মানব জাতি ভীত! মুখে যে যাই বলুক, অন্তরে সবারই ভীতি কাজ করছে। আগে যে ডাক্তারদের হাতের উপরে এতো মৃত্যু হতো, তখন তারা তাকে স্বাভাবিক হিসেবে নিত। কিন্তু আজ তারাই ভীত। করোনা তাদেরকে ছাড়ছে না। এই ভীতি দূর করার জন্য দেশে বিদেশে তারা নাচ গান করছে। “আইলারে নয়া দামান আসমানের তারা”র মত গানে নাচছে। কিন্তু তারাই আজ আসমানের তারা হয়ে যাচ্ছে।
করোনার টিকা হচ্ছে সান্তনা। যা কিছুটা হলেও মনোবল বৃদ্ধি করে। যেমন আমরা এস্ট্রাজেনিকার দুই ডোজ ভ্যাক্সিন যখন নিয়েছি, তখন জেনেছিলাম তা কয়েকটি ভ্যারিয়েন্টের উপর ৮৬% কাজ করে। আজ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সহ এত্তো এত্তো ভ্যারিয়েন্ট বের হয়েছে যে এখন নাকি ঐ ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ৫০% এর নীচে নেমে গেছে!
নতুন আতঙ্কিত খবর কি জানেন! বরিশাইল্যা, নোয়াখাইল্লা, কুমিল্লাইয়া ইত্যাদি ভ্যারিয়েন্ট। বরিশাইল্যা, কুমিল্লাইয়া ইত্যাদি ভ্যারিয়েন্টের না হয় ভ্যাক্সিন পাবেন। কিন্তু নোয়াখাইল্লা ভ্যারিয়েন্টের ভ্যাক্সিন কোথায় পাবেন? এটা তো আইসোলেটেড। পৃথিবীর কোন বিজ্ঞানী এই ভ্যারিয়েন্টের কার্যকরী ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। তাই সিলেটিদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে আসমানের তারা হওয়া ছাড়া মানব জাতির কোন পথ খোলা আছে বলে মনে হয় না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



