জুলাই সনদঃ রাজনৈতিক নাট......
জুলাই সনদ নিয়ে যত হইচই, যত বাগাড়ম্বর- সব মিলিয়ে পুরো ঘটনাটা একটা সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই নয়। এনসিপি-র ভূমিকাই তার সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ। “বলা হয়নি, জানানো হয়নি, আলোচনা হয়নি”- এই অভিযোগগুলো হতাশার শোনালেও বাস্তবে সবই সাজানো স্ক্রিপ্ট। যারা আজ নীতিকথা বলছেন, তারা সনদের লাইন-বাই-লাইন মুখস্থ জানেন; কেউ কেউ হয়তো গতরাতেই মাস্টারমাইন্ডের পায়ের কাছে বসে তা মুখে মুখে আওড়ে এসেছে।
অদ্ভুতভাবে, সবচেয়ে সততার পরিচয় দিয়েছে তথাকথিত বাওয়ামী ঘরানাই! কারণ তাদের বিশ্বাস আপা ফিরবেন, তাই তারা নিজেদের হাত ময়লা করতে রাজি হয়নি। কিন্তু বাকি যারা নাটকটা সাজাল, তারা জানে- “এসবে স্বাক্ষর করলেই কী, না করলেই বা কী?- এসবের ফুটা পয়সাও দাম নাই”- এটাই আসল সত্য।
বাস্তবতা হলো, জনগণের কাছে এসব সনদ বা সংবিধান সংশোধনের কোনো মূল্য নেই। মানুষ ভোট চায়, ন্যায়বিচার চায়, কাজ চায়- সনদ নয়। এই কাগজপত্রের দাম এখন কেজিদরেই মাপা যায়। দেশে এত আইন, সংবিধান, সংস্কার আর সংসদীয় বিবরণী আছে যে, সব একত্র করলে কাগজ দিয়েই সংসদ ভবনের মতো আরেকটা কপি ভবন বানানো সম্ভব।
কিন্তু পরিবর্তন?
শূন্য।
এই দেশে সমস্যা সনদে নয়, সমস্যা চরিত্রে। আমলাতন্ত্র এবং রাজনীতিবিদদের চরিত্র না বদলালে আগামী পঞ্চাশ বছরেও কিছু বদলাবে না। নৈতিকতা, দায়বোধ আর জবাবদিহিতাহীন রাজনীতি যতদিন থাকবে, ততদিন “পরিবর্তন” শব্দটা কেবল বক্তৃতার অলংকার হিসেবেই থাকবে।
তাই এসব BAL-ABAL এর সনদে স্বাক্ষর না করে যদি কেউ মদনমোহন তর্কালঙ্কারের কবিতায় স্বাক্ষর করত-
“সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন দেশের টুপকি না মারি”-
তাহলেই দেশটার হাজারগুণ ভালো হতো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


