জামায়াতের কেউ কেউ মন্তব্য করেন, অ০য়ামীলিগের শত্রৃতা হলো জামায়াতের সাথে।এ করাণে আবার অনেকে আ০য়ামীলীগকে ইসলামের শত্রু বলে আখ্যায়িত করেন।এটা নিতান্তই ভুল এবং অযেীক্তিক মন্তব্য।জামায়াতের বিরোধিতা করলেই কেউ ইসলাম বিরোধী হয়ে যাবে,কথাটি সঠিক নয়।বরং কেউ যদি ইসলামী দৃষ্টিভঙগি তথা কোরআন ০ হাদীসের মূল চিন্তাধারার বিপরীত অন্য চিন্তা লালন করে, তাহলে অবশ্যই সে হবে ইসলাম বিরোধী ০ ইসলামের দুশমন।চাই সে আ০য়ামীলীগ ,বিএনপি বা জামায়াতই হোক না কেন ?কেউ জামায়াতের বিরোধীতা করলে,তার জন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে জবাব দিতে হবে এমনটি বলার ধৃষ্টতা কেউ দেখাতে পারেন না । তবে ইসলামের বিরোধীতাকারী তিনি যেই হোন না কেন,যতবড় ক্ষমতার অধিকারীই হোন না কেন,অবশ্যই কিয়ামতের দিন তাকে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
এখন আমরা দেখব,
আ০য়ামীলীগের শত্রৃতা জামায়াতের সাথে নাকি ইসলামের সাথে ?
সন্দেহাতীত ভাবে এ কথা প্রমাণিত,মূলত আ০য়ামীলীগ জামায়াতের শত্রু নয় বরং ইসলামের শত্রু।
দেখুন বাস্তব অবস্হা :
আ০য়ামীলিগ যদি জামায়াতের শত্রু হয়,তাহলে জামায়াতের রাজনীতি বন্ধ করলেই তো চলে কিন্তু তা না করে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের কথা বলে কেন ?
বোরকার বিরুদ্ধে পরিপত্র জারি করা হয় কেন ?বোরকা তো জামায়াতের বিধান না,এটা ইসলামের ফরজ বিধান।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বন্ধের কথা বলেছেন।,মাদ্রাসায় তো শুধু জামাতিরা পড়ে না,বরং ইসলামী অনূভূতির লোকেরাই মাদ্রাসায় পড়ে।
ডেপুটি স্পীকার বলেছেন,কৎসিত চেহারার মহিলারা অসুন্দর চেহারা ঢাকার জন্য বোরকা পরে।এটা কি জামায়াত বিরোধীতা নাকি ইসলাম বিরোধীতা ?
বুখারী শরীফের মত প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্হকে তথাকথিত জিহাদী বই বলে অপপ্রচার চালানো।
আমাদের পাশের সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ মিছিল করেছ,
জামাত শিবির জবাই কর ;
কোরআন হাদীস বস্তায় ভর ।
জামায়াত শিবিরের সাথে মতপার্থক্য থাকতে পারে,তাদেরকে জবাই করার ব্যাপারটিো কেউ স্বাভাবিক মনে করতে পারে।তা আপত্তির বিষয় নয়,কিন্তু "কোরআন হাদীস বস্তায় ভর ।"এ কথা কি কোন ইসলামপন্হী মানুষ কল্পনা ০করতে পারে ?
সুতরাং আ০য়ামীলীগ জামায়াতের শত্রু নয় বরং ইসলামের শত্রু।
নাস্তিক বা বামপন্হীরা যদি ইসলামের বিরোধীতা করে,তা হয়ত মেনে নেয়া যেত পারে।কিন্তু যারা নিজেদের একমাত্র নবীর খাঁটি উম্মত বলে দাবী করে,আর এ ধরনের ইষলাম বিরোধী কার্য়কলাপ করে ,তা বাস্তবিকই বেদনাদায়ক।
উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়,কোন চোর যদি চুরি করার পর স্বাভাবিকভাবে বলে বেড়ায়,"আমি চুরি করেছি।"তাতে তার প্রতি করো রাগ আসে না,কারণ সবাই বলে সে নির্লজ্জ।কিন্তু যে চুরি করার পরো স্বীকার করতে চায় না,তাকে বলা হয়,"চোরের মার বড় গলা।"
বামপন্হীরা নিজেদেরকে ইসলাম বিরোধী বলে স্বীকার করে,কিন্তু এত কিছুর পরো আ০য়ামীলীগ নিজেকে নবীর খাঁটি উম্মত মনে করে। আশ্চর্য !!!!!!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



