জয় পরাজয় এর গল্প....
সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা এই গল্পটি পড়েছিলাম স্কুল জীবনেঃ-
খর্বকায় লোকটির স্ত্রী ছিলেন আয়তনে স্বামীর চারগুণ বড়ো! স্বামী প্রবর নিজের শারীরিক খর্বাকৃতির জন্য সবসময় ইনফিউরিটি কম্পলেক্সে ভুগত। তাই নিজের শারীরিক খর্বাকৃতির কষ্ট ভুলতে সবসময় স্ত্রীর উপর অকারণে ক্ষমতা জাহির করতো। প্রায় প্রকাশ্যেই টুলের উপর দাঁড়িয়ে লম্বা স্ত্রীর মুখে চড়থাপ্পড় মেরে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করতো।
বিশালদেহী স্ত্রীর ধৈর্য্য এবং সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে একদিন স্বামীকেই এক পশলা মেরে ঝাপটে ধরে স্বামীর উপর চেপে বসেন....রোগাপটকা খর্বকায় স্বামী নিজেকে বাঁচাতে গোংগাতে গোংগাতে "বাঁচাও বাঁচাও" চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মুমূর্ষু স্বামীকে উদ্ধার করে....
বেচারা স্বামী কোনো রকম ছাড়া পেয়েই নিজের শরিরের ধূলো ময়লা ঝাড়তে ঝাড়তে বলে, "আইজ দিছি- আচ্ছা মতো মাইর দিছি, আমার সাথে ফাইজলামি...."!
প্রতিবেশী দর্শকেরা যা বোঝার তা বুঝে নিয়েছে....
কিন্তু খর্বাকায় স্বামীর বাগড়ম্বরতা থামছেই না দেখে একজন বলে বসেন -'মিয়া তুমি মারলা ক্যামনে, আমরা এসেইতো তোমাকে তোমার বউয়ের তলা থেকে তুলে বাঁচালাম....!'
মুমূর্ষু স্বামী হারার পাত্র নয়। "আমি তলে শুইয়াই আচ্ছামত ধোলাই দিছি"!
জেতার গল্প সকলেই বলে
হারার গল্প বলে না,
ভোরের গল্প সকলেই বলে
রাতের গল্প বলে না।
সবাই সফল
সকলে বিজেতা
বিজেতা বিজয়ের কথা বলে না!
জেতার গল্প সকলেই বলে।
হারগুলো ভোলে না!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ রাত ১০:৩৪