প্রসঙ্গঃ ভাইরাল পোস্ট এবং কপি পেস্ট....
গড্ডলিকায় গা ভাসানো অভ্যাস আমার কখনোই ছিলো না। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখির ব্যাপারেও এই নীতি মেনে চলতে অভ্যস্ত।
লক্ষ্য করেছি, যখন যা ‘hot topic’ তা নিয়ে কেউ একটা পোস্ট দিলেই সেই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজ নিজ টাইম লাইনে কপি করে চটজলদি লাইক শেয়ার কমেন্ট পাওয়া বিরাট সংখ্যক মানুষের নেশা। খারাপ ভালর তর্কে বিতর্কে না গিয়ে বলতে পারি, এতে তাৎক্ষনিক ফুটেজ পাওয়া ছাড়া লাভ কিছু হয়না। আর ক্ষতির মধ্যে হয় সময় অপচয়। কাউকে মেনশন না করেই বলি, এতে না ব্যাক্তি, না বদলায় সমাজ, না হয় বিনোদন কিম্বা জ্ঞানচর্চা।
সবাই লিখতে পারবে, ব্যাপারটা সেরকম না। এইটা দীর্ঘ চর্চার ব্যাপার। আপনি যেইভাবে লিখতে পারেন আরেকজন তা পারবে না। তবে আমরা একটু চেষ্টা করলেই ভাইরাল হওয়া পোস্টের সূত্র ধরে নিজের মতো করেই কিছু লিখতে পারি। কিন্তু আমরা এতোটাই ব্যস্ত কিম্বা faster যে সত্যমিথ্যা যাচাই না করে কে কার আগে নিজের টাইম লাইনে সেটে দেওয়ার প্রতিযোগিতায় ঝাপিয়ে পড়ি!
মন্তব্যের ক্ষেত্রেও 'অনুসরণ' প্রিয়তা এবং কপি পেস্ট। লেখা পড়ে নিজের চিন্তা ভাবনা বিবেকের প্রতিফলন নাই, অন্যরা ভালো কিম্বা খারাপ বলেছে- আমাকেও তাই করতে হবে, তা আমার মতের সাথে মিলুক বা না মিলুক।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি কখনোই ভাইরাল পোস্ট কপি করে কখনোই শেয়ার করিনা এবং যেকোনো লেখায় কারোর প্রভাবে প্রভাবিত না হয়ে নিজের মতো মন্তব্য করি এবং আমি মন্তব্য করার আগে অন্যদের মন্তব্য পড়িনা, যাতে কারোর মন্তব্যে প্রভাবিত হই।
এই ক্ষেত্রে ফেসবুকের কথাই ধরা যাক- ফেসবুকে কারোর কোনো পোস্টে কেউ যদি প্রথমেই হাসির ইমোজি দেয় তাহলে সেই পোস্টে হাসির ইমোজিতে ছয়লাব হয়ে যায়, হোক সেটা দুঃখ কষ্টের পোস্ট। একইভাবে অন্যসব ইমোজির প্রয়োগও হয় একই সূত্র মেনে, তা পোস্টের বিষয়বস্তু যা-ই হোক!
আপনার আইডিতে আপনি কি লিখবেন- সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার। তবুও বলছি- আপনি যেসব সংবাদের লিংক কপি করে নিজের টাইম লাইনে ছেপে দিচ্ছেন- সেই লিংক অন লাইনের কমবেশি সবাই দেখে/পড়ে। কপি পেস্ট করতে করতে নিজের মেধাকে ধামাচাপা দিয়েন না, অন্যকে অনুসরণ করে নিজের ব্যাক্তিত্ব বিসর্জন দিবেন না। সব ক্ষেত্রেই আপনি আপনার স্বকীয়তা প্রমাণ করুন।