ইলিশ নিয়ে এতদিন শুধু বিনোদন দেখেছি আফসোস লীগের। তাদের কথা এখনতো ইলিশ রপ্তানি হয় না, শেখ হাসিনাও নাই। তাহলে কেন দাম বাড়ছে?
পুজোয় ইলিশ পাবে না এটা কোন কথা! ভারতে সাথে হুদাই বাড়াবাড়ি করতেছে!
এখন ইলিশ পাঠানোর খবর দেখে, এদের খোমা মনে করি আর হাসি।
যাইহোক, ইলিশ পাঠানো আপাত দৃষ্টিতে ভাল সিদ্ধান্ত। পরিমাণ নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থেকে যায়। দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার চিন্তায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সব ধরণের পজেটিভ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তবে ইলিশ দিয়েও যদি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত না হয়, সীমান্তে বাংলাদেশী হত্য বন্ধ না হয় তাহলে কোন লাভ নেই। ব্যাপারটা এই না যে এক ইলিশ দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার কথা বলছি।
ডিপ্লোমেটিক ভাষা, শব্দপ্রয়োগ জানা এবং সেটার চর্চা করতে হবে। সাধারণ জনগণের মুখে যা ইচ্ছে বলা যায় কিন্তু যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দ্বায়িত্বে এবং পদে আছেন সেখানে যথেষ্ট ডিপ্লোমেটিক উচিৎ। মনে অনেক রাগ ক্ষোভ থাকতেই পারে সেটা টেকনিকালি বলতে হবে।
স্যাভেজ হওয়া ফেসবুকে মানায়। বাস্তবে না, ডিপ্লোমেটিক ইস্যুতে না।
সর্বোপরি বাজার ব্যবস্থার সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ করে ইলিশ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা জারি রাখা উচিৎ।
গণঅভ্যুত্থান এর সুফল শুধু আলোচনার টেবিলে থাকলেই চলবে না, খাবারের টেবিলে কিংবা চাটাইয়ে থাকতে হবে। বিশেষ করে চাটাইয়ে খাওয়া যে মানুষগুলোর কাছে মাছ মাংস বিলাসিতা হয়ে যাচ্ছে দিনদিন।
মৌলিক চাহিদা হবে অপ্রতুল, চাইলেই সুলভে পাওয়ায় যাবে। মৌলিক চাহিদা যখন বিলাসিতা হবে তখন মানবিক জীবন ঠেকে যায় দেয়ালে।