কাউকে সুখে থাকতে দেখলে ভালোই লাগে।দীর্ঘশ্বাস আর অনিশ্চয়তার দানা মন থেকে দূর হয়।আমি আমার অবস্থান থেকে তোর জন্য কিছুই করিনি তার মানে কি এই নয় যে আমি কিছুই ভাবিনি।
সবার প্রতি যখন আমার বিন্দু বিন্দু অবহেলা, তোর জন্য তখন রাশি রাশি স্নেহ, ভালোবাসা। নিজের খামখেয়ালিপনা যখন চরমে যেত তোর চোখে তাকিয়ে আবার চুপ হয়ে যেতাম।সবাই বুঝত আমার কি দরকার। একটু স্নেহ আর ভালবাসা ভরা চোখের শাসন।
এক প্লেট ডাসা ভাত, গরুর মাংস,আমার প্রিয় শাক/মাছ নিয়ে যখন সামনে দাড়াতি তখন প্রিথিবীর সব ভালবাসা, আদর হার মানত।যখন ধমকের সুরে বলতি "এগুলো সব খেতে হবে" তখন মনে হত আমার জন্য তোর মত একটা... দরকার।
আরে অই দিনতো ও বলছিল, কি পিঠা খাবা বল?
আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল বলতে সরিষা বাটা আর চিতই পিঠা।মনে আছে তুই বলতি,আপনার জন্য পিঠা বানাচ্ছি তাড়াতাড়ি আসেন,গরম গরম খাবেন।একটু ও দেরী যেন না হয়,হুম!!
তুই কি জানিস আমি তোর কাছ থেকে এমন আহ্লাদী কথা শুনতে প্রায়ই দেরী করে যেতাম।
আর কথার শেষে তোর "হুম" বলে থেমে যাওয়াটা আমার কাছে সব চেয়ে মধুর মনে হত।
আমি তো পুরোটাই বেপরোয়া ছিলাম। তুই থাকাতে সেখানে দাড়ি, কমা পড়েছে।
মাথার চুল অনেকটা পেকেছে,ইচ্ছে হলেও এমন কাউকে দেখিনা যে এমন যতন করে প্রতি পিছ দশ টাকার বিনিময়ে তুলে দিবে আর কাজ শেষে বাকীর খাতায় তুলে রাখবে পুরো হিসাব।
তোর হিসাবের হালখাতা খোলার আগেই তুই আমার অবস্থানটাটা বুঝলি না। নিরবে খাতা বন্ধ করে দিলি।
তোর জন্য আমি সব জমিয়ে রেখেছি.....ভাল থাকিস।।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



