সম্প্রতি ভারতে মধ্য প্রদেশের মাদরাসা গুলোতে যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য হিন্দুদের নাপাক গ্রন্থ গীতা বাধ্যতামুলক ভাবে পড়ানোর কুফরী আদেশ জারী করেছে সেই প্রদেশের সরকার। অথচ ভারতের দেওবন্দীরা এর কোনো প্রতিবাদ তো করেনি বরং অনেক আগে থেকেই তারা হিন্দুতোষণে বেশ পটু হয়ে উঠেছে। তাদের সেই সব হিন্দু তোষণের নমুনা নিচে তুলা ধরা হলোঃ
১. ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার ১৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৩০তম মাহফিলের হিন্দু কংগ্রেসের দালাল ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ’-এর মালানাদের আমন্ত্রণে হিন্দুদের প্রধান প-িত ইয়োগা গুরু সোওয়ামী রামদেব উপস্থিত হয়ে উক্ত মাহফিলে গীতা পাঠ করে শোনায়। আর রামদেবের সাথে সাথে দেওবন্দী মালানারা ও ছাত্ররা গীতা পাঠ করে এবং যোগ ব্যায়াম করে। এমনকি উক্ত যবন রামদেব বলেছে, It was high time people realized that Allah and Ishwar were two names of one and the only God. নাঊযুবিল্লাহ! (সুত্রঃ http://goo.gl/2E2IZl )
২. এই দেওবন্দীরাই ২০১১ সালে ফতোয়া দিয়েছিল যে, দেওবন্দী ও হিন্দুরা ভাই ভাই। (নাউযুবিল্লাহ) (সুত্রঃ http://goo.gl/AQlRga)
৩. দেওবন্দীরা আরো ফতওয়া দিয়েছিল যে, “হিন্দুদের কাফির বলা যাবে না।” (নাউযুবিল্লাহ) (সুত্রঃ http://goo.gl/0WE5rO)
৪. গত ২০১১ সালে তারা ফতওয়া দিয়েছে, “মুসলমানদের গরু কুরবানী দেয়া উচিত নয়; কারণ গরু হিন্দুদের দেবতা।” (সুত্রঃ http://goo.gl/fH0YCm)
৩০তম মাহফিলে তারা নিজেদের নব্য হিন্দু হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটালেও কংগ্রেসের সাথে সখ্যতা, গরু কুরবানী নিষিদ্ধ ফতওয়া দেয়া এবং ঈমান-আক্বীদার ত্রুটির কারণে এরা আসলে পুরনো জাত হিন্দু। তাদের মালানাদের আক্বীদা ও ফতওয়াগুলোই তার প্রমাণ:
(১) মহান আল্লাহ পাক তিনি মিথ্যা বলতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া ১ম খ-: পৃষ্ঠা-১৯, রশিদ আহমদ গাংগুহী, তালিফাত রশিদিয়া, কিতাবুল আক্বাঈদ অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৯৮, খলীল আহমদ আম্বেঢী, তাজকিরাতুল খলীল, পৃষ্ঠা ১৩৫, মেহমুদ হাসান, আল-জিহাদুল মুগিল, পৃষ্ঠা ৪১)
(২) মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা ভবিষ্যতে কি করবে তা আগে থেকে বলতে পারেন না। বান্দা কর্মসম্পাদনের পর তিনি তা জানতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (হুসাইন আলী, তাফসীরে বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮)
(৩) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জ্ঞানের চেয়ে শয়তান ও হযরত আযরাঈল আলাইহিস্ সালাম উনার জ্ঞান বেশি। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা-৫১)
(৪) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের ভাগ্য সম্পর্কে জানতেন না। এমনকি দেয়ালের ওপাশ সম্পর্কেও না। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা-৫১)
(৫) নবীর (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার) যদি কিছু ইলমে গায়েব থেকেও থাকে তাহলে এতে তাঁর বিশেষত্ব কী? এমন ইলমে গায়েব তো সকল চতুষ্পদ জন্তু, পাগল ও শিশুরও আছে। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (আশরাফ আলী থানবী, হিফজুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৭)
(৬) 'রহমতুল্লিল আলামীন' হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোন বিশেষ লক্বব নয়। উনার উম্মতও 'রহমতুল্লিল আলামীন' হতে পারে। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া ২য় খ-: পৃষ্ঠা-১২)
(৭) সাধারণ মানুষের কাছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাতামুন নাবিয়্যীন হলেও বুযূর্গ ব্যক্তির কাছে নয়। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা-৩)
(৮) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আগে বা সর্বশেষে আসার মধ্যে কোন ফযীলত নেই। ফযীলত হলো মূল নবী হওয়ার মধ্যে। উনার পরে যদি এক হাজার নবীরও আগমন মেনে নেয়া হয় তাতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খতমে নবুয়তের কোন রূপ বেশ-কম হবে না। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা-২৫)
(৯) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেওবন্দের উলামাদের কাছ থেকে ঊর্দু ভাষা শিখেছেন। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ২৬)
(১০) একজন নবীর জন্য সকল মিথ্যা থেকে মুক্ত ও নিষ্পাপ হওয়ার প্রয়োজন নেই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, শফীয়াতুল আক্বাইদ, পৃষ্ঠা ২৫)
(১১) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তাগুদ (শয়তান) বলা যায়। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (হুসাইন আলী, তাফসীর বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ৪৩)
(১২) আমলের মাধ্যমে নবী-রসূলের চেয়ে নবী-রসূলগণের উম্মত মর্যাদাবান হয়। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন নাছ, পৃষ্ঠা ৫)
(১৩) আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পুলসিরাত হতে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছি। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (হুসাইন আলী, তাফসীর বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ৮)
(১৪) কালিমা শরীফ-এ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ”-এর পরিবর্তে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আশরাফ আলী রসূলুল্লাহ” এবং দরূদ শরীফ-এর “আল্লাহম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়ানা মুহম্মদ”-এর পরিবর্তে “আল্লাহম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়ানা আশরাফ আলী” পড়লে কোন ক্ষতি হবে না।” নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (আশরাফ আলী থানভী, রিসালা আল ইমদা, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫)
(১৫) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ (জন্মদিন) উপলক্ষে ঈদে মিলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা আর হিন্দুদের দেবতা কৃষ্ণের জন্মদিন পালন করা একই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ১৪৮)
(১৬) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষত্ব দাজ্জালের মত। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, আবে হায়াত, পৃষ্ঠা ১৬৯)
(১৭) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের বড় ভাই এবং আমরা উনার ছোট ভাই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৩)
(১৮) দুরূদে তাজ মূল্যহীন এবং এটি পাঠ করা নিষিদ্ধ। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (রশিদ আহমদ গাং গুহী, তাজকীরাতুর রশীদ, ২য় খ-, পৃষ্ঠা-১১৭, জাকারিয়া কান্দালভী দেওবন্দী, ফাজায়েলে আমল, পৃষ্ঠা ৫২-৫৩)
(১৯) মীলাদ শরীফ, মি’রাজ শরীফ, ফাতিহা খাওয়ানী, চেহলাম, সোয়েম এবং ঈছালে সওয়াব- এ সমস্ত আমল শরীয়তবিরোধী, বিদয়াত এবং কাফির-হিন্দুদের রেওয়াজ। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (রশিদ আহমদ গাংগুহীর ফতওয়ায়ে রশিদিয়া, ২য় খ-, পৃষ্ঠা ১৪৪ এবং ১৫০; ৩য় খ-, পৃষ্ঠা ৯৩-৯৪)
(২০) স্থানীয় কাক খাওয়া সওয়াবের কাজ। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (ফতওয়ায়ে রশিদিয়া, ২য় খ-, পৃষ্ঠা ১৩০)
(২১) হোলি ও দিওয়ালীর ভোগ খাওয়া এবং উপহার গ্রহণ করা ছওয়াবের কাজ। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (ফতওয়ায়ে রশিদিয়া, ২য় খ-, পৃষ্ঠা ১২৩)
(২২) হিন্দুদের সুদের টাকা দ্বারা নির্মিত পানির চৌবাচ্চা (সাবীল) থেকে পানি পান করা জায়িয ও অধিক ছওয়াবের কাজ। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (ফতওয়ায়ে রশিদিয়া, ৩য় খ-, পৃষ্ঠা ১১৩-১১৪)
(২৩) রসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (ফতওয়ায়ে রশিদিয়া)
(২৪) কোন কিছু ঘটানোর জন্য হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইচ্ছা পোষণ করার গুরুত্ব নেই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী প্রণীত আবে হায়াত, পৃষ্ঠা ১৬১)
(২৫) নবী-রসূলদের মোজেজার চেয়ে যাদুকরদের যাদু সর্বোকৃষ্ট হতে পারে। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (ফতওয়ায়ে রশিদিয়া, ২য় খ-, পৃষ্ঠা ৩৫)
(২৬) যে বলবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাজির-নাযির সে কাফির। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (গোলামুল্লাহ খান প্রণীত যাওয়াহিরুল কোরান)
(২৭) ‘ইয়া রসূলুল্লাহ’ বাক্যটি কুফরী কালিমা। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (ফতওয়ায়ে রশিদিয়া)