'উপদেষ্টা' নিয়োগ দেওয়ার রীতি যেভাবে চালু হয়……
রাজা তার লটবহর নিয়ে শিকারে যাবেন....
শিকার যাত্রার আগে রাজা তার আবহাওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ভূপেণ বাবুকে ডেকে জিজ্ঞাস করলেন- 'ভূপেণ, আমি শিকারে যেতে চাই, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে?'
আবহাওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান ভূপেণবাবুঃ- "আজকে অতীব সুন্দর, রৌদ্রোজ্জ্বল এবং চমৎকার আবহাওয়া থাকবে জাহাপনা! আপনি নিঃশংক চিত্তে শিকারে যেতে পারেন।"
রাজা তার লটবহর নিয়ে শিকারে বের হলেন। রাজা যখন বনের কাছে গেলেন, তখন বনের ধারে এক রাখাল ছাগল চড়াচ্ছিলো, সে রাজাকে বললো- “মহারাজ, আজকে কেন আপনি শিকারে আসছেন, একটু পরেই ঝড় বৃষ্টি হবে”!
রাজা রেগে বল্লেন- 'বেটা রাখাল! তুই কি জানিস আবহাওয়ার খবর? আর আমাকে কি মূর্খ পেয়েছিস! আমি সব খবর জেনে তবেই এসেছি।'
রাজা শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর শুরু হলো ঝড়বৃষ্টি...
রাজা প্রাসাদে ফিরে এসে আবহাওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ভূপেন বাবুকে বরখাস্ত করলেন। তারপর ঐ রাখালকে ধরে এনে আবহাওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা 'উপদেষ্টা' বানিয়ে দিলেন! রাখাল তো পড়লো মহা বিপদে! সে আবহাওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কিছুই জানে না!
রাজ দরবারে গিয়ে রাখাল কেঁদে বল্লো- "মহারাজ আমাকে যেতে দিন! আমি আসলে আবহাওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কিছুই জানি না।"
রাজা বল্লো- 'তাহলে ঐ দিন আমার আবহাওয়া বিভাগের প্রধান ভূপেণ বাবুর চেয়েও সঠিক খবর তুই কি করে দিলি!'
রাখাল উত্তর দেয়ঃ “মহারাজ সেখানে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না! সব কৃতিত্ব আমার ছাগলের! বৃষ্টি আসার আধাঘন্টা আগে থেকে ছাগল ঘনঘন মুতে! এর থেকে আমি বুঝতে পারি একটু পর ঝড়-বৃষ্টি হবে!”
তারপর রাজা রাখালকে ছেড়ে দিয়ে তার ছাগলটাকে ধরে এনে আবহাওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা 'উপদেষ্টা' বানিয়ে দিলেন! সেই থেকে শুধু উপদেষ্টাই নয় রাষ্ট্রের বড় বড় পদগুলাতেও দ্বিপদী ছাগল টাইপের লোক নিয়োগ দেওয়ার রীতি চালু হয়।
(ইহা নিছকই একটা গপ্পো, কারোর সাথে মিলে গেলে কিম্বা না মিললে কতৃপক্ষ দায়ী)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:১১