বন্ধু পত্মী বললেন, আমার স্বামী সততা এবং সাধুতার কারণে অফিসে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং অল্পকালের মধ্যেই অফিসের এক বড় সাহেবের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে। তার কাছে যাওয়া আসা মেলামেশা অস্বাভাবিক রকম বৃদ্ধি পায়। তার সংস্পর্শেই স্বামীর চারিত্রিক অধঃপতন শুরু হয়।
ক্রমে তিনি স্ত্রী, সন্তানের প্রতি অমনোযোগী হয়ে উঠেন। অনেক রাতে বাড়ী ফিরতে শুরু করেন। প্রথম দিকে ভেবেছিলাম এত বড় লোকের সঙ্গে পরিচয় এবং বন্ধুত্বের ফলে নিশ্চয় স্বামী নানা রকম কাজে জড়িয়ে যান এ কারণে তার ফিরতে দেরি হয়। অনেক আশা করেছিলাম, স্বামীর জীবনে প্রাচুর্য সুখ-শান্তি আরও অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু একদিন গভীর রাতে বাড়ী ফেরার পর তাকে অস্বাভাবিক কথাবার্তা বলতে দেখে আমার অন্তরাত্মা শুকিয়ে গেল- বুক কেঁপে উঠল। কাছে এগিয়ে গিয়ে চমকে উঠলাম একি তার মুখে আস্ত মদের গন্ধ।
বুঝতে পারলাম অফিসের বড় সাহেবের সংস্পর্শই স্বামীকে চরম অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্বামীকে সৎ পথে ফিরিয়ে আনার জন্যে অনেক চেষ্টা করলাম, অশ্র“তে বুক ভাসালাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না।
অবাক হলাম না, কারণ আমি ভালো করেই জানতাম অন্যায়ের, পাপের পথে একবার চলতে শুরু করলে তার পরিণাম বড় ভয়াবহ হয়ে থাকে।
কেবল ভাবতাম এই আমার যুবক স্বামী, যিনি এই সেদিনও এলকোহল মেশানো ওষুধ খেতে রাজী হননি। আর আজ মদ্যপায়ীদের আসরে বসে মজলিসকে হরদম সরগরম ও নরক গুলজার করেন। সহৃদয় পিতা, প্রেমিক স্বামী অল্পদিনের মধ্যে পাষাণপ্রাণ পিতা এবং অত্যাচারী স্বামীতে পরিণত হলেন। কাছে গেলে সন্তানদের আদর করার বদলে প্রহার করতেন। স্ত্রীকে কাছে পেলে গালাগালি করতেন।
নিজের মর্যাদা ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে যে স্বামী সদা সর্তক ছিলেন, তিনি এমন হয়ে গেলেন যে কখনও কখনও মদ্যপায়ী বন্ধুদের নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসতেন এবং ঘরে তাদেরকে নিয়ে মদের আসর জমাতেন। রাত বেড়ে গেলে তাদের গান বাজনা, নাচ, পাগলামি সীমা ছাড়িয়ে যেত।
এক সময় স্বামীর বন্ধুরা আমার শোবার ঘরে প্রবেশ করে আমাকেও উত্যক্ত করতে লাগল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



