেন। ঘটনার চূড়ান্ত পরিনতি আঁচ করে সংশ্লিষ্ট মহল শঙ্কিত হয়ে পড়ে। যে কোন মূল্যে ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চলে। ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ব্যাস, পড়বি তো পড় সব দোষ মালির ঘাড়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর প্রমাদ গুনলেন। পরিস্থিতি পুরো উল্টে গেছে। বুঝতে পারলেন তার মৃত্যুবান প্রস্তুত। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রান বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালালেন। অবশ্য এ ছাড়া আর কোন পথ তার জন্য খোলা ছিল না। এবার নজর দেয়া যাক পুরো ঘটনার দিকে।
আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুল কাদির ফিতরাত গত ২৮ জুন পদত্যাগ করেছেন। এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। তার ভাষায় প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সরকারে তার প্রান সংশয় দেখা দিয়েছিল। ঘটনা অনুধাবন করার সাথে সাথেই তিনি পদত্যাগ করার মনস্থ করেন। কাবুল ব্যাংকের বেশ কয়েকটি দুর্নিতি, জালিয়াতি - প্রতারনা ঘটনার তিনি তদন্ত করছিলেন। আর এসব ঘটনায় কারজাই সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও রাঘব বোয়ালরা জড়িত রয়েছেন। তিনি বলছেন, আফগান সরকার তদন্ত কাজটি বন্ধ করার এবং তদন্ত কাজে নাশকতা চালানোর চেষ্টা চালিয়েছিল। গভর্নর তার পদত্যাগের বিষয়টি যক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি আর কখনও আফগানিস্তানে ফিরবেন না বলেও জানিযেছেন। ফিতরাতের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব রয়েছে। আফগান ওয়াখত বার্তা সংস্থাও ফিতরাতের পদত্যাগের পেছনে মূল কারন হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষন ব্যবস্থায় কতিপয প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছে। তবে আফগান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, ফিতরাতের পদত্যাগের বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে একটি বেঈমানির ঘটনা। আফগান প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ওয়াহিদ ওমর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এটর্নি জেনারেলের অফিসের জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় আব্দুল কাদির ফিতরাতের নামও ছিল। আফগান সরকার এর আগেই বলেছিল যে কাবুল ব্যাংক সংকট ও এর দেউলিয়া হওয়ার পেছেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর দায়ী। যেহেতু সরকার নিজেই এই তদন্ত কাজে নেমেছিল সেকারনেই তিনি পদত্যাগ করেন। কাবুল ব্যাংক আফগানিস্তানের বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকটিতে জালিয়াতি ও প্রতারনা চলতে থাকায় গত বছর ব্যাংকটি দেউলিয়া হয়ে যায়। তদন্তে দেখা যায় যে ২৭০টি দেউলিয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ৪৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার ঋণ দেয়া হয়েছে। দেশের সরকারী কর্মচারীদের বেতনের বেশির ভাগই কাবুল ব্যংকের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পুলিশ কর্মকর্তরাও রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সক্রিয় হয় এবং ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। আর একারনেই গভর্নর আব্দুল কাদির ফিতরাতের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছিল। এ ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্য ও আকাট্য তথ্যও তার হাতে রয়েছে বলে ফিতরাত জানান। ফিতরাত আরো বলেন, কাবুল ব্যাংকে দশ মাস ধরে সংকট চলতে থাকায় আমি একটি বিশেষ আদালত গঠন করার চাপ অনুভব করি। এসব জালিয়াতি ও প্রতারনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এর পেছনে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে কাঠগড়ায় দাড় করানোর সিদ্ধান্ত নেই। প্রেসিডেন্ট কারজাই বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএমএফ’র চাপে এক প্রকার বাধ্য হয়েই একটি তদন্ত কমিশন গঠনের অনুমতি দেন। এর পরই তিনি তদন্ত শুরু করেন। চলতি বছর ৩১ মে তিনি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি পার্লামেন্টে ভাষনও দেন। আর তখনই তিনি বুঝতে পারেন যে তার জীবন বিপন্ন। কারন ব্যাংক জালিয়াতি ও প্রতারনায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম ধাম তিনি পার্লামেন্টের সামনেই ফাঁস করেন। ব্যাংক জালিয়াতিতে জড়িতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ট আত্মীয় এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত। তার ভাই মাহমুদ কারজাইও ব্যাংক জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত। কিন্তু এদেরকে কোনভাবেই তদন্ত করা যায়নি। কাবুল ব্যাংক সংকট শুরু হওয়ার ঠিক প্রথম দিকে প্রেসিডেন্ট কারজাই পুরো দোষটা বিদেশী উপদেষ্টাদের উপরে চাপিয়েছিলেন। তার ভাষায়, এ ঘটনার জন্য বিদেশী উপদেষ্টারাই প্রকৃত দায়ী। গভর্নর ফিতরাত যুক্তরাষ্ট্রে তার বাসভবনে এক সাংবাদিকের সাথে সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন। বিগত মাসগুলোয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংস্কারের পথে অনেক বাধা বিপত্তি দেখা দিয়েছিল বলে ফিতরাত তার পদত্যাগের পক্ষে আরো যুক্তি দেখান । সংস্কার, পর্যবেক্ষন এবং আফগানিস্তানের ব্যাংক ব্যবস্থায় কতিপয় নতুন ধারা সংযোজনের বিষয়টি বাতিল করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতারনা ও জালিয়াতিতে জড়িত ওইসব ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা ব্যাংক পরিচালনায় সরাসরি জড়িত থাকতেন ও ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ন কর্মকান্ডে অবৈধ হস্তক্ষেপ করতেন। তিনি বলেন, কাবুল ব্যাংক সংকটে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য একটি এটর্নি জেনারেল অফিস ও বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনের কথা সরকারকে বলা হয়েছিল। যাতে করে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দূর্নীতি প্রতিরোধ ও ব্যাংকের অব্যাহত সংকট নিরসন সম্ভব হয়। কিন্তু সরকার কেনদ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শ কানেই তোলেনি। পদত্যাগের স্থান হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছিল। কেননা কাবুল ব্যাংক দুর্নিতি ও জালিয়াতিতে জড়িত সরকারী আমলা ,সংসদ সদস্য ও প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের আত্মীয়স্বজনের নাম ধাম আমি সংসদে সর্বসমক্ষে ফাঁস করেছিলাম। সেকারনেই আমার বেঁচে থাকাটা কারজাই সরকারের জন্য বিপদ হয়ে দাড়িয়েছিল। ওরা আমাকে বাঁচতে দিত না। তাই দেশ ছেড়ে এসে আমি পদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছি। গভর্নরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ওয়াখত বার্তা সংস্থা বলেছে, এসব ঘটনার কারনে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)’র সঙ্গে ’ইসিএফ কর্মসূচি’ চুক্তি স্বাক্ষর শুধুমাত্র বাধাগ্রস্থই হবে তাই নয় সেসাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষন ব্যবস্থাও অচল হযে যাবে। কাবুল ব্যাংকের কেলেংকারি তদন্তের ফলাফল গ্রহনে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)’র সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে ব্যর্থতার পর বিশ্ব ব্যাংকের আফগানিস্তান পুনর্গঠন ট্রাস্ট ফান্ড আফগন সরকার কে দেয়া ৭ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা স্থগিত রেখেছে। একজন পশ্চিমা কুটনীতিক বলছেন, কাবুল ব্যাংক কেলেংকারী নিয়ে আফগান সরকার ও আইএমএফ’র মধ্যকার অব্যাহত অসন্তোষ দেশের সরকারের জন্য একটি ’লিটমাস পরীক্ষা’। এত কিছু ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর হামিদ কারজাই সরকারের ভাবমুর্তি কোন তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে তাকি তারা অনুধাবন করতে পারছেন? তৃতীয় বিশ্বের গরীব দেশগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশের মত একটি দেশের জন্য আফগানিস্তানের সা¤প্রতিক ঘটনাবলী থেকে শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছুই আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:১৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×