অদ্ভুতত্ব.....
আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক চললে বা অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে সমাজের অধিকাংশ মানুষ অসন্তুষ্ট হয়। অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে স্বার্থান্বেষী মহলের লাগে, স্বার্থান্বেষী মহল এতোটাই প্রভাবশালী হয় যে, অধিকাংশ মানুষই তাদেরকে সমীহ করে চলে। ফলে অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষটি সমীহ করে চলা মানুষের কাছেও অপ্রিয় হয়ে পড়ে। প্রভাবশালীদের প্রতি তোষণনীতি সমাজে গভীরভাবে চলমান। তাই নিয়মের কথা বললেই বা অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেই তার অবস্থা বেগতিক করে দেয়। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, নিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও বিপদ।
★ আজকাল মানসিক বিকারগস্ত কুৎসিত, বদ চরিত্রের লোকগুলো অল্পদিনেই বিখ্যাত হয়ে যায়, তবে নামগুলো ভয়ে বলতে পারছি না।
★ এই পোড়া চোখে ঘুম নেই। তারপরও যেটুকু ঘুম হয় তার সবটুকুই বিভৎস দুঃস্বপ্ন! ভাগ্যিস, স্বপ্ন দেখতে টিকেট কাটা লাগেনা!! টিকেট কেটে স্বপ্ন দেখতে হলে ঠ্যালার ফকির হয়ে যাওয়া লাগতো!
★ যে মেয়েটা সবচেয়ে দ্রুত ও নিঁখুত ইন্টিগ্রেশন করতো, আজ যে শুধুই গৃহবধূ। ক্যালকুলাস আর তাঁর জীবনে নেই, সে এখন ঘোর সংসারী।
★ যে ছেলেটা অরগ্যানিক কেমিস্ট্রি সবচেয়ে ভালো বুঝতো, ফুল মার্কস পেত, আজ সে সেলসে ম্যানের চাকরি করে। বেঞ্জিন তাঁর জীবনে আর নেই। সকাল থেকে রাত অব্দি তাঁর টার্গেট শুধু ক্লায়েন্ট।
★ ক্লাসের যে মেয়েটা সবচেয়ে সো-কলড খারাপ ছিল, এখন সে প্যারিস থেকে স্টেটাস দেয়, স্বামী বড় কোন একটা কোম্পানিতে চাকরি করে।
★ আর যে ছেলেটা ক্লাসে পড়া পারতো না, পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়তো, কোনোরকমে পাশ করতো, আজ সে মস্ত বড় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক দলের বড়ো নেতা, দিন শেষে লাখ লাখ টাকা ইনকাম!
হ্যাঁ, এগুলো একটাও বানানো গল্প নয়, একেবারে চোখে দেখা সত্যি। আসলে বহুক্ষেত্রেই পড়াশোনার সাথে কর্মজীবনের সম্পর্ক মারাত্মক রকম ব্যস্তানুপাতিক। অবশ্যই পড়াশোনা জীবনে প্রয়োজন, খুব প্রয়োজন। কিন্তু ওটাই সব নয়। সময় বহুকিছু ওলটপালট করে দেয়- জীবন বড়ো অদ্ভুত!