![]()
এক যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অকালে প্রান দিতে হয়ছে শতাধিক নিরপরাধ মানুষকে। এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে তার প্রমাণ বিগত হরতালে প্রমান হয়েছে। যতবার রায় হবে, রায় কার্যকর হবে। ততবার দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে। শতাধিক নিরপরাধ মানুষকে প্রাণ দিতে হবে। তারপর রয়েছে বহিঃশক্তির চাপ। দেশ বা দেশের মানুষ কি এর ভার বহন করতে পারবে ?
বিচার যতই স্বচ্ছ হোক অপরাধীরা বলবে যে তারা ন্যায় বিচার পায় নাই। কারণ বাংলাদেশে-ই পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র দেশ যেখানে খুনি সমর্থক পাওয়া যায়, ধর্ষকের সমর্থক পাওয়া যায়, দেশ বিরোধীর সমর্থক পাওয়া যায়। এমন কি এই কাজ যারা করেন তাদের পুরস্কৃতও করা হয়। তাই সেদেশে এই সব অপরাধীদের যত দীর্ঘ সময় নিয়ে ন্যায় বিচারের চেষ্টা করা হবে ততও দেশের ও দেশের জনগনের ক্ষতি হবে।
অপরাধীরা আইনগত ভাবে লড়বে, আইনের বাহিরে জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ হত্যা করবে, দেশের সম্পদ ধ্বংস করবে, ডলার খরচ করে দেশের ওপর বহিঃশক্তির চাপ দিবে, বিচারকের বাড়িতে বোমা মারবে, স্বাক্ষী হত্যা করবে, বিচার হবার পর সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের নিষ্পাপ দাবী করবে, আর তাদের সমর্থক এবং স্বজনরা বলবে জুডিশিয়াল কিলিং হচ্ছে।
তাহলে দেশের কি প্রয়োজন এই কয়েকজন অপরাধীদের জন্য এত ক্ষতি সহ্য করা ? তাই অবিলম্বে মানবতা বিরোধী আন্তার্জাতিক ট্রাইবুনালে বিচার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আর যে কয়জন অপরাধী আছে তাদের কে একটা প্রিজন ভ্যানে তুলে। বোমা মেরে উড়িয়ে বা ফায়ার করে বললেই তো হয়। যে তাদের দলের লোকেরা তাদের ছাড়িয়ে নেবার জন্য হামলা করেছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



