~তুলনামূলক ভালো কাউকে পাইলে ভালোবেসে শরীর বিলিয়ে দেওয়ার মতো পারসনকেও মেয়েরা যে খুব সহজে ছেড়ে দিতে পারে সেটা প্রভা আরেক দফা দেখিয়ে দিয়েছিলো। রাজীবের মন যেহেতু ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিলো তাহলে সে অন্যের ঘর কেন ভাঙ্গবে না?
~এদিকে দু'বার বিয়ে করেও মা হতে ব্যর্থ হওয়া জয়া আহসান টেলিফিল্মের মাধ্যমে তার যৌ*ঙ্গের প্রদর্শন করায় ষাটোর্ধ মন্ত্রী সাহেব উদ্বেলিত হয়ে বিয়ে করে একটি শিশুর জন্ম দেন।
~এদিকে তাহসানকে মেয়েলি স্বভাবের আখ্যা দিয়ে মিথিলা ডিভোর্স নিয়ে জন কবিরের পুরুষত্ব টেস্ট করার দায়িত্বভার কাধে নেয়। কিন্তু ইতোপূর্বে যে, নাটকের মাধ্যমে জন কবির তার সমকামীতার পরিচয় প্রকাশ করেছিলো সেটা জানতো না মিথিলা।
অপরদিকে-
সামছুল কাক্কু জানিয়ে দিয়েছিলো এবারে নাকি অনেক শীত পরবে। শীতের সোদনে যাতে পোলাপান দাড়িয়ে থাকতে পারে তাই মিথিলা নিজ দায়িত্বে নিজেদের ছবি তুলেছে, এদিকে বিএনপি জামায়াত সেগুলো ছড়িয়ে দিয়ে মিথিলাকে মা* প্রমানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এসব দেখে সাধারণ জনগনের মনে একটা প্রশ্ন জাগলো, কে হবে মাসুদ রানা রিয়েলিটি শো এর আবাল বিচারক ফাহমি যদি সুযোগ পায়, তাহলে মিথিলাকে প্রানের চেয়েও বেশি ভালোবাসা খান হেলাল কেন সুযোগ পাবেনা?
এতো কিছু করার পর ও শুধুমাত্র ঝু* যাওয়ার কারণে মন রাঙ্গাতে পারেনি বলে পোলাপান তাকে নিয়ে সমালোচনা করা শুরু করে, এমন বদমাইশ পোলাপান ও দেখেছি
মেয়েরা কারোর কাছে আশ্রয় খুজে পাচ্ছেনা বলে, শেষমেশ রিপন ভিডিওর সহজ সরল রিপনের কাছে ধরনা দিচ্ছে। রিপন এতে খুশি হয়ে সবার জন্য কবিতা লিখছে। এতে করে বাঙালির কবি সমাজের শূন্যতা কিছুটা হলেও পূরণ হচ্ছে।
~পারসোনার বিজ্ঞাপনে মেয়েদের সৌন্দর্যের মাপকাঠি হলো তার রূপ এটা প্রকাশ করাতে কিছু আয়োজক বিরক্ত হয়ে রিয়েলিটি শো এর নামে মেয়েদের ভার্জিনিটি টেস্ট করিয়ে আমাদের জানিয়ে দিয়েছিলো ভার্জিনিটি না থাকলে মেয়েদের কোনো সৌন্দর্যই থাকেনা।
স্কুলের গন্ডি পেরোনোর পূর্বে অর্ধেকের ও বেশি সংখ্যক মেয়ে ভার্জিনিটি হারিয়ে ফেলায় তারা ডিফেন্ড করা শুরু করে ভার্জিনিটি ই সব না। মনই হলো সব, শরীর নয় মনকে ভালোবাসতে জানতে হবে। ছেলেদের মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। দশ ঘাটের জল খেলেও তাকে খারাপ বলা যাবেনা, যদি তার মন পবিত্র থাকে।
~ চারদিকের এতো পাপাচার থেকে মুক্তি পেতে ও পবিত্র মনের ব্যপারে জানতে পোলাপান যখন ওয়াজ মাহফিলে গেলো, গিয়ে দেখে জিহাদি সাহেব সেখানে পোলাপানকে বিড়ি খাওয়া শিখাইতেছে।
এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য যখন সবাই মাঠে নামবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো, তখন তাহেরি সবাইকে বসেন বসেন বলে একটু শান্ত থাকার আহবান জানালো।
~জানেন, রাসেল ভাই, কোনো সেলিব্রিটি তাদের বিয়ে টিকানোর ১০ বছর চ্যালেঞ্জ নিতেও অক্ষম। তারা নাকি আবার সমাজের আইডল। হাইস্যকর, এটা হাইস্যকর।
ঐদিকে আবার পর্ণ সাইট বন্ধ করে দেওয়ায়, জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে ডিসি সাহেব নিজেই তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা করে দিলেন। সরকারি চাকরিজিবীরা এদিক ওদিক থেকে হাত মারে, কিন্তু উনি মানুষকে কষ্ট না দিয়ে ইনোভেটিভ কিছু করার চেষ্টা করেন। এতে তো দোষের কিছুই দেখিনা।
~পাপন নিজের বাড়িতে ৩৭ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি পর্দা, ৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি বালিশ কিনবে বলে আশা করে, কিন্তু পকেটে টাকা না থাকায় ক্যাসিনোতে যাইয়া একদিনে ১.৫ লক্ষ টাকা আয় করে, কিন্তু পরের দিন ১৩ লক্ষ টাকা হেরে গিয়ে প্রায় দেড় মাসের জন্য পাগল হয়ে যায়।
এদিকে সাকিব আল হাসান পেয়াজের বাড়তি দামের ব্যবস্থা করতে না পেরে না খেয়ে থাকায়, উনার একজন ভক্ত উনাকে কিছু টাকা দান করবে বলে প্রস্তাব দেয়, এতে পাপন সাহেব ক্ষিপ্ত হয়ে সাকিবকে একবছরের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়। এতে কিছু মানুষ এক বছরের জন্য বাংলাদেশের খেলা দেখবেনা বলে মনস্থির করলেও ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ প্রথম টি২০ তে জয় পাওয়ার পর সবার আসল চেহারা বেরিয়ে আসে।
ক্রিকেটের প্রতি ট্রেন্ডটা সবচেয়ে বেশি লাস্টিং করতেছে, এতো কিছুর পর ও বাংলাদেশ ক্রিকেট ভালো একজন ধারাভাষ্যকার পায়নি, বিসিবির উচিৎ বিইউপির আপুটার সাথে যোগাযোগ করা। তাহলে নাসিরের মতো ছেলেরা পাপনের মেয়ের প্রতি নজর দিবেনা। এক ফেডারেশনে দুই খেলা প্রেকটিস করার সুযোগ পাবে।
~ ১ওভারে ২২ রান দিয়ে ভারতের কাছে হারার পর পাবলিকের গালি সহ্য করতে না পেরে ডজন খানেক নৌকা ভাসানো হ্যাপির দরীয়ায় নিজের পাল তুলে দিয়েছিলো রুবেল। নাসির অভাগা জুটিদের সাহায্য করেছিলো, যেসব নিব্বা নিব্বিরা সহসা দেখা করতে পারতো না, যাদের স্বামী বিদেশে থাকে তারা যাতে দূরে থেকেই কাছে থাকার আনন্দে ভেসে যেতে পারে তার জন্য কিভাবে ফোন সে* করতে হয় সেটা শিখিয়েছিলো।
কিন্তু ওরা তো জানেনা-
২৯ মিনিট বাংলার পোলাগো মনে যেই জোয়ার বইয়ে দিয়েছে, সেই জোয়ারের ঢেউ কমানোর জন্য কিছু কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, যদিও তারা সফল হতে পারবেনা।
~মেডিকেলের পোলা মাইয়ার গ্রুপ স্টাডি দেখার পর, ক্লাস এইট এর নিব্বি জেএসসি পরীক্ষা দেওয়া থেকেও বেশি টেনশন করতেছে তার রিলেশন নিয়ে। সে তার মাস্টার্স পড়ুয়া নিব্বাকে বলতেছে সে এই রিলেশন আর রাখবেনা, কেন অন্যান্য নিব্বাদের মতো তার নিব্বা তার কাছে এখনো নূড চায়নি, এতেই তার যত অভিমান। এতো কিছুর পর ও কিছু মানুষ বলবে খালি তাহেরি ভালা না।
এতো কিছু ঘটে যাচ্ছে, দুইদিন পরপর এক একটা ট্রেন্ড আসছে। ট্রেন্ডে ভেসে কি লাভ! একদিন তো মরেই যাবো।
~তারপর ও মরার আগে মাহির মতো বলতে হবে, "খা*কির পোলা জোরে দে।" এইতো (জীবনের) সবার চাওয়া!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬