somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

"বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি".....

৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
"বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি".....


বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হতে হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। হতে হবে সকল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের এই দর্শনের নিহিত রয়েছে আত্মসামাজিক, আর্থসামাজিক রাজনৈতিক কর্মসূচি, যা দেশের ঐক্যবদ্ধ জনগণকে সমকালীন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সময় উপযোগী শান্তিপূর্ণ নিরব উন্নয়নের বিপ্লবের কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংবদ্ধ করবে। জাতিকে পৌঁছে দিবে সুনিশ্চিতভাবে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দ্বারপ্রান্তে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদা ও গুরুত্বের আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।

আমাদের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মূলে রয়েছে শোষণ এবং শোষক মুক্ত সমাজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন। তাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে পরিকল্পিত পদ্ধতিতে, জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। শোষণমুক্ত সমাজ বলতে মূলত বোঝায় বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য খাদ্য বস্ত্র ও পরিবার পরিকল্পনার চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা। মূলত এ বিষয়টির সাথে জড়িয়ে আছে আনুষাঙ্গিক অনেক বিষয়। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হচ্ছে শোষণমুক্ত সমাজ তা অত্যন্ত বাস্তব প্রগতিশীল একটি সমাজব্যবস্থা যাতে থাকবে সমতা অপেক্ষতা ন্যায় বিচার।
সাতটি মৌলিক বিবেচ্য বিষয়ঃ
(১) বাংলাদেশ ভূমি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যবর্তী আমাদের ভৌগলিক রাজনৈতিক এলাকা।

(২) ধর্ম গোত্র নির্বিশেষে দেশের জনগণ।

(৩) আমাদের মাতৃভাষা।

(৪) আমাদের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা উদ্দীপনা ও আন্তর্জাতিকতার কারক ও বাহক নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি।

(৫) ২০০ বছর উপনিবেশ থাকার প্রেক্ষাপটে বিশেষ অর্থনৈতিক বিবেচনায় বৈপ্লবিক দিক।

(৬) আমাদের ধর্ম প্রতিটি নারী ও পুরুষের অবাধে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন ও রীতিনীতি পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা।

(৭) ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ যার মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন বাস্তব ও চূড়ান্ত রুপ লাভ করেছে।

বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করা যায়। উত্তরে হিমালয় দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে সংকীর্ণ পরিসরে এই দেশের পূর্বে- এশিয়া, পশ্চিমে দক্ষিণ এশিয়া। বাংলাদেশ এ দুটি অঞ্চল বা দুটি উপমহাদেশের সেতুবন্ধন সরুপ। এ কারণে আঞ্চলিকভাবে এবং সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিশেষ কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। এ কারণেই সুদূর অতীত থেক এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধনের দখল কর্তৃত্ব লাভের জন্য পূর্ব ও পশ্চিম থেকে এদেশ বারবার আক্রান্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এদেশের জমির উর্বরাশক্তি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য শতবর্ষ ধরে বারবার আক্রমণকারীদের এদেশ আক্রমণে করতে প্রলুব্ধ করেছে। এ কারণে শতাব্দীর পর শতাব্দী শতাব্দী ধরে উপনিবেশিক শাসন ও পরিপূর্ণ শিকার হয়েছি এই মহান এর জনগণ দুর্বল হয়ে থাকলে ভবিষ্যতেও দুর্বল হয়ে থাকা থাকলে ভবিষ্যতেও সাম্রাজ্যবাদ সম্প্রসারণবাদী নাব্য উপনিবেশবাদ সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের শিকার হয়ে পড়তে পারে। সেজন্য এদেশের জনগণকে নিজেদের সত্তা রক্ষা এবং দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমি রক্ষার ব্যবস্থা শিখতে হবে।

(বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হিজবুল বাহার জাহাজে দেওয়া বক্তব্য থেকে...)

আজ তাঁর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আমরা কেবল একজন শহীদকে স্মরণ করছি না; আমরা স্মরণ করছি একটা আদর্শকে, একটা নির্ভীকতা-গাঁথাকে, একটা প্রশ্নহীন কর্তব্যবোধকে।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×