তারেক পরিষদ গঠন করে আক্তার হোসেন বাদল নামে এক প্রবাসী হাজার হাজার ডলারের চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং এর ৩৪টি অঙ্গ-সহযোগী ও শাখা সংগঠনের নেতারা।
শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ অভিযোগ করেন। এমনকি চাঁদা আদায়ের বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ছাপানো রশিদ বই ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
একই বিবৃতিতে তারা তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে চাঁদা সংগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং কঠোর ব্যবস্থার জন্য দেশে ও প্রবাসে জনমত সৃষ্টি করে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “অতীতেও এক শ্রেণির অসৎ ব্যক্তি- চাঁদাবাজ গং জিয়া পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে বেকায়দায় ফেলতে এ জাতীয় কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। জিয়া পরিবার ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এ সব চক্রান্তকারীকে প্রত্যাখ্যান করেছে।”
এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে দেশ-বিদেশের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আহবান জানান তারা।
বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যক্তি বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছেন। বছরের পর বছর তার চাঁদাবাজিতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা ও কর্মীরা অতিষ্ঠ। এতোদিন তার চাঁদাবাজির কোন লিখিত ডকুমেন্ট না থাকায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তরা দু’এক কথা বলে পরবর্তীতে চেপে গেছেন। ইদানিং রশিদ বই দিয়ে প্রকাশ্যে টাকা সংগ্রহ করা দেখে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র দলের নেতা-কর্মীরা হতবাক হন এবং বিষ্ময় প্রকাশ করেন।
উল্লেখ, চাঁদাবাজি কিংবা দলের শীর্ষ নেতার নাম ব্যবহার করার জন্য লন্ডনের কমিটি স্থগিত করার পর যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা সোচ্চার হতে থাকেন।
এর মধ্যেই তারেক পরিষদ নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যুরো কমিটি গঠন করে বড় অংকের টাকা সংগ্রহ শুরু করেন বাদল। তিনি দলের সহজ সরল নেতা-কর্মীদের বলেন, ‘‘লন্ডনে তারেক রহমানের অনেক টাকা দরকার, তার চিকিৎসার জন্য টাকা প্রয়োজন, আপনারা টাকা দিলে তিনি বাঁচবেন।’’
বিবৃতিদাতারা বলেন, “স্বঘোষিত এ নেতার সব কুকর্মের খবর পত্রিকায় প্রচার হওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক নেতা-কর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেকে তার ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তারা বলছেন- এসব দায়-দায়িত্ব বাদল সাহেবকে নিতে হবে। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক রাফেল তালুকদার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ডালিমসহ অনেক নেতা তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না।”
বিবৃতিদাতারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল মাহমুদ, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক কাজী আযম, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক সহ-সভাপতি নূর মোহাম্মদ, কাজী মোমিনুল হক, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মো. জহির ইসলাম মোল্লা, জাসাস আন্তর্জাতিক সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তোফায়েল লিটন চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মওলানা ওয়ালিউল্লাহ মো. আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক আকন্দ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা ও শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল মাওলা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা প্রফেসর আব্দুল মতিন, জীবন শফিক, মোস্তাক আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, খোরশেদ আলম, মো. হাসান, মাহবুবু হক আলমগীর, আ. করিম, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপির সভাপতি মাহফুজুল মাওলা নান্নু, ব্রুকলিন বিএনপির সভাপতি আবু সুফিয়ান, যুবদল নেতা মো. ইলিয়াস, রিয়াজ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, তৌফিক মিয়া, রইসউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সভাপতি পরাণ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অর্ণব ফারুক রুবেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোবস্বের রানা, মহিলা দল নেত্রী লীনা চৌধুরী, শাহানারা কবীর, জেসমিনআরা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ বাহালুল উজ্বল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রুমি, সহ-সভাপতি নাসিমুল গনি বুলেট, মুক্তিযোদ্ধা দল যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতা ওয়াহেদ আলী মন্ডল ও মীর মশিউর রহমান, আমরা জিয়ার সৈনিক এর সভাপতি মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক এসএম মাঈনুল করিম টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মো. কাউসার, খালেদা জিয়া-তারেক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি বদরুল হক আযাদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম লিটন, তারেক রহমান আন্তর্জাতিক পরিষদের সভাপতি মো. গোলাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন নাসির, যুগ্ম-সম্পাদক নাসিম আহমেদ, তারেক জাগরণ আন্তর্জাতিক পরিষদের সমন্বয়ক আবুল কাশেম, হিন্দু-বৈদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বৌদ্ধ রতন বড়–য়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাধন কর, সহ-সভাপতি বদন বড়–য়া, বাবু বিশম্বর ও এন রোজারিও, বৃহত্তর বরিশাল জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি জাফর তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা, তারেক বহির্বিশ্ব পরিষদের সা. সম্পাদক মওলানা মো. মাসুম, বৃহত্তর ময়মনসিংহ জাতীয়তাবাদী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ভিপি আলমগীর খান, বৃহত্তর চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট খায়রুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, প্রবাসের বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী ড. শওকত আলী, ড. এসআই শেলী, ড. আনোয়ারুল করিম, ড. এইচএম তারেক, ড. আব্দুর রৌফ, পেনসেলভেনিয়া বিএনপির সভাপতি দিনাজ খান, সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ, ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপি নেতা মুশফিকুর চৌধুরী খসরু, টেক্সাস বিএনপির সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, নিউ ইংল্যান্ড বিএনপির সভাপতি নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব খান, জর্জিয়া বিএনপির নেতা হাদি হাসান ডিউক, শিকাগো বিএনপির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, ওয়াশিংটন বিএনপির নেতা লিয়াকত আলী, তোফায়েল আহমেদ, আলেয়া হোসাইন, সহিদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মো. সেলিম, নিজাম আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, মো. তাজউদ্দীন, ওকলাহামা বিএনপি সভাপতি মো. সিরাজউদ্দীন, ফ্লোরিডা বিএনপির নেতা মো. সরকার, নাজমুল হাসান, নিউজার্সি বিএনপির সৈয়দ জুবায়ের আলী ও কানেকটিকাট বিএনপির নেতা মোহাম্মদউল্লাহ মামুন।
সূত্র
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



