মাথা ঠান্ডা করুন, ভাবুন, যুক্তি দিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করুন।
নিজের মতকে যে একমাত্র সত্য, সঠিক ভাবে সে নিঃসন্দেহে ফ্যাসিস্ট। সাইকোপ্যাথ সে যে উন্মাদের মতো খিস্তি খেউর করে, নিজের ভয়াবহ পিশাচ আইডিয়া বাস্তবায়ন করায় অন্যদের ব্যবহার করে।
চারদিকে নৈরাজ্য, ধ্বংস উস্কে দেয়ার মধ্যদিয়ে সাইকোপ্যাথ চরম বিকৃত আনন্দ উপভোগ করে।
অন্যরা বুঝতেও পারে না তারা কোন সর্বনাশের পথে চলেছে, কার খায়েশ রক্ষার জন্য হুজুগে মেতেছে।
সাইকোপ্যাথ তার কথা না শুনলে সব ধ্বংস হয়ে যাক এমন পথেই ভক্তদের নিয়ে যায়। নিরাপদ দূরত্বে বসে সে কলকাঠি নাড়বে, আর বিপদে পড়বে তার আবেগাক্রান্ত ভক্তকূল।
সাইকোপ্যাথ ভোগে নার্সিসাস সিনড্রমে। নিজে নিজের কর্মে, কথায় চমৎকৃত হয়। নিজের প্রেমে নিজেই মশগুল থাকে। ঈশ্বরের কাছাকাছি চলে গেছে বলে বিশ্বাস জন্মে তার মধ্যে। কোন যুক্তি, তথ্য তার কাছে বিষ। খিস্তি খেউর করা সাইকোপ্যাথ থেকে সাবধান! আপনার সর্বনাশ আপনি আপনার অজান্তেই ডেকে আনছেন। মাথা ঠান্ডা করুন, ভাবুন, যুক্তি দিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করুন।
আমাদের যখন গত ১৬ বছর গুম,খুন করা হয়েছে;মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয়েছে; দেশছাড়া করা হয়েছে; ভোট দেয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে; তখন কিন্তু আমরা সৌদি আরবকে বলিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কারন, আমরা বাংলাদেশি। ধর্মীয় পরিচয় পরে। এমনকি যখন বিশ্বজিৎ নামের একজন হিন্দুকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে ফ্যাসিস্ট বাহিনী তখনো কোন দেশের কাছে নালিশ দেয়া হয়নি। কোন দেশও হিন্দু রক্ষায় বিবৃতি দেয়নি!
এখন কেন কতিপয় ভারতের সাহায্য চাচ্ছেন? এদেশে যদি আপনার প্রতি অন্যায় হয় আপনিই সংগ্রাম করে, প্রতিবাদ করে লড়বেন। আমরা আপনার ন্যায্য সংগ্রামের সাথে থাকবো।
ধর্ম বিবেচনায় অন্য দেশের ইস্যু নয়। সৌদি বা আফগান্ডুস্তানের দিকে তাকানো যেমন পরিত্যাজ্য, ভারতের দিকে কথায় কথায় তাকানোও তেমনি বন্ধ করতে হবে। এতে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সকল হিন্দুকে, হিন্দু ধর্মকে আক্রমণ করা বন্ধের আহ্বান যেমন জানাই তেমনি সাম্প্রদায়িক হিংস্রতায় সরকারি আইনজীবী হত্যার নিন্দাও দেখতে চাই। উগ্র গোষ্ঠী দুই দেশেকই আছে। কিন্তু এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
লিখেছেনঃ সাবেক সেনা কর্মকর্তা বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু রুশদ, বাংলাদেশে ডিফেন্স জার্নালিজম পত্রিকা 'ডিফেন্স জার্নাল' এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



