অনেকে বিভিন্ন অজুহাত বা যুক্তি দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মত অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকেন।লেখক "আবুল হাসেম মোল্লা" এমন ২৮ টি যুক্তির জবাব দিয়েছেন,তার লিখিত বই "ইসলামী আন্দোলন না করা কতিপয় যুক্তি বনাম তার জবাব :" শীর্ষক বইতে।নিম্নে তার বই থেকে আজ একটি যুক্তির জবাব পেশ করা হলো।পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও পেশ করা হবে ইনশাআল্লাহ !
অত কষ্ট করতে মন চায় না।
"আসলে সবার নিকটই কষ্ট বা সাধনা করতে কষ্ট মনে হয়।কিন্তু আমরা যারা মুসলিম আমরা জান্নাতের প্রত্যাশা করি।কোন রকম কষ্ট ত্যাগ স্বীকার ব্যতীত চিরসুখের জান্নাতে যাোয়া কি সম্ভব ?আমার আপনার কষ্ট করতে যদি ভালো না লাগে তাহলে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ {স;}কি দ্বীনের জন্য কষ্ট স্বীকার করেননি ?তায়েফের ময়দানে তার শরীর থেকে রক্ত নির্গত হয়নি ?শিয়াবে আবু তালেবে দীর্ঘ তিন বছর রাসূল {স;} সহ সাহাবায়ে কেরামগণকে {রা;}কে কি গৃহবন্দী করে রাখা হয়নি ?হযরত বেলাল {রা:}েক কি উত্তপ্ত বালির উপর শুইয়ে রেখে পাথর চাপা দেয়া হয়নি ?তাঁরা কি তাদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে এক চুল পরিমাণো নড়েছেন ?তাদের কাছেো তা অবর্ণনীয় নির্যাতন মনে হয়েছে,কিন্তু তারা তা হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন।মনকে আশ্বস্ত করেছেন।কারণ আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমানদার হয়ে তারা এর থেকে সরে পড়ার ণ্যুনতম চিন্তাো করেন নি।
কোরআনের বাণী:
"তার চাইতে বড় গোমরাহ আর কে হতে পারে,যে আল্লাহ প্রদত্ত হেদায়েত ব্যতীত নিজের মন মত চলে ?{কাসাস:৫০}
তাদের জন্য সান্তনা ছিল রাসূল {স:} এর বাণী:
"দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগার স্বরূপ,আর তা কাফেরদের জন্য জান্নাত স্বরূপ।
রাসূল {স:} এর বাণী:
"তোমাদের মধ্যে কেহ মহাসমুদ্রে একটি আঙ্গুলি ফেলে দেখুক,তার আঙ্গুলের অগ্রভাগ কতটুকু পানি নিয়ে ফিরছে ? তা দুনিয়া আর বাকি সবটুকু আখেরাত।"{মুসিলম)
সুতরাং ঈমানদার ব্যক্তি ইসলামী আন্দোলনের দুর্গম পথে চলার কারণে তার উপর যত বিপদ-আপদ,জেল জুলুম, নির্যাতন,মামলা রিমান্ড যাই আসুক না কেন,তাই হাসিমুখে বরণ করে নেয়।কারণ সে অনেক মজবুতভাবে বিশ্বাস করে তার উপর যে নির্যাতন কষ্ট হচ্ছে তা এক ফেঁাটা পরিমাণ পানি ছাড়া আর কিছুই নয়।আর মৃতু্র পরেই সে ভোগ করবে মহাসমুদ্র সমান বিশাল জান্নাত।যা চিরকালে শেষ হবে না।সুবহানাল্লাহ !
পক্ষান্তরে সে যদি অতটুকু কষ্ট স্বীকার করতে প্রস্তুত না হয়,শুধুমাত্র আরাম আয়েশেই দিন কাটাতে ব্যস্ত থাকে তাহলে তাকে মহাসমুদ্র সমান কষ্ট ভোগ করতে হবে।
রাসূল {স:} এর বাণী:
"যে ব্যক্তি দুনিয়াকে মহব্বত করে সে তার আখেরাতকে ক্ষতিগ্রস্হ করে।আর যে ব্যক্তি আখেরাতকে মহব্বত করে সে তার দুনিয়াকে ক্ষতিগ্রস্হ করে।তাই ক্ষনস্হায়ীর পরিবর্তে চিরস্হায়ীকে গ্রহণ কর।"(আহমদ,বায়হাকী)
সুতরাং মন চায় না শুধুমাত্র এতটুকু দুর্বল যুক্তির কারণে ইসলামী আন্দোলনে অগ্রসর না হোয়ার কোন সুযোগ নেই।বরং নবী রাসূল ো সাহাবায়ে কেরামগেণর (রা
কারণ আপিন অনুসন্ধান করলে অনুধাবন করতে পারবেন,আজকে যারা ইসলামী আন্দোলন করে তারা ো যখন ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না,তখন তাদের নিকট ো কষ্টই লাগত।
অথচ আজ তারা দৃঢ়তার সাথে উচ্চারণ করে ,
"জীবনের সব স্বপ্নকে কিনেছে োরা কুবই অল্প দামে,
হাসিমুখে দিয়েছে প্রাণ বিলিয়ে মহান প্রভুর নামে।"
মেন হয় যেন কোরআনের সে আয়াতেরই অভিব্যক্তি,
"জান্নাতের এই সে ঘর আমি তাদের জন্য বানিয়েছি,যারা দুনিয়ার জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব ো বিশৃংখলা চায় না।"(ক্বাসাস:৮৩)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



