অনেকে বিভিন্ন অজুহাত বা যুক্তি দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মত অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকেন।লেখক "আবুল হাসেম মোল্লা" এমন ২৮ টি যুক্তির জবাব দিয়েছেন,তার লিখিত বই "ইসলামী আন্দোলন না করার কতিপয় যুক্তি বনাম তার জবাব :" শীর্ষক বইতে।নিম্নে তার বই থেকে আজ আরো একটি যুক্তির জবাব পেশ করা হলো।পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও পেশ করা হবে ইনশাআল্লাহ !
নিজের মনে চায়,কিন্তু পারিবারিক বাধা:
আলহামদুিলল্লাহ। এটা খুবই সুভ লক্ষণ ইসলামী আেন্দালেনর এই কন্টকাকীর্ণ পথ অিতক্রম করেত আপনার হৃদয় উন্মুক্ত ।িকন্তু আপনার পািরবািরক বাধাই এপেেথ অন্তরায় । তবে আপনি খুব ভাল করে মনে রাখবেন , আপনার যে পথে বাধা দেয়া হচ্ছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম নয়। বরং যুগে যুগে যারাই এ পথে অগ্রসর হয়েছেন তাদের অনেককেইবাধার সম্মুখীন হয়েছে।
১। হযরত ইবরাহিম (আঃ)এর বিরুদ্ধে ত্তার পিতা ।
২। ইসলাম গ্রহনের আগে ওমর (রাঃ) তার বোনকে কঠিন প্রহার করেছে ।
৩। হযরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের (রাঃ) এর বিরোদ্ধে তাঁর মাতা ।
আপনার পনিবারের পক্ষ থেকে আপনার জন্য দুই ধরণের বাধা হতে পারে -
১।ইসলামী আন্ধোলন না বুঝার কারণে ।
২। বঝে শুনে বাধা দেয়া ।
১। ইসলামী আন্দোলনের ব্যাপারে সমাজের এক শ্রেণীর লোক মারাত্মক অপপ্রচারে লিপ্ত । মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনকে নাজেহাল করার জন্য আদা জল খেয়ে লেগেছে। আপনি
ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামী আন্দোলনের অনেক দায়িত্বশীল ভাইদেরকে খুব কাছে থেকে দেখেছেন। আপনি তাদের ব্যাপারে খারাপের যেই সব চিন্তা ও করতে পারেন না এইসব মিডিয়াগুলো তই নাটকের মত সাজিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত । আপনার পিতা, মাতা,বা বড় ভাই সেই ধরণের মিথ্যা প্রচারনার শিকার তাই আপনি ধৈর্য সহকারে আপনার চারিত্রিক মাধুর্য দিয়ে,আচার ব্যবহারের মাধ্যমে ,ভালো পড়ালেখার মাধ্যমে তাদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করূন। রাতের অন্ধকারে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহ তায়ালার দরবারে তাদের জন্য দোয়া করুন,যাতে করে তাদের ভুল ধারনার অপনোদন হয়।অবশ্যই একদিন তারা ভুল বুঝতে পেরে আপনাকে কাজে বাধা দানের জন্য অনুতপ্ত হবে ।ইনশাআল্লাহ !
কোরআনের বাণী :
"আর তাদের সাথে উত্তম পন্হায় তর্ক কর,তাহলে যার সাথে তোমার শত্রুতা আছে এই তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হবে।"(হা মীম সাজদাহ :৩৪)
২।বুঝে শুনে বাধা দেয়া :
যদি তারা ইসলামী আন্দোলনের মর্ম উপলব্ধি করার পরো শুধুমাত্র আন্দোলনের ক্ষতি করার স্বার্থে আপনাকে বাধা দেয়,তাহলে সে আনুগত্য করার প্রয়োজন নেই।কারণ পৃথিবীর সবকিছুর চাইতে আল্লাহ ো তার রাসূলের ভালোবাসাই পাবে অগ্রাধিকার।
কোরআনের বাণী :
"বল তোমাদের পিতা,তোমাদের সন্তান,তোমাদের ভাই,তোমাদের স্ত্রী,তোমাদের গোত্র,তোমাদের সে সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ,আর সে ব্যবসা যার মন্দা হোয়ার আশংকা তোমরা করছ এবং সে বাসস্হান যা তোমরা পছন্দ করছ,যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ তার রাসূল ো তার পথে জিহাদ করার চেয়ে,তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তার নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত। আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।"(তাোবা :২৪)
হাদীসের বাণী :
"তোপমাদের কেহ ততক্ষণ ঈমানদার হতে পারবে না,যতক্ষণ না আমি তোমাদের পিতা,সন্তান ো পৃথিবীর সকল মানুষের চাইতে বেশী ভালোবাসার পাত্র না হই।"(বুখারী)
হাদীসের বাণী :
"যে ব্যক্তি কাউকে ভালোবাসল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য,ঘৃণা করল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য,দান করল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য,দান থেকে বিরত থাকল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, সেই পূর্ণ ঈমানদার।"(বুখারী)
পরিবার পরিজনের বাধার মুখে ভেং্গ পড়া যাবে না।হযরত োমর (রা
হযরত সাদ বিন আবি োয়াক্কাস (রা
বগভীর রেোয়ায়েতে আছে,হযরত সাদের মা একদিন একরাত মতান্তরে তিনদিন তিনরাত শপথ অনুযায়ী অনশন ধঘর্মঘট অব্যাহত রাখলে হযরত সাদ উপস্হিত হলেন।মাতৃভক্তি পূর্ববৎ ছিল:কিন্তু আল্লাহর ফরমানের মোকাবেলায় তা ছিল তুচ্ছ।
হাদীসের বাণী :
"স্রষ্টার অবাধ্য হয়ে কোন সৃষ্টির আনুগত্য করা যাবে না।"
তাই মা কে তিনি সম্বোধন করে বললেন,আম্মাজান যদি আপনার দেহে ১০০ টি জীবন থাকত,এবং এক একটি করে বের হতে থাকত,তা দেখেো আমি আমার আল্লাহর পথ ত্যাগ করতাম না।এখন আপনি ইচ্ছে করলে পানাহার করূন অথবা মৃত্যুবরণ করূন। এ কথায় নিরাশ হয়ে তার মাতা অনশন ভংগ করল।
এক্ষেত্রে আবার অনেকে কোরআনের আয়াত উপস্হাপন করে বলেন,
"আর পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার কর "।(বনী ইসরাঈল :২২)
কিন্তু আয়াত কীভাবে শুরূ করা হয়েছে তা বেমালুম ভুলে যায়।আয়াতের শুরুতে বলা হয়েছে,
"আর তোমার রব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন একমাত্র তোমার রবেরই ইবাদাত করতে হবে।"তাই আল্লাহর ইবাদাতে বাধ স্ৃষ্টি করে পিতামাতাকে প্রাধান্য দেয়ার অধিকার নেই,যদি নিজেকে মুসলিম দাবী করা হয়।তবে পিতামাতার কোরআন সুন্নাহ স্বীকৃত কোন অধিকার যাতে লংঘিত না হয় ,অবশ্যই সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।যদি পিতামাতা অমুসলিমো হোক না কেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



