বিচিত্র জীবনের বৈচিত্র্যময় বাস্তবতা.....
হলিউডের অলটাইম সুপারস্টার মেরিলিন মনরো একবার বলেছিলেন- হলিউড হচ্ছে এমন জায়গা যেখানে একজন ফিমেল আর্টিস্টকে চুমু খাওয়ার জন্য হাজার ডলার খরচ করা হয়, কিন্তু একজন মেল আর্টিস্টের জীবন বাঁচাতেও এক পয়সাও খরচ করতে চায় না!
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ভ্যান গগ একবার একজনের প্রেমে পড়েছিলেন। প্রেমের প্রস্তাবের জবাবে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলেছিলেন কষ্ট পেয়ে, টাকার অভাবে কান কেটে পাওনা মেটাতে গিয়েছিলেন র্যাচেল নামের এক পতিতার।
অথচ বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে দামী মাস্টারপিসগুলো তাঁর আঁকা। কিন্তু কেউ তাঁর কষ্ট দেখতে যায়নি, মরার পর কেবল দেখেছে দামী দামী সুন্দর সুন্দর পেইন্টিং!
বিটোভেন নামের প্রায় বধির এক ভদ্রলোক যে সুর করেছেন, তা নিজেই শুনতে পাননি। অথচ তাঁর ফিফথ সিম্ফনির সুরে সুরে ভেসে গিয়েছি আমরা!
পৃথিবীর অলটাইম বেস্টসেলার লেখক লিও তলস্তয় মানুষের আনন্দ আর দুঃখের বর্ণনা লিখে নিজেই হয়ে গিয়েছেন উপন্যাসের চরিত্র। নিউমোনিয়াতে কাশতে কাশতে মারা গিয়েছেন রাশিয়ার এক প্রত্যন্ত রেলস্টেশনে!
মাইকেল মধুসূদন দত্ত টাকার অভাবে রুটি কিনতে না পেরে কী গভীর একাকীত্বে প্যারিসের সীন নদীর পাড়ে বসে লিখেছেন বাংলা ভাষার প্রথম সনেট- সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে...জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!
পৃথিবী আমাদের দুঃখ চায়, গানে কবিতায়, সুরে, ছবিতে। ছবি বিখ্যাত হয়, সুর প্রশংসা কুড়ায়, বই বেস্টসেলার হয় অথচ শিল্পী মরে যায় কষ্টে। কেউ জানতে চায়না কী গভীর একাকীত্বে নোবেলজয়ী লেখক হেমিংওয়ে সুইসাইড করলেন, জীবনানন্দ ট্রামের নিচে পড়লেন, কি ভীষণ যন্ত্রণায় এডগার এলান পো লিখেছেন- My heart to joy at the same tone, And all I loved, I loved alone!
একাকীত্বের সেই যন্ত্রণার কথা কোথাও লেখা হয়না! লেখা হয়না- মানুষের ভিড়ে যে একা, জীবনের সাথে তার হয়নাকো দেখা! পৃথিবী একাকীত্বের সৌন্দর্য চায়, একাকী মানুষটিকে চায়না।
কেবল খুব মেঘ করে এলে সেই একাকী মানুষেরা আকাশের দিকে তাকিয়ে গভীর নিঃশ্বাস নেয়, কারণ সে ততক্ষণে জেনে গেছে- পৃথিবী মায়ার খেলা, মায়াবানের মেলা নয়!
(সবগুলো ঘটনাই কোথাও শোনা, কোথাও পড়ে জানা....)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



