স্যোশাল মিডিয়ার সম্পর্কগুলো টিনএজের অপরিণত নড়বড়ে প্রেমের মতো। সুসময়ে গালে গাল অথবা হাতে লাভ টেডি নিয়ে সেলফি। ঘনঘন মিসিং ইউ স্ট্যাটাস। আর ৬৯ দিন পরেই ব্রেকাপের খিস্তি খেউর। অপরিণত নড়বড়ে প্রেমের মতোই ভার্চুয়াল রিলেশনও জাস্ট ইনফাচুয়েশন। আজ যারা গদগদ বন্ধুত্বে মাখা সন্দেশ মতের অমিল হলেই তির্যক স্ট্যাটাসের চিরতার পানি।
ভার্চুয়াল জগতে যাদের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাত হয়নি সেই বন্ধুর মতো পাবলিকের সঙ্গে মতের অমিল হলে ফেসবুকে ট্যাগিয়ে ট্রল করা বা খিস্তি দেওয়ার তবুও কিছু কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু যার সঙ্গে সম্পর্ক ভার্চুয়ালের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক আগেই রিয়েল হয়ে গেছে। যার সঙ্গে নিয়মিত ফোনেও যোগাযোগ হয়। সেই বন্ধুর সঙ্গে মতের অমিল হলে ফোনে না খিস্তিয়ে স্ট্যাটাস মারাবো কেন? ইগো? এতই ইগো যখন বন্ধুত্বের নাটক করা কেন?
যতই শোঅফ করা হোক না কেন, কিছু ভার্চুয়াল রিলেশন কখনোই রিয়েল হতে পারে না। বিপরীত মতের প্রতি এক বুক ঘৃণা নিয়ে বসে থাকলে আর যাই হোক বন্ধুত্ব হয় না।
ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব মানেই তাঁবেদারি?
ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব মানেই পিঠ চুলকানো অথবা মোসাহেবি?
ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব মানেই সিন্ডিকেটবাজী?
আমার মোটামাথায় এইসব কিছুতেই ঢোকে না। প্রাণখুলে ট্রল আর বেহিসেবী খিস্তি না করতে পারলে আর কোন বালের বন্ধুত্ব। আমি সত্যিই কিস্যু বুঝি না!
পরিশেষে একটা কথাই বলবো- এই ভার্চুয়াল আর রিয়েলে ফারাক করতে না পারা পাবলিকের আসলে রিয়েল বলে কোনও লাইফই অবশিষ্ট নেই। আমার মনে হয় ওরা ভার্চুয়াল জগতেই খায় ঘুমোয় হাগে মোতে ম্যায় অর্গাজম সুখও খুঁজে নেয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




