somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশটা তো আমার,দায়িত্বটা আমাকেই নিতে হবে !

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একে তো ব্যস্ত তার উপর জ্যামেযটে অবস্থা খুবই খারাপ। অই দিকে সন্ধ্যা হলে মাল ডেলীভারি দেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। শীতের কুয়াশার চাদর ভেদ করে সাগরের বুক থেকে ফিরে আসা রুপকথা বলতে হবে। কিচ্ছু করার নেই। জ্যামে আটকে আছি। ট্রাফিকপুলিশ ব্যতিব্যস্ত, রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে। মনে চায় উড়াল দিই। সরকারের উচিত যথাযত পদক্ষেপ নেওয়া। এভাবে কি দিন চলে, মাল ডেলীভারি না হয়ে অন্য ডেলীভারি হলে এতক্ষণে.....
"আমি যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হইতাম,ট্রাফিইক্যারে কানের নিচে দিতাম,ভাই দেখছেন কোনো খ্যায়াল আছে শালার" মিনিট্রাকের ড্রাইভারের কথায় ভাবনার স্থলে জল পড়ল। শুধু হুম বলে সায় দিলাম। সায় পেয়ে তার বলার মাত্রায় বেগ পেল।
দেশের কোন নেতা অইলেই অইছে রোড বন্ধ কইরা নাকি ওনাগো যাইতে অইবো, একবার এইরকম জ্যামে ফেলান যাইত, যোগাযোগমন্ত্রীরে পাইলে কইতাম কেমনে রোডঘাট চালাইতে অয়।
ভাইজান , হুম... শুধু চুপ করে শুনছিলাম এতক্ষণ।
ভাইজান মনে করেন আমি অইলে কি করতাম জানেন প্রথমে
এইযে রাস্তার দুইপাশে যে সব দোকানপাট আছে এগুলা তুইল্লা দিতাম, কতবড় রাস্তা, এই শালাগো লাইগা রাস্তা ছোড অইয়া গেছে। তারপরে মনে করেন এই যে যেইহানে সেইহানে গাড়ি পারকিং এইডা না কইরা নিদ্রিষ্ট একটা জায়গা ছাড়া গাড়ি থামান, যাত্রী উঠান,নামান করতে দেওন যাইবো না।মোটকথা রোড ক্লিয়ার রাখতে হইবো।
দ্বিতীয়ত, রাস্তারে চার লেন করতে হইবো।
আমি যোগ করলাম, রাস্তা তো চার লেন করছে।
ড্রাইভার: ভাইজান কি আওয়ামীলীগ করেন? বুঝলাম,আমার চটজলদি কথাটায় তার মনে অস্বস্থি আসছে।
না, কোন দল করি না। আমি বলে থামলাম।
না করলে ও কি, করলে ও কি। আমারে তো আর মাইরা ফেলাইবেন না। হা হা হা, স্বস্থির হাসি হাসল ড্রাইভার।
মনে করেন ভাইজান, চার লেন যদি করে সব রাস্তায় জ্যাম অনেকাংশ কইম্যা যাইবো। এক লেন দিয়া রিক্সা ভ্যান চলবো, অন্য লেন দিয়া বড় গাড়ি।মানুষজন ফুটপাত ছাড়া রাস্তায় নামতে পারবোনা।
রাস্তা পার হইতে ফুটওভার ব্রীজ দিয়া যাইব,নিচে নামলেই মাইর,জরিমানা।না হইলে বাংগালী সোজা হইব না। শুনছি দুবাইতে রোড পার হইতে সিগনাল লাগে, সিগনাল ছাড়া পার হইলে ২৫০ দেরহাম জরিমানা।
হুম, তা করা যেতে পারে,আমি বললাম।
ভাইজান,বলি কে করবো। আফসোস করছিল ড্রাইভার।
মনে করেন, এই....
আমি আমার মত করে ভাবছিলাম, আসলেই কিছু করা যেতে পারে
০১/ চারলেইন রাস্তা
০২/ ফুটওভার ব্যবহারের জন্য কঠোর আইন
০৩/ মিল/গার্মেন্টস/কারখানা মূল শহর থেকে দুরে অনেকটা ট্রেড জোন করে করা যেতে পারে, এতে করে বাড়তি মানুষের কারনে জ্যাম হবে না। শ্রমিকদের জন্য ফ্যাক্টরি সংলগ্ন আবাস্থল করা। তাদের উপযোগী স্বল্পমূল্যের মার্কেট করা। এতে করে শহর ব্যয়বহুলতার অভিশাপ/জ্যাম যটের/বাড়তি খরচের চাপ সব থেকে যেমন তারা মুক্ত থাকবে, আর শহর ও কিছুটা স্বস্থিতে থাকবে।
০৪/ জনগণের জন্য ফুটপাত নিশ্চিত করা।
০৫/ ফুটপাত থেকে অবেধ স্থাপনা/ দোকানপাট তুলে ফেলা।
০৬/ লাইসেন্সবিহীন যানবাহন / ভগ্ন যানবাহন সড়ক থেকে তুলে ফেলা।
০৭/ প্রত্যেক মার্কেট/ব্যাংক/ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে পার্কিং জোন বাধ্যতামূলক করা।
০৮/ শহরমূখীতা হ্রাসে কারখানা/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুষম বন্টন। ফলে শহরে জ্যাম যট কমে যাবে।
০৯/ কঠোর ট্রাফিক আইন করা...... এইসব ভাবছিলাম,
ভাইজান, কি বলেন এইডা করা উচিৎ, আমি কিছুই শুনিনি এতক্ষণে, তবু হা সুচক মাথা নাড়লাম।
জ্যামটা ছাড়ল, স্বস্থির নিশ্বাসটা নিয়ে গাড়ি এগিয়ে চলল।
ঠিক সাড়ে ৪টা বাজল যখন ১৫নং ঘাটে গাড়ি থামল। তড়িগড়ি করে বোটে মাল লোড দিতে বলতে বলতে ঘাটের দিকে এগিয়ে গেলাম।
শীতে হাত পা জমে আসছিল শেষ বিকেলের সূর্যটা যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ছিল। বদ্দা,অনে যাই বোডে বইয়েন,আমি পুলিশ সামলাই-আলি নূরের কথায় স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে সামনে পা বাড়ালাম। বাংলাদেশের পুলিশেরই কোন আইন নেই মনে হয়, সব কথায় ওরা আইন বানায়। ডেলীভারির জন্য, ও একটা কথা বলে নেওয়া ভাল, আমার ব্যবসাটা হল বিদেশী জাহাজে ওদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী মাল/মেরামত কাজ করা। তো আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,শিপিং বিল করাই ছিল। তবু অজানা কোন ডকুমেন্টস এর জন্য আমার মাল আটকে দিল পুলিশ। আজ নয়,প্রতিদিনকার ঘটনা এটি।
কি আর করা অগত্যা সেলামী দিয়ে বিদায় নিতে হয়।মনে মনে রাগ হয় কিন্তু কিছু করার নেই। এটাই আইন। পাছে কোন প্রব্লেম ক্রিয়েট করি এই ভয়ে আলী নূরকে দায়িত্বটা বুঝিয়ে দিয়ে নিশ্চিত থাক্তে চাই।
সবার জন্য আইনের আগে পুলিশের জন্য আইন নিশ্চিত করা দরকার। কোনটা তা আমার থেকে বিজ্ঞ জনরাই ভাল বলতে পারবে।

ঘাট থেকে যখন বোট ছাড়ল তখন ৫ টা প্রায়। কুয়াশা এখনি আমায় ঘিরে ফেলেছে। দূরের সব কিছু শুধু আবছা দেখা যায়। না জানি কোথায় গিয়ে এ যাত্রার দাড়ি টানতে হয়। হাত পা এক করে শীতের থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করে চলেছি।
অন্ধকারে
আবছা অন্ধকারে শেষ পর্যন্ত পোছলাম জাহাজের গায়ে।
Hello, Assalamialaikum chief
Walaiykum selam jehangir, please wait ,
হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে বুঝাল কেউ একজন আসছে আমাদের হেল্প করার জন্য। তুর্কিরা যথেষ্ট পজেটিভ আমার জন্য। ওদের সাথে কাজ করার অন্যরকম মজা।
বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। সবকিছুই দ্রুত হয়ে গেল। কোন চেকিং নেই, শুধু স্টোরে লোড করল। মুসলিমদের ওরা খুব বিশ্বাস করে as they are Muslim.
ক্যাপ্টেন সালাম দিয়ে আমাকে সংম্বর্ধনা জানাল।আমি খুব দ্রুত করলাম, কিনারে ফিরতে হবে কিনা।
Are you busy Jahangir, i think you can't go back today. Did you see outside?
বলেই ক্যাপ্টেন জানালার পর্দা সরিয়ে বাহিরটা দেখালো। আমি দেখলাম, কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তবু ভাবলাম,দেখি বোটম্যান কি বলে!!!
Ah yes! but let see captain the best possiblities,its quite impossible for me to stay onboard. অনেকটা কনফিউশন নিয়ে বললাম।
Don't worry jahangir, you can stay with me. If you want.
চীফ ইঞ্জিনিয়ার বলল।
its your kindness. Anyways let me check with my boat man...অনেকটা স্বস্থি ফিরে পেলাম। নিচে নেমে বোট ম্যানকে জিজ্ঞাসা করলাম, ফেরত যাওয়া যাবে কিনা।সে নিখুঁত ভাবে জানিয়ে দিল কোন ভাবেই সম্বব না।
ফিরে এলাম চিফ ইঞ্জিনিয়ার এর রুমে। শিপ এ ডিনার বেলা ৫ টায়। তার মানে আমার আজ আর ডিনার হচ্ছে না। শুকনো মুখে বসে থাকতে হবে।
Do you have dinner, Jahangir
No sir,exactly Our dinner at nearly 10.হাসিমুখে বললাম।
Oh I See,বলে ফ্রিজটা খুলে কয়েকটা আপেল আর সফট ড্রিংকস বের করল।
we just finished, take this. বলে হাত বাড়িয়ে দিলো।
আন্তরিকতার সহিত গ্রহণ করলাম।
How about you country,how about zia & Hasina?
আপেলে কামড় দিয়েই অবাক হলাম, সে কি করে....
How do you know? Everything is good enough now....
Good! Hmm. I have seen today on your daily newspaper. Its embracing situation i think. Peoples are safe here? How do you say? আমি বুঝলাম তার কথায় হতাশার ছাপ স্পষ্ট। দেশটা নিয়ে বড় কথা বলব তা আর হল কঈ।
What is your opinion about this? নিউজপেপারটা সামনে এগিয়ে দিলো,হেফাজতের ছবিটা দেখিয়ে। কিছুক্ষণ চুপ করে রইলাম।

প্রশ্নটা এড়িয়ে যাওয়া শোভন মনে হলো না, শুধু বললাম,
Exactly I don't know sir, Govt. Knows better than me. She is positive about our country.
বুঝলাম আমার উত্তর টা তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আর ও ভাল কোন উত্তর সেসে আশা করছিল। দেশ সম্পর্কে আর কোন প্রশ্নের সম্মুখীন না হতে পাল্টা প্রশ্ন জুড়ে দিলাম,
How about your country?I have seen headlines about political situation with brotherhood & opposition. Election is about to held...কথাটা শেষ করতে পারলাম না।
Situation is now under control. Erdogan has the enough reputation to win this election. চীফ ইঞ্জিনিয়ার থামল।
Whom do you support? আপেলে ছোট্ট একটা কামড় দিয়ে।
Definitely Erdogan...
প্রসংগটা এগিয়ে চলল। তার দেশের কথা শুনতে ভালই লাগছিলো। শুনে যা বুঝলাম তার সারমর্মটা এই রকম....তার ভাষায়
০১/ মনে কর চিকিৎসা ক্ষেত্রে, কারো চোখে প্রব্লেম, ডাক্তার দেখাল। যতটাকা খরচ লাগুক তার কাছে যা আছে তাই যথেষ্ট। অর্থাৎ ২৫০০০ টাকা খরচ হলে সে যা দিবে ডাক্তার তাই নেবে। বাকিটাকার জন্য সরকারের কাছে ইনভয়েস করবে। ডাক্তারের চিকিৎসা সন্তোষজজনক না হলে রোগী অন্য ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে পারবেন।
০২/ পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সময় বেধে দেওয়া হয়। কোন কর্মকর্তার অবেহেলায় জড়িত সকলে দন্ডিত হয়/কিংবা কোন অফিসিয়াল কাগজপত্রের জন্যও।
০৩/ ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য এপ্লাই করলেই চলবে। ব্যাংক কর্মকর্তারা এসে সহজ শর্তে লোন দিয়ে যায়। এক্ষেত্রে সম্পত্তি বন্ধকের কোন প্রশ্ন আসে না। প্রশ্ন করা হয় কতদিনে লোন শোধ করবে।
০৪/ চুরি বা অপরাধে কারও সরাসরি দন্ড না দিয়ে রাষ্ট্র পক্ষের উকিল তার পক্ষে লড়ে। তার অপরাধের কারন দর্শনোপূর্বক বিশেষ নজরদারিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
০৫/ সরকারের কাছে জনগণের সম্পত্তি /স্থাবর -অস্থাবর এর হিসাব আছে।কাজেই ব্যাংক লোন/কর নির্ধারণ খুব সহজেই সম্ভব।
Hello Chief...ক্যাপ্টেনের কল ওয়াকিটকি তে কানের কাছে বেজে উঠল। চীফ ইঞ্জিনিয়ার হাত বাড়িয়ে নিল।
ঘড়িতে রাত ৯টা। সবকিছু এখনই নির্জীব মনে হচ্ছে। নিয়মের কত ব্যত্যয়। আমাদের দেশটাকে যদি নিয়মের বেড়াজালে কঠোরভাবে আটকে রাখা যায় তবে দেশটা কত সুন্দরভাবেই না চলতো। শুনেছি লিবিয়ার গাদ্দাফি ও নাকি দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিল যদিও স্বৈরাচারী সরকার হিসেবে পতন হয়েছে।বুঝিনা কোনটা সঠিক। নারী কেলেংকারী তার পতনের মূলমন্ত্র। মনে মনে হাসছিলাম। দেশের প্রতিটা সেক্টর দূর্নীতিমুক্ত করতে হবে। দূর্নীতিই আমাদের ধ্বংসের মূলমন্ত্র।চালে আর ডালে মিশে গেছে। ঢেলে সাজাতে পারলে হত। প্রধানমন্ত্রী যদি আমার কাছে....
Jahangir, wait here.captain calling me..ওয়াকিটকি টা রেখে চীফ দরজার দিকে এগিয়ে গেল।
Okay sir, বলে উঠে দাঁড়ালাম অনেকটা বিনয় ভংগিতে। যার যার প্রাপ্য সম্মান তাকে দেওয়া উচিত। অনেকটা Give respect, take respect.

শরীরটা ঝিমিয়ে আসছিল। একটু বিছানায় গা হেলাতে পারলে ভাল হত। হাত পা টান টান করে মিনিট পাঁচেক শোয়া যায়। সোফার এক কোনায় হেলান দিয়ে পা টা সোজা করে দিলাম।
চীফ ইঞ্জিনিয়ারের রুমের দেয়ালজুড়ে মনোরম কিছু পেইন্টিং।রুচিবোধ আছে বলতে হবে।
এই রকম আরো। আমি তার কথাগুলোকে নোট করছিলাম। আর মনে মনে আফসোস করছিলাম আমাদের দেশটা যদি.....
ছোট বেলায় খুব ছবি আকার প্রতি ঝোক ছিল।কিন্তু তা শিল্পীর মর্যাদা পাওয়ার মত ছিল না। দু চারটা নারীর অবয়ব/কিছু গ্রাম্য পটভূমি এই যা। তবে ভাল লাগত এক মনে ছবি আঁকতে।খুব শখ করে রং তুলি কিনেছি কতবার তার ইয়ত্তা নেই।
বাবা মা ও কখনো এটা মেনে নিত না। পড়া নষ্ট,কাগজ নষ্ট।খুব বকা খেতে হত।
এখনকার বাবা-মা' রা এসবের জন্য বকে না।

খট করে দরজা খুলে চীফ ইঞ্জিনিয়ার রুমে ঢুকল।অনেকটা ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠে দাঁড়ালাম।
কোন কথা বলল না,একমনে কিছু একটা খুজছিল।
কোন অন্যায় করলাম না তো!সোফায় পা তুলে শোয়াটা সমীচীন নয়।তাও আবার অন্য কার সোফায়। ব্যাপারটা তার চোখ এড়াতে পারেনি বোধহয়। খুব অপরাধ বোধ কাজ করছিল।
ভাবছি সরি বলব...
Jahangir, do u like drinks? I don't but sometimes. চীফ এর কথায় প্রাণ ফিরে পেলাম।
বুঝলাম এলকোহলের কথা বলছে। সামান্য এলকো, মন্দ হয় না।
occasionally..আমি স্বস্থির নিশ্বাস ছেড়ে প্রতিত্তুর করলাম।
ফ্রিজ থেকে স্কচের একটা হুইস্কি সামনে দিল,সাথে সোডাওয়াটার।
Take yourself, I have some urgent job in engine room. you may sleep On that bed. হাত উঁচিয়ে বিছানাটা দেখিয়ে দিল।আমি যথাসুলভ দাড়িয়ে তাকে বিদায় জানলাম।

একা একা ড্রিঙ্কস করতে ইচ্ছা হয় না। আমি আসক্ত নঈ, সিগারেট ওও টেনে দেখি নি।
বাবার কর্মসূত্রে মংলায় থাকাকালীন বন্ধুদের দেখতাম মদে কতটা অব্যস্ত।শুধু মদ না,অন্যান্য নেশার সাথেও তারা পরিচিত। এদের গার্ডিয়ানরা একটু সচেতন হলেই পারে। সন্তান রা কোথায় যায়,কি করে এই দিকটা তাদের মোটেও জানা নেই। প্রতিদিন না হোক সপ্তাহে একটিবার হলেও বন্ধু/শিক্ষক সবার সাথে সাক্ষাৎ করে জেনে নেওয়া যেতে পারে তার গতিবিধি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাইরে আড্ডা দেওয়ার প্রবনতা বাড়ে। বাবা মাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন চাহিদার ভিত্তিতে সে বাইরে সময় কাটায়।
মোটকথা, ওনাদের অসচেতনতাই এ জন্য দায়ী। গত বছর নেশাগ্রস্ত বন্ধুর জানাযায় সামিল হতে হয়েছিল। বাবা-মা'র কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে আসছিল।তারা যদি একটু কেয়ার করতো!
এখনকার কথা তো আর ও ভয়ংকর। হেরোইন,পেথেডিন,আফিম,ফেনসিডিল,গাজার সাথে আরেক নেশা ইয়াবা। পার্বত্য এলাকা/নদী পথে/সড়কপথে এর বড় বড় চালান আসছে দেশে। নেশার সহজলভ্যতাই নেশায় আসক্ত করে তোলে।সরকার তো কম নীতিমালা করলো না, আসলে আইন করার থেকে কার্যকরী করাটাই প্রধান। যে দেশের পুলিশের/আইন শংখলা বাহিনীর প্রতি ভরসা করা যায় না, যেখানে প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতি সেখানে....কল্পনাও করা যায় না যে দেশ নেশামুক্ত হবে।
আগে রাঘব বোয়াল ধরতে হবে, চুনোপুঁটি এমনিই মরে যাবে। < চলবে>
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×