অনেকে বিভিন্ন অজুহাত বা যুক্তি দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মত অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকেন।লেখক "আবুল হাসেম মোল্লা" এমন ২৮ টি যুক্তির জবাব দিয়েছেন,তার লিখিত বই "ইসলামী আন্দোলন না করার কতিপয় যুক্তি বনাম তার জবাব :" শীর্ষক বইতে।নিম্নে তার বই থেকে আজ আরো একটি যুক্তির জবাব পেশ করা হলো।পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও পেশ করা হবে ইনশাআল্লাহ !
মন আছে কিন্তু সামাজিক সমস্যা :
পারিবারিক বাধার মত এটা০ এক ধরনের সমস্যা। তবে এই সমস্যা ০ পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন নয়। যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স
কোরআনের বানী:
"আমার বান্দাহদের জন্য আফসোস,এমন কোন রাসূল আসেন নি যে তার সাথে তারা ঠাট্রা বিদ্রুপ না করছে।'(ইয়াসীন :৩০)
আবু জেহেল ০ ঠিক একই কথা বলেছে হযরত মুহাম্মদ (স
"হে মুহাম্মদ !আমরা তো তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করি না,বরং তুমি যে বিষয় নিয়ে প্রেরিত হয়েছ,তাকেই আমরা মিথ্যা বলি।"
খেয়াল করুন :
আপনি যে সমাজে ইসলামী আন্দোলন শুরু করেছেন,ইতোপূর্বে আপনি এই সমাজেই ছিলেন।হযতবা আপনি এখনকার চাইতে আরো অনেক অন্যায় কাজে তথন জড়িত ছিলেন।তখন আপনার বিরূদ্ধে আসে নি কেন ?আপনার এত দোষ অন্বেষণ করা হয়নি কেন ?কারণ একটিই তখন আপনি ব্যক্তিগতভাবে ভালো ছিলেন ,সমাজকে ভালো করার উদ্যেগ গ্রহণ করেন নি।কারো অন্যায়ের বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করেন নি।আজ ইসলামী আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তাই তো এ কঠিন সামাজিক সমস্যা।তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা সাহস যুগিয়ে বলেছেন,
"যারা আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করে তারা কোন তিরষ্কারকারীর তিরষ্কারকে পরোয়া করে না।"(মায়েদা :৫৪)
হাদীসের বানী :
"কিয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মতের মাঝে একদল লোক সত্যেত কাজ করেই যাবে,তারা পরোয়া করবেনা কে তাদের অপমান করল আর কেই বা তাদের সাহায্য করল ।"(ইবনে মাজাহ)
সুতরাং সামাজিক সমস্যা মনে করার কোন যুক্তিই নেই। কারণ আপনি নিজে০ একসময় ইসলামী আন্দোলন করতেন না।আজ হয়ত কারো দা০য়াতে ইসলামী আন্দোলনের একজন বলিষ্ঠ কর্মীতে পরিণত হয়েছেন। আপনার পথ ধরে এরকম আরো বহু জনগোষ্ঠী এ পথে শামিল হবে,ইনশাআল্লাহ !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



